কাশ্মীরে যুদ্ধে জিতলেও আস্থা হারিয়েছে মোদির ভারত by সি উদয় ভাস্কর
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার সোমবার দেশের
সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে, যেটার অধীনে বহু দশক ধরে বিশেষ
মর্যাদা ভোগ করে আসছিল জম্মু ও কাশ্মীর। রাজনৈতিক, আইনগত ও নিরাপত্তা
পরিস্থিতির উপর এই সিদ্ধান্তের বিশাল প্রভাব রয়েছে।
এই রাজ্যটি হিন্দুপ্রধান ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, যেখানে তিনটি ভিন্ন ভৌগলিক এলাকা এবং বিভিন্ন ধর্মের সম্প্রদায় রয়েছে। জম্মু এলাকা হলো হিন্দু সংখ্যাগুরু, কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম প্রধান এবং লাদাখ এলাকা মূলত বৌদ্ধ প্রধান। ১৯৪৭ সালের আগস্টে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় অনেকটা অনিচ্ছার সাথেই ভারতের সাথে থাকতে সম্মত হয়েছিল কাশ্মীর।
পাকিস্তান ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং সকল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত মনে করে, তারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
১৯৪৮ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ কাশ্মীরকে বিতর্ক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও অন্যান্য দলগুলো কাশ্মীরকে নেহরু ও কংগ্রেস পার্টির একটা বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এই ভুলটা আরও পোক্ত হয়েছে ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে, যেটা ১৯৫২ সালে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। যেহেতু দিল্লী এই রাজ্যকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্বায়ত্বশাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাই রাজ্যটি ভারতের বাকি অংশ থেকে নিজেদের আলাদা করে দেখে আসছে।
কাশ্মীরের জনগণের বিচ্ছিন্নতার পরিস্থিতিকে ভালোভাবে সমাধান করা যায়নি, যেটা কংগ্রেস পার্টির একটা বড় ব্যর্থতা। বহু দশক ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ একটা আধা-স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে রয়ে গেছে এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও চীন, কারণ ইসলামাবাদ ১৯৬৩ সালের এই বিতর্কিত অঞ্চলের কিছুটা বেইজিংয়ের কাছে ছেড়ে দেয়।
বিজেপি মোদির নেতৃত্বে মে মাসের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়লাভের পর জম্মু ও কাশ্মীরের অচলাবস্থা ঘুচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সোমবার মোদি তার মন্ত্রিসভার সাথে বৈঠক করেন এবং শিগগিরই পার্লামেন্টকে জানানো হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করা হয়েছে।
তাছাড়া, রাজ্যটি তিনভাবে ভাগ করা হবে বলে যে গুঞ্জন রটেছিল, সেটা না ঘটলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দিয়েছেন যে, রাজ্যটি দুইভাবে বিভক্ত হবে – একভাগে থাকবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যভাগে লাদাখ।
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ এখান ইউনিয়নের অধীন অঞ্চলগুলো পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা করে এবং তাদের আইনসভা ও মুখ্যমন্ত্রী পেতে চায়। এই প্রথমবারের মতো পূর্ণ একটি রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে উল্টা ইউনিয়ন অঞ্চল ঘোষণা করা হলো, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার শাসন করবে।
বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে একটা দমন অভিযান চলছে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। দিল্লী ৫ আগস্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যাতে কোন প্রতিবাদ ও সহিংসতা মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্যেই এটা করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট মোদি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মুক্ত ভারতের ধারণাকে উদযাপন করবেন, কিন্তু এটা দেখার বিষয় শ্রীনগরের রাস্তায় আগামী মাসগুলোতে কিভাবে এই বৈচিত্রময় কিন্তু সংযুক্ত ভারতের চেহারা ফুটে ওঠে। মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদে ‘সবকা বিশ্বাস’ বা সবার আস্থা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরে সেটা তিনি করতে পারবেন কি না, সেটা একটা পরীক্ষার বিষয় হয়ে থাকলো।
এই রাজ্যটি হিন্দুপ্রধান ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, যেখানে তিনটি ভিন্ন ভৌগলিক এলাকা এবং বিভিন্ন ধর্মের সম্প্রদায় রয়েছে। জম্মু এলাকা হলো হিন্দু সংখ্যাগুরু, কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম প্রধান এবং লাদাখ এলাকা মূলত বৌদ্ধ প্রধান। ১৯৪৭ সালের আগস্টে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় অনেকটা অনিচ্ছার সাথেই ভারতের সাথে থাকতে সম্মত হয়েছিল কাশ্মীর।
পাকিস্তান ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং সকল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত মনে করে, তারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
১৯৪৮ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ কাশ্মীরকে বিতর্ক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও অন্যান্য দলগুলো কাশ্মীরকে নেহরু ও কংগ্রেস পার্টির একটা বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এই ভুলটা আরও পোক্ত হয়েছে ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে, যেটা ১৯৫২ সালে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। যেহেতু দিল্লী এই রাজ্যকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্বায়ত্বশাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাই রাজ্যটি ভারতের বাকি অংশ থেকে নিজেদের আলাদা করে দেখে আসছে।
কাশ্মীরের জনগণের বিচ্ছিন্নতার পরিস্থিতিকে ভালোভাবে সমাধান করা যায়নি, যেটা কংগ্রেস পার্টির একটা বড় ব্যর্থতা। বহু দশক ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ একটা আধা-স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে রয়ে গেছে এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও চীন, কারণ ইসলামাবাদ ১৯৬৩ সালের এই বিতর্কিত অঞ্চলের কিছুটা বেইজিংয়ের কাছে ছেড়ে দেয়।
বিজেপি মোদির নেতৃত্বে মে মাসের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়লাভের পর জম্মু ও কাশ্মীরের অচলাবস্থা ঘুচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সোমবার মোদি তার মন্ত্রিসভার সাথে বৈঠক করেন এবং শিগগিরই পার্লামেন্টকে জানানো হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করা হয়েছে।
তাছাড়া, রাজ্যটি তিনভাবে ভাগ করা হবে বলে যে গুঞ্জন রটেছিল, সেটা না ঘটলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দিয়েছেন যে, রাজ্যটি দুইভাবে বিভক্ত হবে – একভাগে থাকবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যভাগে লাদাখ।
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ এখান ইউনিয়নের অধীন অঞ্চলগুলো পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা করে এবং তাদের আইনসভা ও মুখ্যমন্ত্রী পেতে চায়। এই প্রথমবারের মতো পূর্ণ একটি রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে উল্টা ইউনিয়ন অঞ্চল ঘোষণা করা হলো, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার শাসন করবে।
বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে একটা দমন অভিযান চলছে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। দিল্লী ৫ আগস্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যাতে কোন প্রতিবাদ ও সহিংসতা মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্যেই এটা করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট মোদি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মুক্ত ভারতের ধারণাকে উদযাপন করবেন, কিন্তু এটা দেখার বিষয় শ্রীনগরের রাস্তায় আগামী মাসগুলোতে কিভাবে এই বৈচিত্রময় কিন্তু সংযুক্ত ভারতের চেহারা ফুটে ওঠে। মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদে ‘সবকা বিশ্বাস’ বা সবার আস্থা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরে সেটা তিনি করতে পারবেন কি না, সেটা একটা পরীক্ষার বিষয় হয়ে থাকলো।
No comments