নেপালে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি ভারত
নেপালে
২০১৫ সালের এপ্রিলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সারা দেশে এক হাজারের বেশি
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। ওই দুর্যোগের পর জুনে
কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত দাতা সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিকে
নানাভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুননির্মাণ করে
দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় অনেক দেশ।
কিন্তু এরপর চার বছর পেরিয়ে গেছে। বিদেশী সহায়তায় বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়েছে বা শেষ হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে। কিন্তু যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুনর্নিমাণ করে দিবে বলে ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার একটির কাজও শুরু হয়নি।
ভারত সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো যে তারা ১৫৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের নজ্য মঞ্জুরি সহায়তা দেবে। আরো ১৩০ থেকে ১৪০ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সফট লোন দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মাণ করতে ভারত ৫০ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেপাল সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছিলো।
এসব নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা জাতীয় পুনর্গঠন কর্তৃপক্ষের (এনআরএ) সেন্ট্রাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন ইউনিটের উপপরিচালক রাজু নুপানি এ ব্যাপারে বলেন, চুক্তি সই ছাড়া গড় সাড়ে তিন বছরে আর কোন অগ্রগতি হয়নি। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত কোন পরামর্শকও নিয়োগ দেয়নি।
চুক্তিতে কথা ছিলো ভারত তার মঞ্জুরি ও সফট লোনে নির্মিতব্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করবে। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগ না দেয়ায় এখন পর্যন্ত ওই রিপোর্ট তৈরি হয়নি।
এনআরএ নিজ থেকেই ৩০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট ও ডিজাইন তৈরি করে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় সেগুলো অনুমোদনের জন্য ভারতীয় দূতাবাসের কাছে পাঠিয়েছে।
নুপানি বলেন, আমরা চার মাস আগে সেগুলো অনুমোদনের জন্য পাঠাই কিন্তু তাদের কোন সাড়া নেই। তবে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হলে তারা ইতিবাচক কথা বলেন এবং সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেন।
এনআরএ কমকর্তারা বলেন, দূতাবাস বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট অনুমোদনের পর তারা তাদের একজন ঠিকাদার নিয়োগ করার পরেই কেবল এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক সফট লোন দেবে।
ভারত সরকার যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার বেশিরভাগ ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রানিয়া উপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রগুলো নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ভবনগুলোতে বসে স্বাস্থ্য সেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এমনও বলা হয়েছে যে আমরা নিজ খরচে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নির্মাণ করে নেই এবং ভারত তার ব্যয় পরিশোধ করুক। তা নাহলে আমাদেরকে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চালানো উচিত।
এ ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন যে, চুক্তি অনুযায়ী ১৫৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করতে ৫০ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি বরাদ্দের কথা রয়েছে। সরকার এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠিয়েছে। প্রথম দফার ১৩টি কেন্দ্রের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার ১০টি যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
কিন্তু এরপর চার বছর পেরিয়ে গেছে। বিদেশী সহায়তায় বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়েছে বা শেষ হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে। কিন্তু যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুনর্নিমাণ করে দিবে বলে ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার একটির কাজও শুরু হয়নি।
ভারত সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো যে তারা ১৫৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের নজ্য মঞ্জুরি সহায়তা দেবে। আরো ১৩০ থেকে ১৪০ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সফট লোন দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মাণ করতে ভারত ৫০ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেপাল সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছিলো।
এসব নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা জাতীয় পুনর্গঠন কর্তৃপক্ষের (এনআরএ) সেন্ট্রাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন ইউনিটের উপপরিচালক রাজু নুপানি এ ব্যাপারে বলেন, চুক্তি সই ছাড়া গড় সাড়ে তিন বছরে আর কোন অগ্রগতি হয়নি। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত কোন পরামর্শকও নিয়োগ দেয়নি।
চুক্তিতে কথা ছিলো ভারত তার মঞ্জুরি ও সফট লোনে নির্মিতব্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করবে। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগ না দেয়ায় এখন পর্যন্ত ওই রিপোর্ট তৈরি হয়নি।
এনআরএ নিজ থেকেই ৩০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট ও ডিজাইন তৈরি করে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় সেগুলো অনুমোদনের জন্য ভারতীয় দূতাবাসের কাছে পাঠিয়েছে।
নুপানি বলেন, আমরা চার মাস আগে সেগুলো অনুমোদনের জন্য পাঠাই কিন্তু তাদের কোন সাড়া নেই। তবে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হলে তারা ইতিবাচক কথা বলেন এবং সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেন।
এনআরএ কমকর্তারা বলেন, দূতাবাস বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট অনুমোদনের পর তারা তাদের একজন ঠিকাদার নিয়োগ করার পরেই কেবল এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক সফট লোন দেবে।
ভারত সরকার যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার বেশিরভাগ ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রানিয়া উপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রগুলো নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ভবনগুলোতে বসে স্বাস্থ্য সেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এমনও বলা হয়েছে যে আমরা নিজ খরচে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নির্মাণ করে নেই এবং ভারত তার ব্যয় পরিশোধ করুক। তা নাহলে আমাদেরকে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চালানো উচিত।
এ ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন যে, চুক্তি অনুযায়ী ১৫৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করতে ৫০ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি বরাদ্দের কথা রয়েছে। সরকার এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠিয়েছে। প্রথম দফার ১৩টি কেন্দ্রের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার ১০টি যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
No comments