ভারত-মার্কিন মিত্রতার পুনঃবিন্যাস প্রয়োজন by অদিতি মালহোত্রা
চীনের
সাথে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর ভারত কঠোর বাস্তবতায় জেগে ওঠে। ভারতের
জোট-নিরপেক্ষ অংশীদারেরা হিমালয়ে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা
জানাতে বা ভারতকে সমর্থন জানাতে অনীহা প্রকাশ করে। বাস্তব বিষয় হলো,
পাশ্চাত্যই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সাথে সাথে ভারতে সামরিক বাহিনী পাঠাতে
প্রস্তুত ছিল।
এর আগে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা মনে করত যে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন সতর্কভাবে পরিচর্যা করা হলে প্রয়োজনের সময় তারা এখান থেকে বিপুল সমর্থন পাবে। ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি সফল বলেই মনে হতো। কারণ এর ফলে দিল্লি বিভিন্ন ব্লক থেকে সহায়তা পেত, অথচ কোনো বিশেষ পক্ষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও থাকত না। কিন্তু ১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধের সময় তাদের ওই ধারণা গুঁড়িয়ে যায়। তারা কোনো বিশ্বস্ত দেশের কাছ থেকেই সমর্থন পায়নি।
বহু মেরুর দুনিয়ায় জোটবদ্ধতা
ভারত এখন জোট নিরপেক্ষ নীতির বদলে বহু জোটের নীতি গ্রহণ করেছে। এতে বৈচিত্র্য থাকলেও মূল যুক্তি অভিন্নই রয়ে গেছে। বহু জোটে থাকার ফলে ভারত সিদ্ধান্তগত স্বায়ত্তশাসন পেয়েছে, অন্যান্য শক্তির সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখানেও ভারতের লক্ষ্য সব পক্ষের কাছ থেকে সহায়তা লাভ করা, অথচ স্পষ্টভাবে কোনো পক্ষের সাথে জোটবদ্ধ না থাকা।
চীনের উত্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের এর প্রতি পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের আকাঙ্ক্ষার ফলে ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ওয়াশিংটনের চোখে ভারতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এরপর থেকে ভারত এই বিশ্বাসে ভর করে থাকে যে ওয়াশিংটনের কাছে সে অপরিহার্য। স্বাভাবিকভাবেই নয়া দিল্লি মনে করতে থাকে যে সে কার্যকরভাবে সব দেশের সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে সর্বোচ্চ সুবিধা হাসিল করতে পারবে। তাই হতো যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এমন সহজ হতো এবং অন্যান্য দেশ খুবই আনাড়ি হতো।
চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে নয়া দিল্লি খুশি রাখার চেষ্টা করছে প্রতিটি শক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিছু কিছু জিনিস ক্রমবর্ধমান হারে প্রদান করার মাধ্যমে। বিষয়টি প্রকটভাবে দেখা যায় ২০১৮ সালে। ভারত চীনের সাথে সম্পর্ক পুনঃবিন্যাস করে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কমিউনিকেশন্স কম্পাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট (সিওএমসিএএসএ) ও লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট (এলইএমওএ) সই করেছে। নয়া দিল্লির হিসাবে এটি ভালোই মনে হচ্ছে। কারণ তার কাছে মনে হয়েছে, এমনটা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববীক্ষার ও চীনের প্রতি তার কৌশলের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচালনায় থাকা আমেরিকা বিশ্বাস করে লেনদেনের কূটনীতিতে, যা ভারতের পরিচিত নয়।
সিওএমসিএএসএ ও এলইএমওএ বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার ব্যাপারে ভারতের সমালোচিত আমলাতান্ত্রিক অনীহায় ওয়াশিংটনের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য কিছু আইটেম বিক্রিতে ভারতের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাচ্ছেন না বলেও মনে করছেন। ভারতের এমন মনোভাবের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না ওয়াশিংটন। খুব সম্ভবত ভারতের অর্থনৈতিক কারণেই এমন কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে মার্কিন বাণিজ্যিক আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে ভারত।
আবার আফগানিস্তানে প্রভাব হারানোর ভয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ট্রাম্পের সফল শীর্ষ বৈঠক আসলে বাস্তব কিছু না দিয়েই সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করার ভারতীয় চেষ্টার প্রতিক্রিয়া।
এমনটা বলা হচ্ছে না যে আমেরিকার সব অনুরোধই ভারতের গ্রহণ করা উচিত। বরং ভারতের উচিত পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে ভারতের প্রয়োজন হিসাবি ঝুঁকি গ্রহণ করা। কিন্তু ভারত কিছু না দিয়েই লাভের আশা করে নিজের পথকে জটিল করে ফেলছে।
ত্রুটিপূর্ণ অংশীদারিত্ব
অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনকে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ভারত হলো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রয়োজন। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহজ প্রত্যাহারে পাকিস্তান ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে, ইসলামাবাদের সহযোগিতা এ ব্যাপারে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সাফল্য এনে দিতে পারে। আবার পাকিস্তানের প্রয়োজন তার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন সহায়তা। এই পারস্পরিক স্বার্থের কারণে এই দুই দেশ সাময়িকভাবে হলেও একে অপরকে সহায়তা করবে না কেন?
এখানে ভারত নিশ্চিতভাবেই পরাজিত পক্ষ। আর সবাই নিশ্চিত যে প্রাথমিক মধুচন্দ্রিমা কেটে যাওয়ার পর ভারত-চীন নতুন সম্পর্কও জটিলতায় পড়বে।
আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন নীতি হঠাৎ করে বদলে যাওয়ায় ভারত সমস্যায় পড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল ভারতের সাথে আরো আলোচনা করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা, দেশটির নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো স্পর্শকাতর হওয়া। কিন্তু তা করা হয়নি। অধিকন্তু, কাশ্মির প্রশ্নে ট্রাম্পের মন্তব্য আসলে ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্য হারানোর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। ট্রাম্প ভেবেচিন্তে কথা বলেন না বলেই মনে করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার কিছু কিছু মন্তব্য অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে।
কাশ্মির নিয়ে কেন ট্রাম্প এমন মন্তব্য করলেন এবং ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি উপেক্ষা করা হলে তা ভারতের স্বার্থের জন্যই ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে। ইতিহাস কী বলে? ভারত যদি মনে করে থাকে যে অনেক বন্ধু তার পক্ষে থাকবে, কিন্তু বাস্তবে কেউ পাশে থাকে না। বিশেষ করে অতি প্রয়োজনের সময় ভারত হয়ে যাবে নিঃসঙ্গ।
এর আগে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা মনে করত যে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন সতর্কভাবে পরিচর্যা করা হলে প্রয়োজনের সময় তারা এখান থেকে বিপুল সমর্থন পাবে। ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি সফল বলেই মনে হতো। কারণ এর ফলে দিল্লি বিভিন্ন ব্লক থেকে সহায়তা পেত, অথচ কোনো বিশেষ পক্ষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও থাকত না। কিন্তু ১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধের সময় তাদের ওই ধারণা গুঁড়িয়ে যায়। তারা কোনো বিশ্বস্ত দেশের কাছ থেকেই সমর্থন পায়নি।
বহু মেরুর দুনিয়ায় জোটবদ্ধতা
ভারত এখন জোট নিরপেক্ষ নীতির বদলে বহু জোটের নীতি গ্রহণ করেছে। এতে বৈচিত্র্য থাকলেও মূল যুক্তি অভিন্নই রয়ে গেছে। বহু জোটে থাকার ফলে ভারত সিদ্ধান্তগত স্বায়ত্তশাসন পেয়েছে, অন্যান্য শক্তির সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখানেও ভারতের লক্ষ্য সব পক্ষের কাছ থেকে সহায়তা লাভ করা, অথচ স্পষ্টভাবে কোনো পক্ষের সাথে জোটবদ্ধ না থাকা।
চীনের উত্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের এর প্রতি পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের আকাঙ্ক্ষার ফলে ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ওয়াশিংটনের চোখে ভারতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এরপর থেকে ভারত এই বিশ্বাসে ভর করে থাকে যে ওয়াশিংটনের কাছে সে অপরিহার্য। স্বাভাবিকভাবেই নয়া দিল্লি মনে করতে থাকে যে সে কার্যকরভাবে সব দেশের সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে সর্বোচ্চ সুবিধা হাসিল করতে পারবে। তাই হতো যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এমন সহজ হতো এবং অন্যান্য দেশ খুবই আনাড়ি হতো।
চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে নয়া দিল্লি খুশি রাখার চেষ্টা করছে প্রতিটি শক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিছু কিছু জিনিস ক্রমবর্ধমান হারে প্রদান করার মাধ্যমে। বিষয়টি প্রকটভাবে দেখা যায় ২০১৮ সালে। ভারত চীনের সাথে সম্পর্ক পুনঃবিন্যাস করে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কমিউনিকেশন্স কম্পাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট (সিওএমসিএএসএ) ও লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট (এলইএমওএ) সই করেছে। নয়া দিল্লির হিসাবে এটি ভালোই মনে হচ্ছে। কারণ তার কাছে মনে হয়েছে, এমনটা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববীক্ষার ও চীনের প্রতি তার কৌশলের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচালনায় থাকা আমেরিকা বিশ্বাস করে লেনদেনের কূটনীতিতে, যা ভারতের পরিচিত নয়।
সিওএমসিএএসএ ও এলইএমওএ বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার ব্যাপারে ভারতের সমালোচিত আমলাতান্ত্রিক অনীহায় ওয়াশিংটনের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য কিছু আইটেম বিক্রিতে ভারতের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাচ্ছেন না বলেও মনে করছেন। ভারতের এমন মনোভাবের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না ওয়াশিংটন। খুব সম্ভবত ভারতের অর্থনৈতিক কারণেই এমন কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে মার্কিন বাণিজ্যিক আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে ভারত।
আবার আফগানিস্তানে প্রভাব হারানোর ভয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ট্রাম্পের সফল শীর্ষ বৈঠক আসলে বাস্তব কিছু না দিয়েই সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করার ভারতীয় চেষ্টার প্রতিক্রিয়া।
এমনটা বলা হচ্ছে না যে আমেরিকার সব অনুরোধই ভারতের গ্রহণ করা উচিত। বরং ভারতের উচিত পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে ভারতের প্রয়োজন হিসাবি ঝুঁকি গ্রহণ করা। কিন্তু ভারত কিছু না দিয়েই লাভের আশা করে নিজের পথকে জটিল করে ফেলছে।
ত্রুটিপূর্ণ অংশীদারিত্ব
অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনকে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ভারত হলো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রয়োজন। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহজ প্রত্যাহারে পাকিস্তান ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে, ইসলামাবাদের সহযোগিতা এ ব্যাপারে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সাফল্য এনে দিতে পারে। আবার পাকিস্তানের প্রয়োজন তার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন সহায়তা। এই পারস্পরিক স্বার্থের কারণে এই দুই দেশ সাময়িকভাবে হলেও একে অপরকে সহায়তা করবে না কেন?
এখানে ভারত নিশ্চিতভাবেই পরাজিত পক্ষ। আর সবাই নিশ্চিত যে প্রাথমিক মধুচন্দ্রিমা কেটে যাওয়ার পর ভারত-চীন নতুন সম্পর্কও জটিলতায় পড়বে।
আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন নীতি হঠাৎ করে বদলে যাওয়ায় ভারত সমস্যায় পড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল ভারতের সাথে আরো আলোচনা করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা, দেশটির নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো স্পর্শকাতর হওয়া। কিন্তু তা করা হয়নি। অধিকন্তু, কাশ্মির প্রশ্নে ট্রাম্পের মন্তব্য আসলে ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্য হারানোর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। ট্রাম্প ভেবেচিন্তে কথা বলেন না বলেই মনে করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার কিছু কিছু মন্তব্য অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে।
কাশ্মির নিয়ে কেন ট্রাম্প এমন মন্তব্য করলেন এবং ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি উপেক্ষা করা হলে তা ভারতের স্বার্থের জন্যই ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে। ইতিহাস কী বলে? ভারত যদি মনে করে থাকে যে অনেক বন্ধু তার পক্ষে থাকবে, কিন্তু বাস্তবে কেউ পাশে থাকে না। বিশেষ করে অতি প্রয়োজনের সময় ভারত হয়ে যাবে নিঃসঙ্গ।
No comments