স্থানীয় জীবনমান উন্নয়নে দ্রুত বিআরআই প্রকল্প বাছাই করতে হবে নেপালকে by কামাল দেব ভট্টরাই
চীন
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের প্রস্তাব করে ২০১৩ সালে।
এই প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পরপরই এর সাথে যুক্ত হয় নেপাল সরকার।
নেপালের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাদের বিআরআইয়ের সাথে যুক্ত থাকা উচিত – এ ধরনের একটি সর্বদলীয় ঐক্যমত নেপালে রয়েছে। সব পক্ষই এ ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কিন্তু বিআরআই প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ধীরগতির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা।
দেরির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক চাপ। আরেকটি সমস্যা হলো বিআরআইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি।
২০১৭ সালের মে মাসে বিআরআইয়ে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে নেপাল। এরপর প্রায় দিই বছর চলে গেলেও প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি এখনও।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদিপ কুমার গিয়াওয়ালি বলেছেন যে, চীনের সাথে বিআরাই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। নেপাল ও চীনে বিআরআই সেমিনার চলছে, প্রকল্প নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় তিন ডজন বিআরআই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে এসেছে। আগের আলোচনাগুলোকে ক্রস-বর্ডার রেলওয়ের উপর মনোযোগ ছিল, যেটা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও পরিবেশগত ইস্যুর বিষয়গুলো এখনও বিবেচনার সুযোগই হযনি। প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, এবং দুই পক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
নেপালে গত দুই বচরে চীনা এবং ভারতীয় রেলওয়ে নির্মান নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তবে, ধারণাটা এমন যে, নেপালে চীনা রেলওয়ে আসতে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে রেলওয়ে লাইনের বিষয়টি আকর্ষণীয় শোনায়।
কোন সন্দেহ নেই যে নেপালের বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিনিয়োগের দরকার যাতে তারা অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। বিআরআইয়ের অধীনে, নেপালের নেতাদের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও রাস্তাঘাটের মতো মধ্যম ও ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলো বেছে নেয়া উচিত। ঝুঁকি সতর্কভাবে বিশ্লেষণের পর যদি বাস্তবসম্মত প্রকল্প বেছে নেয়া হয়, তাহলে সমস্যা আরও কম হবে।
প্রদিপ গিয়াওয়ালি এক বক্তৃতায় বলেছেন, আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য প্রচুর বিনিয়োগ দরকার, যেখানে আমাদের নিজস্ব সম্পদ যথেষ্ট নয়। তাই, প্রতিবেশীসহ আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও সহযোগিতা দরকার, যারা এই ঘাটতিটা পূরণ করবে।
নেপাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাছাই করতে পারে, যেটা তাদের কর্মসংস্থানের অভাব পূরণ করবে এবং বিদ্যুৎ রফতানির মাধ্যমে রাজস্ব অর্জনে সহায়তা করবে। আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত হলো সড়ক নির্মাণ, যেটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান খাত। চীনের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে নেপালের উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ অবকাঠামো যথেষ্ট দুর্বল। যথাযথ সড়কের অভাবে গ্রামীন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফলমূল স্থানীয় বাজারে আনতে পারে না। বিআরআইয়ের অধীনে নতুন সড়ক যদি নির্মাণ করা হয়, তাহলে সেটা গ্রামীণ চাষীদের সাহায্য করবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নতি হবে।
২০৩০ সাল নাগাদ নেপাল মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চায়, কিন্তু অর্থনীতির গতি সে রকম পর্যায়ে নেই। নেপাল যদিও দারিদ্র বিমোচনে অগ্রগতি করেছে, আরও প্রচেষ্টা এখানে দরকার। সাত থেকে আট শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হারের প্রয়োজন তাদের। সেই সাথে ৮ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ দরকার।
দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য, নেপালকে তাদের বিআরআইের অধীনের প্রকল্পের কাজগুলোর ব্যাপারে গতি অনেক বাড়াতে হবে।
নেপালের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাদের বিআরআইয়ের সাথে যুক্ত থাকা উচিত – এ ধরনের একটি সর্বদলীয় ঐক্যমত নেপালে রয়েছে। সব পক্ষই এ ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কিন্তু বিআরআই প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ধীরগতির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা।
দেরির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক চাপ। আরেকটি সমস্যা হলো বিআরআইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি।
২০১৭ সালের মে মাসে বিআরআইয়ে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে নেপাল। এরপর প্রায় দিই বছর চলে গেলেও প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি এখনও।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদিপ কুমার গিয়াওয়ালি বলেছেন যে, চীনের সাথে বিআরাই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। নেপাল ও চীনে বিআরআই সেমিনার চলছে, প্রকল্প নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় তিন ডজন বিআরআই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে এসেছে। আগের আলোচনাগুলোকে ক্রস-বর্ডার রেলওয়ের উপর মনোযোগ ছিল, যেটা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও পরিবেশগত ইস্যুর বিষয়গুলো এখনও বিবেচনার সুযোগই হযনি। প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, এবং দুই পক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
নেপালে গত দুই বচরে চীনা এবং ভারতীয় রেলওয়ে নির্মান নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তবে, ধারণাটা এমন যে, নেপালে চীনা রেলওয়ে আসতে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে রেলওয়ে লাইনের বিষয়টি আকর্ষণীয় শোনায়।
কোন সন্দেহ নেই যে নেপালের বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিনিয়োগের দরকার যাতে তারা অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। বিআরআইয়ের অধীনে, নেপালের নেতাদের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও রাস্তাঘাটের মতো মধ্যম ও ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলো বেছে নেয়া উচিত। ঝুঁকি সতর্কভাবে বিশ্লেষণের পর যদি বাস্তবসম্মত প্রকল্প বেছে নেয়া হয়, তাহলে সমস্যা আরও কম হবে।
প্রদিপ গিয়াওয়ালি এক বক্তৃতায় বলেছেন, আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য প্রচুর বিনিয়োগ দরকার, যেখানে আমাদের নিজস্ব সম্পদ যথেষ্ট নয়। তাই, প্রতিবেশীসহ আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও সহযোগিতা দরকার, যারা এই ঘাটতিটা পূরণ করবে।
নেপাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাছাই করতে পারে, যেটা তাদের কর্মসংস্থানের অভাব পূরণ করবে এবং বিদ্যুৎ রফতানির মাধ্যমে রাজস্ব অর্জনে সহায়তা করবে। আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত হলো সড়ক নির্মাণ, যেটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান খাত। চীনের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে নেপালের উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ অবকাঠামো যথেষ্ট দুর্বল। যথাযথ সড়কের অভাবে গ্রামীন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফলমূল স্থানীয় বাজারে আনতে পারে না। বিআরআইয়ের অধীনে নতুন সড়ক যদি নির্মাণ করা হয়, তাহলে সেটা গ্রামীণ চাষীদের সাহায্য করবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নতি হবে।
২০৩০ সাল নাগাদ নেপাল মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চায়, কিন্তু অর্থনীতির গতি সে রকম পর্যায়ে নেই। নেপাল যদিও দারিদ্র বিমোচনে অগ্রগতি করেছে, আরও প্রচেষ্টা এখানে দরকার। সাত থেকে আট শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হারের প্রয়োজন তাদের। সেই সাথে ৮ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ দরকার।
দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য, নেপালকে তাদের বিআরআইের অধীনের প্রকল্পের কাজগুলোর ব্যাপারে গতি অনেক বাড়াতে হবে।
No comments