ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান সর্বোচ্চ নেতার
ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্য
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই
ষড়যন্ত্র অবশ্যই রুখে দিতে হবে এবং তেহরান ইয়েমেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও
সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানায়।
তেহরান ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের প্রতিনিধি দলকে দেয়া সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সৌদি আরব ও আমিরাতের বর্বর আগ্রাসন মোকাবেলায় ইয়েমেনের জনগণের ঈমান, প্রতিরোধ, বিচক্ষণতা ও জিহাদি চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্ম, মাজহাব ও গোত্রের বসবাস ইয়েমেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য ইয়েমেনিদের মধ্যেই সংলাপ জরুরি।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও পানিপথে হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর সৌদি আরব ৭২৯ ইয়েমেনি শিশুকে এবং দখলদার ইসরাইল ৫৭ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। খ্যাতনামা মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক নাসের আল ওমরানি ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, জাতিসংঘের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রিয়াদ ও তেলআবিব বিশ্বে শিশু হত্যায় প্রথম সারিতে অবস্থান করছে এবং এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।
সৌদি আরব গত কয়েক দিনে ইয়েমেনের সাদা আবাসিক এলাকায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা জোরদার করেছে। জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, মানবাধিকার পরিষদসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার নীরবতার সুযোগে ইয়েমেনে অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। কানাডার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্যান স্টোন বলেছেন, "সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে আমেরিকা ও ব্রিটেনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত রয়েছে এবং মূলত তারাই দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমেরিকা ও ব্রিটেন সৌদি জোটের কাছে যুদ্ধবিমানসহ অত্যাধুনিক বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছে। এ ছাড়া ইয়েমেনকে সমুদ্র পথে অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য সৌদি আরব আমেরিকার জাহাজ ব্যবহার করছে যাতে ইয়েমেনে কোনো খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী যেতে না পারে। ইউনেস্কো জানিয়েছে ইয়েমেনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে ইসলামী ইরান যে অবস্থান নিয়েছে তা কোন ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নয় বরং আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কর্মকাণ্ড ও বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কারণ আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো বাহ্যিকভাবে মানবতা, সভ্যতা ও নৈতিকতার কথা বললেও তারাই সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুঃখজনকভাবে বর্তমান বিশ্বে চলমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর আগ্রাসনের প্রতি আমেরিকার সমর্থন রয়েছে এবং এ ব্যাপারে মানবাধিকারের দাবিদার পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে সৌদি আরব ও আমিরাত ইয়েমেন যুদ্ধে বিজয়ের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা এখন ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার চেষ্টা করছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তেহরান ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের প্রতিনিধি দলকে দেয়া সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সৌদি আরব ও আমিরাতের বর্বর আগ্রাসন মোকাবেলায় ইয়েমেনের জনগণের ঈমান, প্রতিরোধ, বিচক্ষণতা ও জিহাদি চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্ম, মাজহাব ও গোত্রের বসবাস ইয়েমেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য ইয়েমেনিদের মধ্যেই সংলাপ জরুরি।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও পানিপথে হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর সৌদি আরব ৭২৯ ইয়েমেনি শিশুকে এবং দখলদার ইসরাইল ৫৭ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। খ্যাতনামা মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক নাসের আল ওমরানি ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, জাতিসংঘের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রিয়াদ ও তেলআবিব বিশ্বে শিশু হত্যায় প্রথম সারিতে অবস্থান করছে এবং এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।
সৌদি আরব গত কয়েক দিনে ইয়েমেনের সাদা আবাসিক এলাকায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা জোরদার করেছে। জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, মানবাধিকার পরিষদসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার নীরবতার সুযোগে ইয়েমেনে অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। কানাডার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্যান স্টোন বলেছেন, "সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে আমেরিকা ও ব্রিটেনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত রয়েছে এবং মূলত তারাই দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমেরিকা ও ব্রিটেন সৌদি জোটের কাছে যুদ্ধবিমানসহ অত্যাধুনিক বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছে। এ ছাড়া ইয়েমেনকে সমুদ্র পথে অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য সৌদি আরব আমেরিকার জাহাজ ব্যবহার করছে যাতে ইয়েমেনে কোনো খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী যেতে না পারে। ইউনেস্কো জানিয়েছে ইয়েমেনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে ইসলামী ইরান যে অবস্থান নিয়েছে তা কোন ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নয় বরং আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কর্মকাণ্ড ও বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কারণ আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো বাহ্যিকভাবে মানবতা, সভ্যতা ও নৈতিকতার কথা বললেও তারাই সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুঃখজনকভাবে বর্তমান বিশ্বে চলমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর আগ্রাসনের প্রতি আমেরিকার সমর্থন রয়েছে এবং এ ব্যাপারে মানবাধিকারের দাবিদার পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে সৌদি আরব ও আমিরাত ইয়েমেন যুদ্ধে বিজয়ের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা এখন ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার চেষ্টা করছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে ইয়েমেনি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাত |
No comments