আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, আহত ১৪
পবিত্র
আল আকসা মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করছিলেন প্রায় এক লাখ মুসল্লি। এ
সময় তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলি পুলিশ।
এতে কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন আরব নিউজ জানাচ্ছে,
ইসরাইলি পুলিশ ও সরকার ইহুদি উগ্রপন্থিদের আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনের অনুমতি
দেয়ার পর রোববার মুসলিমদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। প্রথমে সেখানে ইহুদিদের
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরে তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়। জেরুজালেমের পুলিশ
কমান্ডার ডোরোন ইয়েডিড বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সমর্থনে পরে নীতি
পরিবর্তন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও মুসলিমদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে। তার অধীনে আল আকসা মসজিদ কমপ্লেকের ভিতরে প্রার্থনা করা থেকে ইহুদিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও মুসলিমদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে। তার অধীনে আল আকসা মসজিদ কমপ্লেকের ভিতরে প্রার্থনা করা থেকে ইহুদিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগ্র ডানপন্থি ইহুদিরা ওই বোঝাপড়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মসজিদে তাদের পরিদর্শন বাড়তে থাকে। ইহুদি উগ্রপন্থিরা ওই মসজিদটির ধ্বংস চায়। এর পরিবর্তে তারা সেখানে ইহুদিদের টেম্পল পুনর্নির্মাণ করতে চায়।
রোববার সকালে ইসলামিক ওয়াকফ কর্মকর্তারা এক ঘন্টার জন্য নামাজ বিলম্বিত করে জেরুজালেমে সব মসজিদ বন্ধ রেখে মুসলিমদের বাসায় অবস্থান করতে বলেন। উগ্রপন্থিদের ঔদ্ধত্যের কারণে এমন আহ্বান জানানো হয়। ইসলামিক ওয়াকফ কাউন্সিলের সদস্য খলিল আসালি আরব নিউজকে বলেছেন, ১৯৬৭ সাল থেকে যে বোঝাপড়া চলে আসছে তা এবার সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা দেখানোর চেষ্টা করছে যে, আল আকসা মসজিদ মুসলিমদের নয়। আল আকসার রক্ষক জর্ডান। তারা রোববারের সহিংসতার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে আনুষ্টানিকভাবে অভিযোগ জমা দিয়েছে ইসরাইল সরকারের কাছে।
No comments