দুদকের দায়মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা ফালু-মনি by মোর্শেদ নোমান
মোসাদ্দেক আলী ফালু ও নুরুল ইসলাম মনি |
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ
নুরুল ইসলাম মনিকে অবৈধভাবে জমি দখল ও রাজউকের সহায়তায় তা বিক্রি করে
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার এক আদেশে দুদক অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে
বলে দুদকের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক
সময়ে আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান শেষে
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সূত্রটি জানায়, বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানে একটি প্লট (প্লট নম্বর-৪৩, রোড নম্বর-৪১, গুলশান মডেল টাউন) অবৈধভাবে দখল ও রাজউকের সহায়তায় তা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরু করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।
অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৬ সালে প্রভাব খাঁটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯ কাঠা ১৫ শতাংশ জমি তাঁরা দখল করে নেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের ওই জমি দখল করে নেওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করেন দুদকের সে সময়কার সহকারী পরিচালক আবু নাসির। অনুসন্ধান শেষে তিনি কমিশনে কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানের মোসাদ্দেক আলী ফালু ও নুরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। পরে একাধিকবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদল হয়েছে। সবশেষ অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি প্রমাণ হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হয় এবং বিষয়টি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অভিযোগটি নথিভুক্তির অনুমোদন দেয়।
এদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামকে সম্প্রতি একটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন, সিডিএর ভূমি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিষয়টি দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৬ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে চলতি মাসেই তাঁকে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে দুদক। এ বিষয়টিও দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শ্যুটিং ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্লাবের অস্ত্র ও গুলির হিসাবের গরমিল এড়াতে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ ওঠে।
৪১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। ২০১২ সালে এ অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। গত মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন দুদক সচিব।
এ ছাড়া কোনো কাজ না করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থেকে অধিদপ্তরের আজিমপুর শাখার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে কে (বর্তমানে সেগুনবাগিচা-৩ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে। সরকারের ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৫১২ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ থেকে চট্টগ্রামের সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এম এ বাতেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় চলতি মাসে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আওলাদ হোসেনকে। গত মঙ্গলবার তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দুদক সচিব আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে এসব নথিভুক্তির বিষয় জানিয়েছেন।
সূত্রটি জানায়, বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানে একটি প্লট (প্লট নম্বর-৪৩, রোড নম্বর-৪১, গুলশান মডেল টাউন) অবৈধভাবে দখল ও রাজউকের সহায়তায় তা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরু করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।
অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৬ সালে প্রভাব খাঁটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯ কাঠা ১৫ শতাংশ জমি তাঁরা দখল করে নেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের ওই জমি দখল করে নেওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করেন দুদকের সে সময়কার সহকারী পরিচালক আবু নাসির। অনুসন্ধান শেষে তিনি কমিশনে কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানের মোসাদ্দেক আলী ফালু ও নুরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। পরে একাধিকবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদল হয়েছে। সবশেষ অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি প্রমাণ হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হয় এবং বিষয়টি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অভিযোগটি নথিভুক্তির অনুমোদন দেয়।
এদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামকে সম্প্রতি একটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন, সিডিএর ভূমি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিষয়টি দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৬ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে চলতি মাসেই তাঁকে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে দুদক। এ বিষয়টিও দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শ্যুটিং ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্লাবের অস্ত্র ও গুলির হিসাবের গরমিল এড়াতে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ ওঠে।
৪১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। ২০১২ সালে এ অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। গত মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন দুদক সচিব।
এ ছাড়া কোনো কাজ না করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থেকে অধিদপ্তরের আজিমপুর শাখার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে কে (বর্তমানে সেগুনবাগিচা-৩ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে। সরকারের ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৫১২ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ থেকে চট্টগ্রামের সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এম এ বাতেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় চলতি মাসে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আওলাদ হোসেনকে। গত মঙ্গলবার তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দুদক সচিব আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে এসব নথিভুক্তির বিষয় জানিয়েছেন।
No comments