পুরুষদের স্তন ক্যানসারের না বলা কথা
পুরুষেরও স্তন ক্যানসার হতে পারে বলে সচেতন করেছেন ভারতের চিকিত্সকেরা |
স্তন
ক্যানসারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী
নারীদের এই ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এত দিন এই ক্যানসারের
ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার প্রচার প্রচারণা ছিল বেশি, কিন্তু এখন
পুরুষদেরও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন
ক্যানসার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার
হার খুবই কম। ভারতের দিল্লির বেসরকারি রকল্যান্ড হাসপাতালের অনকোলজি
বিভাগের চেয়ারম্যান কে কে পান্ডে সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে পুরুষের স্তন
ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
পুরুষের ঝুঁকি
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ঝুঁকি কিছুটা কম হলেও যদি স্তনে কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষের হার মাত্র ১ শতাংশ। নারীর মতো পুরুষেরও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
ঝুঁকির কারণ
বিআরসিএ জিন মিউটেশন, ক্লিনফেল্টার সিনড্রোম, টেস্টিকুলার ডিজঅর্ডার, পরিবারে কারও স্তন ক্যানসার থাকলে, অ্যালকোহল, তামাক সেবন, শারীরিক পরিশ্রম না করা, স্থূলতার মতো কারণে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে খুব কমসংখ্যক ননফাংশনিং স্তন টিস্যু (যে টিস্যু দুধ তৈরি করতে পারে না) থাকে, যা স্তনের বোঁটার নিচে অবস্থান করে। নারীর মতোই পুরুষের স্তনে টিস্যু অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্যানসার হয়।
উপসর্গ ও লক্ষণ
স্তনে যখন টিউমার ছোট থাকে তখন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না। এ অবস্থায় চিকিৎসা করা হলে তা দ্রুত সেরে যায়। এর জন্য শনাক্তকরণ নীতিমালা মেনে প্রাথমিক অবস্থাতেই তা নির্ণয় ও চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যখন উপসর্গ তৈরি হয়, তখন পুরুষের ক্ষেত্রে বোঁটার নিচে ব্যথাহীন পিণ্ড দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ না-ও দেখা দিতে পারে। তবে ক্যানসার হলে স্তনবৃন্ত এলাকায় চামড়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়।
স্তনের কোনো অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোনো লাম্প দেখা
স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
স্তনবৃন্তের আশপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
বগল ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেওয়া
স্তনের অংশে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা
সব বয়সের পুরুষ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ চিকিৎসার জন্য আগে ক্যানসার কোষ শনাক্ত হওয়া প্রয়োজন। বায়োপসি করে টিস্যু নমুনার মাধ্যমে তা শনাক্ত করা যায়। এ ছাড়া পুরুষ নিজে স্তন ও স্তনবৃন্ত পরীক্ষা করে এবং মেমোগ্রাফ ও আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতেও স্তন ক্যানসার ধরতে পারে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য ক্যানসার কোন স্তরে রয়েছে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় পুরুষের স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে তা অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়াও রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারের পর ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে ফেলা হয়। অথবা অস্ত্রোপচারের আগে টিউমারের আকার কমাতে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিসটেমিক থেরাপি হিসেবে অ্যান্টি-ক্যানসার ওষুধ ইনজেকশন বা খাওয়ানো হয়। সিসটেমিক থেরাপির মধ্যে রয়েছে বায়োলজিক থেরাপি, কেমোথেরাপি ও হরমোন থেরাপি।
পুরুষের ঝুঁকি
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ঝুঁকি কিছুটা কম হলেও যদি স্তনে কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষের হার মাত্র ১ শতাংশ। নারীর মতো পুরুষেরও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
ঝুঁকির কারণ
বিআরসিএ জিন মিউটেশন, ক্লিনফেল্টার সিনড্রোম, টেস্টিকুলার ডিজঅর্ডার, পরিবারে কারও স্তন ক্যানসার থাকলে, অ্যালকোহল, তামাক সেবন, শারীরিক পরিশ্রম না করা, স্থূলতার মতো কারণে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে খুব কমসংখ্যক ননফাংশনিং স্তন টিস্যু (যে টিস্যু দুধ তৈরি করতে পারে না) থাকে, যা স্তনের বোঁটার নিচে অবস্থান করে। নারীর মতোই পুরুষের স্তনে টিস্যু অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্যানসার হয়।
উপসর্গ ও লক্ষণ
স্তনে যখন টিউমার ছোট থাকে তখন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না। এ অবস্থায় চিকিৎসা করা হলে তা দ্রুত সেরে যায়। এর জন্য শনাক্তকরণ নীতিমালা মেনে প্রাথমিক অবস্থাতেই তা নির্ণয় ও চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যখন উপসর্গ তৈরি হয়, তখন পুরুষের ক্ষেত্রে বোঁটার নিচে ব্যথাহীন পিণ্ড দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ না-ও দেখা দিতে পারে। তবে ক্যানসার হলে স্তনবৃন্ত এলাকায় চামড়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়।
স্তনের কোনো অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোনো লাম্প দেখা
স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
স্তনবৃন্তের আশপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
বগল ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেওয়া
স্তনের অংশে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা
সব বয়সের পুরুষ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ চিকিৎসার জন্য আগে ক্যানসার কোষ শনাক্ত হওয়া প্রয়োজন। বায়োপসি করে টিস্যু নমুনার মাধ্যমে তা শনাক্ত করা যায়। এ ছাড়া পুরুষ নিজে স্তন ও স্তনবৃন্ত পরীক্ষা করে এবং মেমোগ্রাফ ও আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতেও স্তন ক্যানসার ধরতে পারে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য ক্যানসার কোন স্তরে রয়েছে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় পুরুষের স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে তা অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়াও রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারের পর ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে ফেলা হয়। অথবা অস্ত্রোপচারের আগে টিউমারের আকার কমাতে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিসটেমিক থেরাপি হিসেবে অ্যান্টি-ক্যানসার ওষুধ ইনজেকশন বা খাওয়ানো হয়। সিসটেমিক থেরাপির মধ্যে রয়েছে বায়োলজিক থেরাপি, কেমোথেরাপি ও হরমোন থেরাপি।
No comments