‘তাহলে আমার রোকন কোথায়?’ by আব্দুল কুদ্দুস
মিয়ানমার
থেকে ১৫০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফিরিয়ে আনার খবর পেয়ে চকরিয়ার বাড়ি থেকে
কক্সবাজারে ছুটে আসেন বিবি আয়েশা। অভিবাসীদের মধ্যে তাঁর ছেলে রোকন থাকতে
পারে, এমন বিশ্বাস ছিল তাঁর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মোটেল রোডের রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের সামনে ছেলে রোকনের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়েশা। কার্যালয় থেকে কেউ বের হলে ছেলের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তাঁর ছেলে রোকনের (১৬) কোনো খবর আছে কি না।
আয়েশা জানান, গত ১৭ এপ্রিল আজম নামে এক দালাল মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর বড় ছেলে মো. রোকনকে বাড়ি থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যায়। তারপর টেকনাফ থেকে ট্রলারে তুলে থাইল্যান্ডে পাচার করে। ১২ দিন পর রোকন ফোনে তাঁকে জানায়, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। না হলে সেখানকার দালালেরা তাকে মেরে ফেলবে। স্থানীয় দালাল আজম টাকার জন্য তাঁর কাছে এলেও টাকা দিতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
গত মঙ্গলবার পুলিশ ফিরিয়ে আনা অভিবাসীদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে গাড়িতে করে আদালতে নিয়ে যায়। আয়েশা বিবিও ছুটে যান সেখানে। কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। রাতে খবর পান, অভিবাসীদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৪ শিশুকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও রোকনের খোঁজ পাননি আয়েশা। ১৫০ জনের তালিকায় তাঁর ছেলে রোকনের নাম নেই এবং ২৪ শিশুকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে—এ কথা জানানোর পর আয়েশা বলেন, ‘তাহলে আমার রোকন কোথায়? থাইল্যান্ড জঙ্গলে?’
আয়েশা বিবির বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া গ্রামে। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে নিয়েই কাটছিল তাঁর জীবন। তাঁর ছোট ছেলে মনির উদ্দিন মাদ্রাসায় পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মোটেল রোডের রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের সামনে ছেলে রোকনের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়েশা। কার্যালয় থেকে কেউ বের হলে ছেলের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তাঁর ছেলে রোকনের (১৬) কোনো খবর আছে কি না।
আয়েশা জানান, গত ১৭ এপ্রিল আজম নামে এক দালাল মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর বড় ছেলে মো. রোকনকে বাড়ি থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যায়। তারপর টেকনাফ থেকে ট্রলারে তুলে থাইল্যান্ডে পাচার করে। ১২ দিন পর রোকন ফোনে তাঁকে জানায়, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। না হলে সেখানকার দালালেরা তাকে মেরে ফেলবে। স্থানীয় দালাল আজম টাকার জন্য তাঁর কাছে এলেও টাকা দিতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
গত মঙ্গলবার পুলিশ ফিরিয়ে আনা অভিবাসীদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে গাড়িতে করে আদালতে নিয়ে যায়। আয়েশা বিবিও ছুটে যান সেখানে। কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। রাতে খবর পান, অভিবাসীদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৪ শিশুকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও রোকনের খোঁজ পাননি আয়েশা। ১৫০ জনের তালিকায় তাঁর ছেলে রোকনের নাম নেই এবং ২৪ শিশুকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে—এ কথা জানানোর পর আয়েশা বলেন, ‘তাহলে আমার রোকন কোথায়? থাইল্যান্ড জঙ্গলে?’
আয়েশা বিবির বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া গ্রামে। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে নিয়েই কাটছিল তাঁর জীবন। তাঁর ছোট ছেলে মনির উদ্দিন মাদ্রাসায় পড়ে।
No comments