বিশ্ব শিশুশ্রমবিরোধী দিবস- ২০১৬ সালের মধ্যে নিরসন হচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম by সামছুর রহমান
মো. সুজন। জীবিকার তাগিদে ওকে বেছে নিতে হয়েছে চালকের সহকারীর কাজ। ছবিটি রাজশাহী-কাকনহাট সড়ক থেকে গতকাল তোলা l প্রথম আলো |
সরকার
২০১৬ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু
কাজের যে অগ্রগতি, তাতে ২০১৬ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের কোনো সম্ভাবনাই
দেখা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২১ সালকে লক্ষ্য ধরে নতুন
জাতীয় পরিকল্পনা করতে হবে।
২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালে পাঁচ বছরমেয়াদি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১২-২০১৬) তৈরি করা হয়েছিল। তাতে ২০১৬ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের অঙ্গীকার করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান মানছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘অঙ্গীকারবদ্ধ সময়ের মধ্যে সম্ভব হচ্ছে না, তাই বলে কাজ থেমে নেই।’
২০১৬ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা অবান্তর ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. ইমরানুল হক চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নীতি অনুযায়ী যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করার কথা, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয় গড়ে ওঠেনি।’
সরকার শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকার করলেও দেশে এই মুহূর্তে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে তথ্য নেই। চার বছর আগে কর্মপরিকল্পনা নিলেও করা হয়নি কোনো জরিপ বা শুমারি। তাই শিশু শ্রমিকের সংখ্যার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভরসা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) পরিচালিত ২০০২-০৩ সালের সর্বশেষ জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ। জরিপে সপ্তাহে ৪৩ ঘণ্টার বেশি কাজ করে—এমন শিশুদের শিশু শ্রমিক ধরা হয়েছে। সে হিসাবে তখন দেশে শিশু শ্রমিক ছিল ৪৭ লাখ। এদের মধ্যে ১৩ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত।
শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে—এমন বেসরকারি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে শিশুশ্রমের ওপর হালনাগাদ শুমারি করার দাবি জানিয়ে আসছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়ক আবদুল্লা আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুশ্রমের আসল চিত্রটা কী, এটা কি বাড়ল নাকি কমল, কেউ বলতে পারবে না। কত শিশু শ্রমে জড়িত, সেটির সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলে কীভাবে শিশুশ্রম নিরসন হবে। একটি জাতীয় শিশুশ্রম শুমারি জরুরি।’
সরকার ২০১৩ সালে শিশুদের জন্য ৩৮টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করে। দেশের শিশু শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গৃহকর্মে নিয়োজিত। কিন্তু জোরালো দাবি সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় গৃহকর্মকে স্থান দেয়নি সরকার।
শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন গৃহকর্ম, ভাঙারি, পোশাক কারখানার ঝুটের কাজ, তুলা কারখানা বা বেডিংয়ের কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৩৮টি কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু একেক ধরনের কাজে ঝুঁকি বিভিন্ন রকম। তাই সেক্টর অনুযায়ী কাজের ঝুঁকিও চিহ্নিত করতে হবে।
শিশুশ্রম নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও তাদের কাজে সমন্বয়ের অভাব আছে। শিশুশ্রম বিষয়ে কাজ করছে—এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশু অধিদপ্তর করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালে শিশুশ্রম ইউনিট গঠন করেছিল। ২০১২ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে শিশু ইউনিটের আর কোনো কার্যক্রম নেই। অবশেষে শ্রম মন্ত্রণালয় এ বছর একটি শিশুশ্রম শাখা চালু করেছে।
যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান বলেন, এ শাখার কাজ হবে মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশুশ্রম নিরসনে যেসব কাজ হচ্ছে, সেগুলো দেখভাল করা।
২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালে পাঁচ বছরমেয়াদি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১২-২০১৬) তৈরি করা হয়েছিল। তাতে ২০১৬ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের অঙ্গীকার করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান মানছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘অঙ্গীকারবদ্ধ সময়ের মধ্যে সম্ভব হচ্ছে না, তাই বলে কাজ থেমে নেই।’
২০১৬ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা অবান্তর ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. ইমরানুল হক চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নীতি অনুযায়ী যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করার কথা, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয় গড়ে ওঠেনি।’
সরকার শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকার করলেও দেশে এই মুহূর্তে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে তথ্য নেই। চার বছর আগে কর্মপরিকল্পনা নিলেও করা হয়নি কোনো জরিপ বা শুমারি। তাই শিশু শ্রমিকের সংখ্যার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভরসা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) পরিচালিত ২০০২-০৩ সালের সর্বশেষ জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ। জরিপে সপ্তাহে ৪৩ ঘণ্টার বেশি কাজ করে—এমন শিশুদের শিশু শ্রমিক ধরা হয়েছে। সে হিসাবে তখন দেশে শিশু শ্রমিক ছিল ৪৭ লাখ। এদের মধ্যে ১৩ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত।
শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে—এমন বেসরকারি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে শিশুশ্রমের ওপর হালনাগাদ শুমারি করার দাবি জানিয়ে আসছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়ক আবদুল্লা আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুশ্রমের আসল চিত্রটা কী, এটা কি বাড়ল নাকি কমল, কেউ বলতে পারবে না। কত শিশু শ্রমে জড়িত, সেটির সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলে কীভাবে শিশুশ্রম নিরসন হবে। একটি জাতীয় শিশুশ্রম শুমারি জরুরি।’
সরকার ২০১৩ সালে শিশুদের জন্য ৩৮টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করে। দেশের শিশু শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গৃহকর্মে নিয়োজিত। কিন্তু জোরালো দাবি সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় গৃহকর্মকে স্থান দেয়নি সরকার।
শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন গৃহকর্ম, ভাঙারি, পোশাক কারখানার ঝুটের কাজ, তুলা কারখানা বা বেডিংয়ের কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৩৮টি কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু একেক ধরনের কাজে ঝুঁকি বিভিন্ন রকম। তাই সেক্টর অনুযায়ী কাজের ঝুঁকিও চিহ্নিত করতে হবে।
শিশুশ্রম নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও তাদের কাজে সমন্বয়ের অভাব আছে। শিশুশ্রম বিষয়ে কাজ করছে—এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশু অধিদপ্তর করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালে শিশুশ্রম ইউনিট গঠন করেছিল। ২০১২ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে শিশু ইউনিটের আর কোনো কার্যক্রম নেই। অবশেষে শ্রম মন্ত্রণালয় এ বছর একটি শিশুশ্রম শাখা চালু করেছে।
যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান বলেন, এ শাখার কাজ হবে মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশুশ্রম নিরসনে যেসব কাজ হচ্ছে, সেগুলো দেখভাল করা।
No comments