মিসরে পর্যটন এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলা
মিসরে নীল নদের তীরবর্তী লুক্সর শহরের একটি পর্যটনকেন্দ্র এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। প্রাচীন কর্নক মন্দির এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামলাকারী তিন আত্মঘাতী বোমারু নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এ সময় আহত হন মন্দিরের চার দর্শনার্থী। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মিসরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র কর্নক মন্দিরে ঘোরতে যান দেশ-বিদেশের কয়েক কোটি পর্যটক। পর্যটন গুরুত্বের দিক থেকে গিজার পিরামিডের পরই এর স্থান। পুলিশ জানিয়েছে, তারা একই মন্দিরে এর আগে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে সেনা অভ্যুত্থানে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। কর্নক মন্দির মিসরের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম। হামলাকারীর পরিকল্পনা ছিল পর্যটকদের ভিড়ের মধ্যে থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো।
পুলিশ সন্দেহজনক গতিবিধি বুঝতে পেরে তিনজনের সংঘবদ্ধ একটি দলকে ঘিরে ফেলতে চেষ্টা করলে তারা কর্নক মন্দিরে নিকটস্থ একটি প্রতিবন্ধক টপকাতে চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, দু’জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। দেশত্যাগে ইচ্ছুক এক-চতুর্থাংশ তরুণ : মিসরীয় তরুণ-তরুণী যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ এর মধ্যে তাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। মিসরের বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, ২০১৪ সালে পরিচালিত এক সরকারি জরিপ মতে, প্রায় ২৫.৮ ভাগ তরুণ-তরুণী দেশত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাসের জন্য চলে যেতে চায়। জরিপে দেখে যায়, ১৭.২ ভাগ তরুণ দেশত্যাগ করতে চায়। তুলনায় মাত্র ৭.৮ ভাগ তরুণী মিসর ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যাওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছে। জরিপটি ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল এজেন্সি ফর পাবলিক মবিলাইজেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (ক্যাপম্যাস) সহায়তায় ইজিপ্টিয়ান সেন্টার ফর পপুলেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়। কেন তারা দেশান্তরী হতে চায়, তরুণ-তরুণীরা তার কারণও জানিয়েছে।
No comments