সঞ্চয়পত্রেও আর ভরসা থাকছে না by প্রতীক বর্ধন
বাজেটের
আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে,
ইতিমধ্যে তা কার্যকরও করা হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঋণের সুদের হার
এক ডিজিটে নামিয়ে আনার যে দাবি ব্যবসায়ীরা করছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা
করা হয়েছে। গতকাল আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আমানতের সুদের হারও কমানো
হয়েছে।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সব সময় একই রকম থাকবে না, তা ঠিক। দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নির্ধারিত হবে। অথবা এ খাত থেকে সরকারের যা প্রত্যাশা ছিল, তা মিটে গেলে সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেবে। রীতি অনুসারে সেটাই হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এর কী প্রভাব পড়বে, তাও চিন্তা করতে হবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় বেশি লাভের আশায় এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝুঁকি না থাকায় গত এক বছরে গ্রাহকেরা এ খাতেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছেন। এমনকি এর ফলে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগও কমে গিয়েছিল। তাঁদের মতে, সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম উৎস হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্রে বেশি বিনিয়োগ হলে সরকারকে ব্যাংক থেকে কম ঋণ নিতে হবে। ফলে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এটি সরকারের জন্য ইতিবাচক দিক। তেমনি সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি হওয়ায় এর বিপরীতে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক বেশি সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা সরকারের ঋণের বোঝা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। সে তুলনায় ব্যাংক সুদের হার কম। কিন্তু ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে তা সামষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে এই ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ জটিল ব্যাপার।
সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পেনশনভোগী ও অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা। তাঁদের অনেকেই শুধু এই সুদের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই শ্রেণির অনেক পাঠকই প্রথম আলোতে চিঠি লিখে তাঁদের উদ্বেগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে দেশের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান সঞ্চয় মাধ্যম মধ্যবিত্তের জন্য মোটেও লাভজনক নয়। এর বাইরে আছে পুঁজিবাজারের নানা মাধ্যম। আর বিমার কথা না বলাই ভালো। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে জনগণের জীবনের নিরাপত্তায় বিমা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলেও আমাদের দেশে বিমার অবস্থা যাচ্ছেতাই।
হঠাৎ করে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর কারণে প্রথমত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা কমে যেতে পারে। ফলে তারা আগের তুলনায় বেশি ভোগব্যয় করতে পারে অথবা শেয়ারবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে এ বিনিয়োগ চলে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, সমবায়ের নামে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠতে পারে। যেখানে বেশি লাভের আশায় বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হতে পারে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল। আবার জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের সঞ্চয়ের হার যদি কমে যায় তাহলে তাদের জীবন আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রে উচ্চ সুদ থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।
এদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হবে, এই ঘোষণার পরই দেশের পুঁজিবাজারে চাঙা ভাব দেখা গেছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে গেলে লোকে দলে দলে পুঁজিবাজারে টাকা বিনিয়োগ করবে তা ঠিক, কিন্তু সেটা নিয়ে খুব উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পুঁজিবাজার যে প্রথাগত বাজার অর্থনীতিরও ধার ধারে না, সেটা আমরা সবাই জানি। ১৯৯৬ ও ২০০৯-১০ সালের অভিজ্ঞতা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি।
উন্নত দেশে পারসোনাল ফিন্যান্স বলে একটা জিনিস আছে। আমাদের দেশের ব্যাংকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার হলেও এ–বিষয়ক সচেতনতা ও আয়োজন একরকম অনুপস্থিতই বলা যায়। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া এখানে অন্য পেশাজীবীরা পেনশন ভোগ করে না। উন্নত দেশে বিমা কোম্পানিগুলোর পেনশন প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না, বিমা কোম্পানির পেনশন প্রকল্প আছে। যারা জানে, তারা আস্থার অভাবে ও পথ মাড়ায় না। ফলে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি চাকরিজীবী ও ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে হিমশিম খান। অথচ একটু চেষ্টা করলেই বিমা কোম্পানির পেনশন প্রকল্প জনপ্রিয় করা যায়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের সম্মিলিত চেষ্টায় তা করা সম্ভব। এমনিতেই জাতি হিসেবে আমরা সঞ্চয়প্রবণ নই, ফলে দুয়ে মিলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনের অনিশ্চয়তা যেন কোনো দিন কাটে না। বিমার সুবিধা হচ্ছে, এর তহবিল দীর্ঘ মেয়াদে নানা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায়। এই তহবিল দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করা সম্ভব, দেশের পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতেও বিমার টাকা বিনিয়োগ করা যায়।
আমাদের প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছরে ৬-এর কোঠায় আছে, আমাদের দারিদ্র্য ৭০ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩০ শতাংশে নেমেছে—এসব নিয়ে আমরা যতই গর্ব করি না কেন, জনগণের জীবনমান উন্নত না হলে কিছুই কাজে আসবে না। মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে তারা ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে তা খরচ করবে। এতে আবার অর্থনীতির পরিসরও বাড়বে।
কথা হচ্ছে, সঞ্চয়পত্র ও আমানতের সুদের হার কমালেই যে ঋণের সুদের হার এক ডিজিটে নামানো যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তা সম্ভব হলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এতে হয়তো শেষ বিচারে মানুষের লাভ হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব না হলে সাধারণ মানুষের আম ও ছালা দুটোই যাবে। আবার সরকারি নীতির ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা দরকার। যখন যেটা মনে হয় তখন সেটা করলে চলবে না। শুধু সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমালে বা বাড়ালে মহা কিছু হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সরকারি নীতি প্রণয়নের সময় অধিকাংশ মানুষের কথা বিবেচনা করতে হবে, সেটাই আসল ব্যাপার।
প্রতীক বর্ধন: সাংবাদিক ও অনুবাদক।
bardhanprotik@gmail.com
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সব সময় একই রকম থাকবে না, তা ঠিক। দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নির্ধারিত হবে। অথবা এ খাত থেকে সরকারের যা প্রত্যাশা ছিল, তা মিটে গেলে সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেবে। রীতি অনুসারে সেটাই হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এর কী প্রভাব পড়বে, তাও চিন্তা করতে হবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় বেশি লাভের আশায় এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝুঁকি না থাকায় গত এক বছরে গ্রাহকেরা এ খাতেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছেন। এমনকি এর ফলে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগও কমে গিয়েছিল। তাঁদের মতে, সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম উৎস হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্রে বেশি বিনিয়োগ হলে সরকারকে ব্যাংক থেকে কম ঋণ নিতে হবে। ফলে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এটি সরকারের জন্য ইতিবাচক দিক। তেমনি সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি হওয়ায় এর বিপরীতে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক বেশি সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা সরকারের ঋণের বোঝা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। সে তুলনায় ব্যাংক সুদের হার কম। কিন্তু ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে তা সামষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে এই ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ জটিল ব্যাপার।
সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পেনশনভোগী ও অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা। তাঁদের অনেকেই শুধু এই সুদের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই শ্রেণির অনেক পাঠকই প্রথম আলোতে চিঠি লিখে তাঁদের উদ্বেগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে দেশের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান সঞ্চয় মাধ্যম মধ্যবিত্তের জন্য মোটেও লাভজনক নয়। এর বাইরে আছে পুঁজিবাজারের নানা মাধ্যম। আর বিমার কথা না বলাই ভালো। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে জনগণের জীবনের নিরাপত্তায় বিমা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলেও আমাদের দেশে বিমার অবস্থা যাচ্ছেতাই।
হঠাৎ করে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর কারণে প্রথমত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা কমে যেতে পারে। ফলে তারা আগের তুলনায় বেশি ভোগব্যয় করতে পারে অথবা শেয়ারবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে এ বিনিয়োগ চলে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, সমবায়ের নামে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠতে পারে। যেখানে বেশি লাভের আশায় বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হতে পারে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল। আবার জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের সঞ্চয়ের হার যদি কমে যায় তাহলে তাদের জীবন আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্রে উচ্চ সুদ থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।
এদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হবে, এই ঘোষণার পরই দেশের পুঁজিবাজারে চাঙা ভাব দেখা গেছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে গেলে লোকে দলে দলে পুঁজিবাজারে টাকা বিনিয়োগ করবে তা ঠিক, কিন্তু সেটা নিয়ে খুব উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পুঁজিবাজার যে প্রথাগত বাজার অর্থনীতিরও ধার ধারে না, সেটা আমরা সবাই জানি। ১৯৯৬ ও ২০০৯-১০ সালের অভিজ্ঞতা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি।
উন্নত দেশে পারসোনাল ফিন্যান্স বলে একটা জিনিস আছে। আমাদের দেশের ব্যাংকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার হলেও এ–বিষয়ক সচেতনতা ও আয়োজন একরকম অনুপস্থিতই বলা যায়। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া এখানে অন্য পেশাজীবীরা পেনশন ভোগ করে না। উন্নত দেশে বিমা কোম্পানিগুলোর পেনশন প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না, বিমা কোম্পানির পেনশন প্রকল্প আছে। যারা জানে, তারা আস্থার অভাবে ও পথ মাড়ায় না। ফলে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি চাকরিজীবী ও ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে হিমশিম খান। অথচ একটু চেষ্টা করলেই বিমা কোম্পানির পেনশন প্রকল্প জনপ্রিয় করা যায়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের সম্মিলিত চেষ্টায় তা করা সম্ভব। এমনিতেই জাতি হিসেবে আমরা সঞ্চয়প্রবণ নই, ফলে দুয়ে মিলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনের অনিশ্চয়তা যেন কোনো দিন কাটে না। বিমার সুবিধা হচ্ছে, এর তহবিল দীর্ঘ মেয়াদে নানা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায়। এই তহবিল দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করা সম্ভব, দেশের পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতেও বিমার টাকা বিনিয়োগ করা যায়।
আমাদের প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছরে ৬-এর কোঠায় আছে, আমাদের দারিদ্র্য ৭০ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩০ শতাংশে নেমেছে—এসব নিয়ে আমরা যতই গর্ব করি না কেন, জনগণের জীবনমান উন্নত না হলে কিছুই কাজে আসবে না। মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে তারা ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে তা খরচ করবে। এতে আবার অর্থনীতির পরিসরও বাড়বে।
কথা হচ্ছে, সঞ্চয়পত্র ও আমানতের সুদের হার কমালেই যে ঋণের সুদের হার এক ডিজিটে নামানো যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তা সম্ভব হলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এতে হয়তো শেষ বিচারে মানুষের লাভ হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব না হলে সাধারণ মানুষের আম ও ছালা দুটোই যাবে। আবার সরকারি নীতির ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা দরকার। যখন যেটা মনে হয় তখন সেটা করলে চলবে না। শুধু সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমালে বা বাড়ালে মহা কিছু হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সরকারি নীতি প্রণয়নের সময় অধিকাংশ মানুষের কথা বিবেচনা করতে হবে, সেটাই আসল ব্যাপার।
প্রতীক বর্ধন: সাংবাদিক ও অনুবাদক।
bardhanprotik@gmail.com
No comments