বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী সিলেট নগরবাসী
গত
বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে সিলেট নগর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া-অভিযান চলছিল। এর
সুফলও মিলছিল। সেবার জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি। বছর ঘুরে এবার সেই আগের মতোই
জলাবদ্ধতার মুখে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ভারী
বৃষ্টিপাতে নগরের অর্ধশতাধিক মহল্লায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ১৪৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। গতকাল সকালের তিন ঘণ্টায় এই পরিমাণ বৃষ্টি এ মৌসুমে আর হয়নি বলে জানান সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিন ঘণ্টার টানা বর্ষণে নগরের অর্ধশতাধিক মহল্লায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর মধ্যে নগরের দরগাহ মহল্লা, লন্ডনি রোড, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, লোহারপাড়া, হাওয়াপাড়া, তাঁতীপাড়া, সওদাগরটুলা, চারাদিঘীরপাড়, দাঁড়িয়াপাড়া, তালতলা, মির্জাজাঙ্গাল, ভাতালিয়া, বিলপাড়, কাজলশাহ, বাগবাড়ি, বড়বাজার, খাসদবির, সোনারপাড়া, রায়নগর, দর্জিপাড়া, লালাদিঘিরপাড়, যতরপুর, শাহজালাল উপশহর—এই ২৪ মহল্লায় জলাবদ্ধতা অনেকটা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এসব এলাকা থেকে পানি সহসাই নামছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। গতকাল দুপুরের দিকে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, কোনো কোনো বাসা-বাড়িতে উঠেছে পানি। আশপাশ জলমগ্ন থাকায় রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সোনারপাড়ার বাসিন্দা শফিক আহমদ জানান, তাঁর এলাকায় ছড়ার পানি উপচে বাসায় পানি উঠেছে। ঘরের অনেক আসবাব ভিজে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা সুবেলচন্দ্র নাথ জানান, ছড়া ও খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হয়। শুধু ছড়া-খাল নয়, অনেক স্থানে লোকজন ড্রেনও দখল করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছে। এ কারণে এবার জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সিলেট নগরে জলাবদ্ধতার কারণ মূলত ছড়াকেন্দ্রিক। উত্তর দিকের চা-বাগানের টিলা এলাকা থেকে ছোট-বড় নয়টি ছড়া-খাল নগর দিয়ে সুরমা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। নয়টি ছড়া ছিল মূলত নগরের প্রাকৃতিক নালা। কিন্তু এগুলো দখলে-দূষণে বিপন্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্তব্যরতরা স্বীকার করেন, গত শুষ্ক মৌসুমে ছড়াগুলোকে দখলমুক্ত করার সেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করায় এবার ফের জলাবদ্ধতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সব রকম চেষ্টা ধারাবাহিকভাবে চলে। এবারও চলছে।
এদিকে গতকালের জলাবদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে সিলেট সিটি করপোরেশন ৬ জুন থেকে জলাবদ্ধপ্রবণ পাঁচটি ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করে ‘সমন্বিত কার্যক্রম’ শুরু করেছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে যাতে সিটি করপোরেশন এলাকা সব সময় জলাবদ্ধতামুক্ত থাকে সে জন্য এ কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এ কার্যক্রম চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগির এই কাজও শুরু হবে।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ১৪৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। গতকাল সকালের তিন ঘণ্টায় এই পরিমাণ বৃষ্টি এ মৌসুমে আর হয়নি বলে জানান সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিন ঘণ্টার টানা বর্ষণে নগরের অর্ধশতাধিক মহল্লায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর মধ্যে নগরের দরগাহ মহল্লা, লন্ডনি রোড, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, লোহারপাড়া, হাওয়াপাড়া, তাঁতীপাড়া, সওদাগরটুলা, চারাদিঘীরপাড়, দাঁড়িয়াপাড়া, তালতলা, মির্জাজাঙ্গাল, ভাতালিয়া, বিলপাড়, কাজলশাহ, বাগবাড়ি, বড়বাজার, খাসদবির, সোনারপাড়া, রায়নগর, দর্জিপাড়া, লালাদিঘিরপাড়, যতরপুর, শাহজালাল উপশহর—এই ২৪ মহল্লায় জলাবদ্ধতা অনেকটা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এসব এলাকা থেকে পানি সহসাই নামছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। গতকাল দুপুরের দিকে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, কোনো কোনো বাসা-বাড়িতে উঠেছে পানি। আশপাশ জলমগ্ন থাকায় রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সোনারপাড়ার বাসিন্দা শফিক আহমদ জানান, তাঁর এলাকায় ছড়ার পানি উপচে বাসায় পানি উঠেছে। ঘরের অনেক আসবাব ভিজে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা সুবেলচন্দ্র নাথ জানান, ছড়া ও খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হয়। শুধু ছড়া-খাল নয়, অনেক স্থানে লোকজন ড্রেনও দখল করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছে। এ কারণে এবার জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সিলেট নগরে জলাবদ্ধতার কারণ মূলত ছড়াকেন্দ্রিক। উত্তর দিকের চা-বাগানের টিলা এলাকা থেকে ছোট-বড় নয়টি ছড়া-খাল নগর দিয়ে সুরমা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। নয়টি ছড়া ছিল মূলত নগরের প্রাকৃতিক নালা। কিন্তু এগুলো দখলে-দূষণে বিপন্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্তব্যরতরা স্বীকার করেন, গত শুষ্ক মৌসুমে ছড়াগুলোকে দখলমুক্ত করার সেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করায় এবার ফের জলাবদ্ধতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সব রকম চেষ্টা ধারাবাহিকভাবে চলে। এবারও চলছে।
এদিকে গতকালের জলাবদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে সিলেট সিটি করপোরেশন ৬ জুন থেকে জলাবদ্ধপ্রবণ পাঁচটি ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করে ‘সমন্বিত কার্যক্রম’ শুরু করেছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে যাতে সিটি করপোরেশন এলাকা সব সময় জলাবদ্ধতামুক্ত থাকে সে জন্য এ কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এ কার্যক্রম চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগির এই কাজও শুরু হবে।
No comments