মুরসিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে
ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে আটকে রেখেছে সেনাবাহিনী। একজন
শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঊর্ধ্বতন
ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য মুরসিকে
“নিবৃত্তিমূলকভাবে” আটকে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের করা অভিযোগ নিয়ে তাঁর
বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হতে পারে।’
বুধবার রাতে অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পরই আল-জাজিরা টেলিভিশনে মুরসির আগের ধারণ করা একটি ভাষণ প্রচার করা হয়। ওই ভাষণে সমর্থকদের উদ্দেশে ‘সেনা অভ্যুত্থান’ প্রতিহত করার আহ্বান জানান মুরসি। এর পরই তিনিসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মুরসির ওই হুমকির কারণে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি মিসরীয়দের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন।’
মুরসিকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ইতিপূর্বে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, মুরসি ও তাঁর শীর্ষ সহযোগীদের একটি সামরিক স্থাপনায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা ও মুরসির ডান হাত বলে খ্যাত ইসাম এল-হাদ্দাদের ছেলে জিহাদ এল-হাদ্দাদ বলেন, ‘মুরসি ও প্রেসিডেন্ট ভবনের সব কর্মকর্তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল রিপাবলিকান গার্ডস ক্লাবে আটকে রাখা হয়েছে। তবে মুরসিকে তাঁর সহযোগী ও উপদেষ্টাদের কাছ থেকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারিতে আছেন।’
মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে সম্প্রতি মিসরে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়। এরপর গত ৩০ জুন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন মুরসিবিরোধীরা। তাঁরা তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়ে মুরসির পদত্যাগের দাবিতে টানা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রেসিডেন্টকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু মুরসি ওই সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বুধবার রাতে মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে সংবিধান স্থগিত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের নাম ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলাকালে কারাগার থেকে অন্য বন্দীদের সঙ্গে মুরসিও পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কায়রোর একটি আদালত মুরসি ও তাঁর সহযোগীদের প্রতি সমন জারি করেছেন। কারাগার থেকে পলায়নের ওই ঘটনায় মুরসির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হতে পারে।
মুরসির শীর্ষ সহযোগীরা অভ্যুত্থানের পর থেকে ফোন বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা জানান, তাঁরাও তাঁদের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এএফপি, এপি ও রয়টার্স।
বুধবার রাতে অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পরই আল-জাজিরা টেলিভিশনে মুরসির আগের ধারণ করা একটি ভাষণ প্রচার করা হয়। ওই ভাষণে সমর্থকদের উদ্দেশে ‘সেনা অভ্যুত্থান’ প্রতিহত করার আহ্বান জানান মুরসি। এর পরই তিনিসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মুরসির ওই হুমকির কারণে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি মিসরীয়দের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন।’
মুরসিকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ইতিপূর্বে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, মুরসি ও তাঁর শীর্ষ সহযোগীদের একটি সামরিক স্থাপনায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা ও মুরসির ডান হাত বলে খ্যাত ইসাম এল-হাদ্দাদের ছেলে জিহাদ এল-হাদ্দাদ বলেন, ‘মুরসি ও প্রেসিডেন্ট ভবনের সব কর্মকর্তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল রিপাবলিকান গার্ডস ক্লাবে আটকে রাখা হয়েছে। তবে মুরসিকে তাঁর সহযোগী ও উপদেষ্টাদের কাছ থেকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারিতে আছেন।’
মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে সম্প্রতি মিসরে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়। এরপর গত ৩০ জুন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন মুরসিবিরোধীরা। তাঁরা তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়ে মুরসির পদত্যাগের দাবিতে টানা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রেসিডেন্টকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু মুরসি ওই সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বুধবার রাতে মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে সংবিধান স্থগিত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের নাম ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলাকালে কারাগার থেকে অন্য বন্দীদের সঙ্গে মুরসিও পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কায়রোর একটি আদালত মুরসি ও তাঁর সহযোগীদের প্রতি সমন জারি করেছেন। কারাগার থেকে পলায়নের ওই ঘটনায় মুরসির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হতে পারে।
মুরসির শীর্ষ সহযোগীরা অভ্যুত্থানের পর থেকে ফোন বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা জানান, তাঁরাও তাঁদের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এএফপি, এপি ও রয়টার্স।
No comments