গাজীপুর সিটি নির্বাচন আ.লীগের দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপি by শরিফুল হাসান ও মাসুদ রানা
গোপালগঞ্জের পর গাজীপুরকে আওয়ামী লীগ
তাদের ঘাঁটি মনে করে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এখানে বরাবরই জয়
পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এবার নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অতীতের
সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে মনে করে ক্ষমতাসীন দলটি।
তবে
চার সিটি করপোরেশনে জয়ের পর বেশ আত্মবিশ্বাসী বিএনপি এবার আওয়ামী লীগের এই
দুর্গে হানা দিতে চায়। বিএনপির নেতারা বলছেন, গাজীপুরে জয়ী হয়ে তাঁরা
প্রমাণ করতে চান, এই সরকারের প্রতি মানুষের আর আস্থা নেই।
ফলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমাবদ্ধ নেই। প্রথম নগরপিতা নির্বাচনের এই লড়াই এখন দুই দলের অস্তিত্ব ও মর্যাদার লড়াই। এ লড়াইয়ে কে জয়ী হবে, তা নির্ধারিত হবে কাল শনিবার ৬ জুলাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান এবং বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান দুজনেই ছুটেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। জয়ের ব্যাপারে দুই প্রার্থীই শতভাগ আশাবাদী।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ালেও পরিবেশটা বেশ শান্তিপূর্ণ ও অনুকূল। নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, তারা আরেকটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট দেওয়া হবে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১১ হাজার সদস্য এই নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতও থাকবেন।’
গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা, বাসন, পুবাইল, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কাউলতিয়া—এই ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৩৯২টি। গত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা ইউনিয়নে ভোটার পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৭ জন, যা মোট ভোটের প্রায় ৬০ শতাংশ। এই তিনটি স্থানে গত দুই দশক ধরে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য।
টঙ্গী পৌরসভার মোট ভোটার তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। ১৯৯৫ সালে টঙ্গী মডেল পৌরসভা হওয়ার পর পর তিনটি নির্বাচনেই জয়ী হয়ে ১৮ বছর ধরে মেয়র ছিলেন আজমত উল্লা। এখানেও আওয়ামী লীগের প্রভাব বেশি বলে মনে করছেন নেতারা।
গাজীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। এখানকার ভোটার এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬২ জন। এই পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপি কখনো জেতেনি।
আওয়ামী লীগের পৌরসভার সভাপতি ওয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘বরাবরই গাজীপুর পৌরসভায় জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হব।’ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট গাছা ইউনিয়নে। এখানকার ভোটার এক লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ জন। ১৯৮৮ সাল থেকে এই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। গাছা ইউপির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ইউনিয়নে বরাবরই আমরা জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা একচেটিয়া ভোট পাব।’
পুবাইল ইউনিয়নের জয় নিয়েও আশাবাদী আওয়ামী লীগ। কারণ, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টার, যিনি সাংসদ থাকা অবস্থায় গত বিএনপির শাসনামলে গুলিতে নিহত হন। এখানে ভোটার ৫২ হাজার ২১১ জন।
শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই নয়, ’৯১ সালের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনে (সদর ও টঙ্গী) কখনো বিএনপি জয় পায়নি। ’৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের বাকি চারটি আসনেও জয় পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে ’৯১ ও ২০০১ সালে তিনটি আসন পেয়েছিল বিএনপি।
বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নান ’৯১ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৪ সালের উপনির্বাচন এবং ২০০৮ সবগুলো নির্বাচনেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবে সরকারের নানা ব্যর্থতা আর চার সিটিতে বিরোধী দলের জয়ের পর এবার আওয়ামী লীগের এই দুর্গ ভেঙে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
ফলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমাবদ্ধ নেই। প্রথম নগরপিতা নির্বাচনের এই লড়াই এখন দুই দলের অস্তিত্ব ও মর্যাদার লড়াই। এ লড়াইয়ে কে জয়ী হবে, তা নির্ধারিত হবে কাল শনিবার ৬ জুলাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান এবং বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান দুজনেই ছুটেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। জয়ের ব্যাপারে দুই প্রার্থীই শতভাগ আশাবাদী।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ালেও পরিবেশটা বেশ শান্তিপূর্ণ ও অনুকূল। নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, তারা আরেকটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট দেওয়া হবে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১১ হাজার সদস্য এই নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতও থাকবেন।’
গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা, বাসন, পুবাইল, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কাউলতিয়া—এই ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৩৯২টি। গত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা ইউনিয়নে ভোটার পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৭ জন, যা মোট ভোটের প্রায় ৬০ শতাংশ। এই তিনটি স্থানে গত দুই দশক ধরে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য।
টঙ্গী পৌরসভার মোট ভোটার তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। ১৯৯৫ সালে টঙ্গী মডেল পৌরসভা হওয়ার পর পর তিনটি নির্বাচনেই জয়ী হয়ে ১৮ বছর ধরে মেয়র ছিলেন আজমত উল্লা। এখানেও আওয়ামী লীগের প্রভাব বেশি বলে মনে করছেন নেতারা।
গাজীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। এখানকার ভোটার এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬২ জন। এই পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপি কখনো জেতেনি।
আওয়ামী লীগের পৌরসভার সভাপতি ওয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘বরাবরই গাজীপুর পৌরসভায় জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হব।’ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট গাছা ইউনিয়নে। এখানকার ভোটার এক লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ জন। ১৯৮৮ সাল থেকে এই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। গাছা ইউপির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ইউনিয়নে বরাবরই আমরা জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা একচেটিয়া ভোট পাব।’
পুবাইল ইউনিয়নের জয় নিয়েও আশাবাদী আওয়ামী লীগ। কারণ, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টার, যিনি সাংসদ থাকা অবস্থায় গত বিএনপির শাসনামলে গুলিতে নিহত হন। এখানে ভোটার ৫২ হাজার ২১১ জন।
শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই নয়, ’৯১ সালের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনে (সদর ও টঙ্গী) কখনো বিএনপি জয় পায়নি। ’৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের বাকি চারটি আসনেও জয় পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে ’৯১ ও ২০০১ সালে তিনটি আসন পেয়েছিল বিএনপি।
বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নান ’৯১ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৪ সালের উপনির্বাচন এবং ২০০৮ সবগুলো নির্বাচনেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবে সরকারের নানা ব্যর্থতা আর চার সিটিতে বিরোধী দলের জয়ের পর এবার আওয়ামী লীগের এই দুর্গ ভেঙে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
No comments