আন্দামানে বাংলাদেশি জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ১১
বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ায় ১১ জন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন।
থাইল্যান্ডের ফুকেট উপকূল থেকে প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে গতকাল
বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ছয় নাবিককে উদ্ধার করা
হয়েছে।
এমভি হোপ নামের জাহাজটি মানবতাবিরোধী অপরাধে
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ছোট ভাই জামাল
কাদের চৌধুরীর মালিকানাধীন ট্রেড ব্রিজ শিপিংয়ের বলে জানা গেছে। এটির
ব্যাপারে জানতে ট্রেড ব্রিজ শিপিংয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন আব্দুল কাদেরের
মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।
জাহাজ দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ট্রেড ব্রিজ শিপিংয়ের জাহাজ এমভি হোপ গতকাল সকালে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে থাইল্যান্ডের ফুকেট বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তারা ছয়জন বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ওই নাবিকদের নাম জানায়নি।
প্রিন্সিপাল অফিসার জানান, শিপিং আইন অনুযায়ী জাহাজে নাবিক নিয়োগকারী সংস্থার কাছে নাবিকদের পরিচিতিমূলক তালিকা থাকার কথা। তাতে তাঁদের ছবিও থাকার কথা। কিন্তু সে তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন নাবিক নিয়োগকারী সংস্থা জেএস শিপিং ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার লুমুত বন্দর থেকে সিরামিক পণ্য তৈরির কাঁচামাল (বল ক্লে) নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে গতকাল সকালে থাইল্যান্ডের ফুকেট উপকূল থেকে প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্দামান সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজটি। ক্যাপ্টেন রাজীব কর্মকার দিক পরিবর্তন করে আবার ফুকেট বন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে এটি এক পাশে কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। নাবিকরা প্রাণ বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে সাগরে লাফিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে থাই নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সাগর থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের (৪০) এক নাবিককে উদ্ধার করে ফুকেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সাগরে অবস্থানরত এমভি বাঙ্মুন নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ ঘটনাস্থল থেকে আরো পাঁচ নাবিককে উদ্ধার করে।
নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে থাই নৌবাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকেই ডুবুরি নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান জেএস শিপিং ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক।
অতিরিক্ত পণ্য বহন করছিল এমভি হোপ
১৯৯০ সালে নির্মিত এমভি হোপ জাহাজটির ধারণক্ষমতা পাঁচ হাজার ৫৫০ টন হলেও গতকাল দুর্ঘটনায় পড়ার সময় এটিতে ছয় হাজার ৫৪৫ টন পণ্য ছিল। আগামী ৮ জুলাই এটির চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। এমভি হোপের দেশীয় শিপিং এজেন্ট 'আরগো' চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দিয়েছিল, এতে ছয় হাজার ৫৪৫ টন পণ্য রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের নিবন্ধিত শিপিং এজেন্টের তালিকায় এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
শিপিং-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে থাকতে পারে।
জাহাজ দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ট্রেড ব্রিজ শিপিংয়ের জাহাজ এমভি হোপ গতকাল সকালে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে থাইল্যান্ডের ফুকেট বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তারা ছয়জন বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ওই নাবিকদের নাম জানায়নি।
প্রিন্সিপাল অফিসার জানান, শিপিং আইন অনুযায়ী জাহাজে নাবিক নিয়োগকারী সংস্থার কাছে নাবিকদের পরিচিতিমূলক তালিকা থাকার কথা। তাতে তাঁদের ছবিও থাকার কথা। কিন্তু সে তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন নাবিক নিয়োগকারী সংস্থা জেএস শিপিং ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার লুমুত বন্দর থেকে সিরামিক পণ্য তৈরির কাঁচামাল (বল ক্লে) নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে গতকাল সকালে থাইল্যান্ডের ফুকেট উপকূল থেকে প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্দামান সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজটি। ক্যাপ্টেন রাজীব কর্মকার দিক পরিবর্তন করে আবার ফুকেট বন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে এটি এক পাশে কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। নাবিকরা প্রাণ বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে সাগরে লাফিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে থাই নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সাগর থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের (৪০) এক নাবিককে উদ্ধার করে ফুকেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সাগরে অবস্থানরত এমভি বাঙ্মুন নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ ঘটনাস্থল থেকে আরো পাঁচ নাবিককে উদ্ধার করে।
নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে থাই নৌবাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকেই ডুবুরি নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান জেএস শিপিং ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক।
অতিরিক্ত পণ্য বহন করছিল এমভি হোপ
১৯৯০ সালে নির্মিত এমভি হোপ জাহাজটির ধারণক্ষমতা পাঁচ হাজার ৫৫০ টন হলেও গতকাল দুর্ঘটনায় পড়ার সময় এটিতে ছয় হাজার ৫৪৫ টন পণ্য ছিল। আগামী ৮ জুলাই এটির চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। এমভি হোপের দেশীয় শিপিং এজেন্ট 'আরগো' চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দিয়েছিল, এতে ছয় হাজার ৫৪৫ টন পণ্য রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের নিবন্ধিত শিপিং এজেন্টের তালিকায় এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
শিপিং-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে থাকতে পারে।
No comments