অস্তিত্ব সংকটে মুসলিম ব্রাদারহুড
৮০ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর
রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষমতা পেয়েছিল মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড। সাবেক
স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যায় দলটি।
কিন্তু বছর না ঘুরতেই নিজেদের সবচেয়ে বড় অবলম্বন, সেই বাঁধভাঙা জনসমর্থন
হারিয়ে ফেলেছে তারা। মিসরে ব্রাদারহুডের এক বছরের শাসনকে অপশাসন ও ক্ষমতার
অপব্যবহারের উৎকৃষ্ট নমুনা বিবেচনা করা হচ্ছে। অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থতা,
অব্যবস্থাপনা, বিশ্বাসভঙ্গের যে নজির মুসলিম ব্রাদারহুড ও দলের নেতা
মোহাম্মদ মুরসি স্থাপন করেছেন, তাতে ভবিষ্যতে মিসরে দলটির অস্তিত্বই হুমকির
মুখে পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এখন
মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড সক্রিয় আছে, তার সবগুলোতেই
দলটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
'ইসলামী শাসন' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ব্রাদারহুড। ইসলামী শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামপন্থী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার আদর্শে তারা তৎপর ছিল। মিসর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে দলটি। হোসনি মুবারকের শাসনামলে মিসরে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৎপরতা চালানোর সুযোগ ছিল না ব্রাদারহুডের। তার পরও প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই দলটির সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভালো জনসমর্থন পেয়েছে। ২০১১ সালের গণ-আন্দোলনে মুবারকের পতন ঘটলে সবচেয়ে সংগঠিত দল হিসেবে মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরই মিসরীয়রা আস্থা রাখে। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছরের ৩০ জুন ক্ষমতায় আসে দলটি।
মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ হাবিব বলেন, বিগত দশকগুলোতে যে জনপ্রিয়তা ব্রাদারহুডকে সব ঝড়ঝাপটা থেকে আগলে রেখেছে, মুরসির এক বছরের শাসনামলে তা নাটকীয়ভাবে বিলীন হয়ে গেছে। মুরসি ও দলের অন্য নেতারা ক্ষমতা নিজেদের হাতে পুঞ্জীভূত করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইসলামী শাসন কায়েম করাকেই গুরুত্ব দিতে গিয়ে দেশকে চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার দিকে নিয়ে গেছেন। ভিন্নমতাবলম্বী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা, সমঝোতা ও ছাড় দেওয়া যে অঙ্গীকার মুরসি করেছিলেন, তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনেও মুরসি ব্যর্থ হয়েছেন বরং মিসরে নানা রকমের বিভাজন তৈরি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাথান ব্রাউন বলেন, 'মুসলিম ব্রাদারহুডের ইতিহাসে মুরসির শাসন নিঃসন্দেহে ব্যর্থতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মুরসি শুধু গড়িমসিই করে গেছেন, তাঁর দল বিপ্লবের অর্জনকে কাজে লাগানোর সব সুযোগ হাতছাড়া করেছে। নির্বাচনে ভালো করলেও দেশের কঠিন সমস্যাগুলো মোকাবিলার দায়িত্ব গ্রহণে অবহেলা করেছে।'
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের দোহা শাখার বিশ্লেষক সালমান শেখ বলেন, 'মুরসি ও ব্রাদারহুডের ব্যর্থতায় বিরক্ত হয়েই মিসরীয়রা সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।' সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর থেকেই ব্রাদারহুডের নেতারা সীমাহীন সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ বেলতাগি মুরসির সমর্থকদের 'শাহাদতবরণের প্রস্তুতি' নেওয়ার ডাক দেন। গতকাল ব্রাদারহুডের ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতায় না যেতে পারলে ভবিষ্যতে ব্রাদারহুডের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূত্র : এএফপি, ফঙ্নিউজ।
'ইসলামী শাসন' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ব্রাদারহুড। ইসলামী শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামপন্থী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার আদর্শে তারা তৎপর ছিল। মিসর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে দলটি। হোসনি মুবারকের শাসনামলে মিসরে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৎপরতা চালানোর সুযোগ ছিল না ব্রাদারহুডের। তার পরও প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই দলটির সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভালো জনসমর্থন পেয়েছে। ২০১১ সালের গণ-আন্দোলনে মুবারকের পতন ঘটলে সবচেয়ে সংগঠিত দল হিসেবে মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরই মিসরীয়রা আস্থা রাখে। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছরের ৩০ জুন ক্ষমতায় আসে দলটি।
মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ হাবিব বলেন, বিগত দশকগুলোতে যে জনপ্রিয়তা ব্রাদারহুডকে সব ঝড়ঝাপটা থেকে আগলে রেখেছে, মুরসির এক বছরের শাসনামলে তা নাটকীয়ভাবে বিলীন হয়ে গেছে। মুরসি ও দলের অন্য নেতারা ক্ষমতা নিজেদের হাতে পুঞ্জীভূত করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইসলামী শাসন কায়েম করাকেই গুরুত্ব দিতে গিয়ে দেশকে চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার দিকে নিয়ে গেছেন। ভিন্নমতাবলম্বী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা, সমঝোতা ও ছাড় দেওয়া যে অঙ্গীকার মুরসি করেছিলেন, তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনেও মুরসি ব্যর্থ হয়েছেন বরং মিসরে নানা রকমের বিভাজন তৈরি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাথান ব্রাউন বলেন, 'মুসলিম ব্রাদারহুডের ইতিহাসে মুরসির শাসন নিঃসন্দেহে ব্যর্থতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মুরসি শুধু গড়িমসিই করে গেছেন, তাঁর দল বিপ্লবের অর্জনকে কাজে লাগানোর সব সুযোগ হাতছাড়া করেছে। নির্বাচনে ভালো করলেও দেশের কঠিন সমস্যাগুলো মোকাবিলার দায়িত্ব গ্রহণে অবহেলা করেছে।'
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের দোহা শাখার বিশ্লেষক সালমান শেখ বলেন, 'মুরসি ও ব্রাদারহুডের ব্যর্থতায় বিরক্ত হয়েই মিসরীয়রা সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।' সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর থেকেই ব্রাদারহুডের নেতারা সীমাহীন সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ বেলতাগি মুরসির সমর্থকদের 'শাহাদতবরণের প্রস্তুতি' নেওয়ার ডাক দেন। গতকাল ব্রাদারহুডের ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতায় না যেতে পারলে ভবিষ্যতে ব্রাদারহুডের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূত্র : এএফপি, ফঙ্নিউজ।
No comments