নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা প্রমাণের সময় গাজীপুর সিটি নির্বাচন
নির্বাচনে কেবল প্রার্থীর বিজয়েই
গণতন্ত্রের বিজয় হয় না, ভোটের সার্থকতা আসে না। গাজীপুর সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে কেউ জিতবেন, কেউ হারবেন। যিনিই জিতুন, শান্তিপূর্ণ ও অবিতর্কিত
নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত না হলে দলের জয় গণতন্ত্রের জয় বলে প্রতিষ্ঠিত
হবে না।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলভিত্তিক না হলেও
দলীয়ভাবে বিভাজিত পরিবেশে এই নির্বাচনের রাজনৈতিক তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রধান দুই প্রার্থীর গর্হিত-অগর্হিত উপায়ে রাজনৈতিক মিত্র খোঁজার
চেষ্টার মধ্যে জাতীয় রাজনীতির ছায়া পড়তে দেখা গেছে। গাজীপুরের নির্বাচনী
সমীকরণকে অনেকে আগামী দিনে সংসদ নির্বাচনের সমীকরণ হিসেবেও দেখছেন। কিন্তু
একটি বিষয় ভুললে চলবে না যে গাজীপুরের নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
জাতীয় রাজনীতির চাপে এই নির্বাচনের স্থানীয় বৈশিষ্ট্যকে যেন প্রভাবিত করা
না হয়। তাই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারা এবং স্বচ্ছভাবে ভোট গণনা ও ফলাফল
প্রকাশ নিশ্চিত করতে হবে। জয়-পরাজয় যাঁরই হোক, নির্বাচন অনুষ্ঠানে
কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে পরাজিত হলে চলবে না।
ইতিমধ্যে রেওয়াজ অনুযায়ী বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ধরনের মধ্য দিয়েই এসব অভিযোগের সত্যিকার গুরুত্ব নির্ণিত হবে। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশনকেই দেখতে হবে, অভিযোগগুলোর বাস্তব কোনো ভিত্তি রয়েছে কি না। ইতিমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি কমবেশি লঙ্ঘন করেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই রাজনৈতিক জোট-সমর্থিত প্রার্থীরাই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। সেগুলো আমলে নিয়ে দরকারমতো ব্যবস্থা নেওয়া চাই। দিনের শেষে যেন প্রমাণিত হয়, ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সদিচ্ছায় কলঙ্কহীন নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে যিনিই জিতুন না কেন, সুষ্ঠু নির্বাচনই হবে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন সরকারের নৈতিক বিজয়।
গাজীপুরে কাল শনিবার ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের যেকোনো ঘটনা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের কঠোরতা প্রত্যাশিত। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট গাজীপুরে সেনা মোতায়েনের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন তার প্রয়োজন দেখছে না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে বড় ধরনের উপদ্রব ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে, গাজীপুরেও তেমনটা ঘটাই বাঞ্ছনীয়। কেউ আইন অমান্য করলে দলমত-নির্বিশেষে তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে। নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্যও এটা এক পরীক্ষা। নিরপেক্ষতার বাধ্যবাধকতা তাঁদেরও কারও থেকে কোনো অংশে কম নয়। নির্বাচন কমিশনকে ভবিষ্যতের স্বার্থেই এ ব্যাপারে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
ইতিমধ্যে রেওয়াজ অনুযায়ী বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ধরনের মধ্য দিয়েই এসব অভিযোগের সত্যিকার গুরুত্ব নির্ণিত হবে। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশনকেই দেখতে হবে, অভিযোগগুলোর বাস্তব কোনো ভিত্তি রয়েছে কি না। ইতিমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি কমবেশি লঙ্ঘন করেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই রাজনৈতিক জোট-সমর্থিত প্রার্থীরাই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। সেগুলো আমলে নিয়ে দরকারমতো ব্যবস্থা নেওয়া চাই। দিনের শেষে যেন প্রমাণিত হয়, ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সদিচ্ছায় কলঙ্কহীন নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে যিনিই জিতুন না কেন, সুষ্ঠু নির্বাচনই হবে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন সরকারের নৈতিক বিজয়।
গাজীপুরে কাল শনিবার ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের যেকোনো ঘটনা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের কঠোরতা প্রত্যাশিত। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট গাজীপুরে সেনা মোতায়েনের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন তার প্রয়োজন দেখছে না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে বড় ধরনের উপদ্রব ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে, গাজীপুরেও তেমনটা ঘটাই বাঞ্ছনীয়। কেউ আইন অমান্য করলে দলমত-নির্বিশেষে তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে। নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্যও এটা এক পরীক্ষা। নিরপেক্ষতার বাধ্যবাধকতা তাঁদেরও কারও থেকে কোনো অংশে কম নয়। নির্বাচন কমিশনকে ভবিষ্যতের স্বার্থেই এ ব্যাপারে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
No comments