কত দূর যাবে আগাং?
গত ফেব্রুয়ারিতে আগাং নামে নতুন একটি
রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর জুন মাসে হলো এর
আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ। বর্ণবাদ যুগের অবসানের প্রায় দুই যুগ পর গঠিত হয়েছে
নতুন দলটি।
নেলসন ম্যান্ডেলার অসুস্থতা সারা বিশ্বের
মনোযোগের প্রায় সবটা জুড়ে থাকায় আগাংয়ের আত্মপ্রকাশ চোখেই পড়েনি প্রায়।
কিন্তু দলটি যেভাবে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) ‘মৌরসিপাট্টা’
ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাতে অন্তত দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নড়েচড়ে
বসছেন।
আগাং দলের প্রধান একজন নারী। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মাফেলা রামফেলে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। আগাং দল আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এ দল কি যথেষ্ট ভোটার টানতে পারবে? এএনসির বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে কি তারা?
খনি কোম্পানিতে কর্মরত কাইসার কাংওয়ানা একসময় এএনসির দারুণ ভক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন দলটির কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। একসময় দেশবাসীর একচেটিয়া সমর্থন পাওয়া এ দলের নেতাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। কাংওয়ানা বলেন, দেশের অনেক লোকের চাকরি নেই। এখনো বহু মানুষ দরিদ্র। সরকার দরিদ্র মানুষের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পারেনি চাকরি দিতে। এ ধরনের ভোটাররা আগাংয়ের দিকে ঝুঁকতে পারে।
আগাং দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থানীয় ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে ‘নির্মাণ করা’। দলটির ঘোষিত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর দেশ গঠনের জন্য জনগণকে উদ্দীপ্ত করা। যে ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ও অন্যান্য সংগ্রামী নেতা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আগাং এখনো তার বিস্তারিত নীতি সুস্পষ্ট করে বলেনি। তবে দলের নেতারা যাতে তাঁদের কার্যকলাপের ব্যাপারে জবাবদিহির জন্য তৈরি থাকেন, সরকারি কর্মচারীরা যাঁতে তাঁদের দায়িত্বের প্রতি অনুগত থাকেন, তা নিশ্চিত করা এ দলের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া শিক্ষা থাকবে আগাংয়ের রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে।
তবে এতসব ভারিক্কি কথা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগাং শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিণত হবে ‘ওয়ান উইমেন শো’তে। এমনিতে আগাংয়ের নেতা ডা. রামফেলের ভাবমূর্তি নিষ্কলুষ। ১৯৭০-এর দশকে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একসময় বিশ্বব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিছুদিন ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের সহ-উপাচার্যও ছিলেন। তবে
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলেন সুজম্যান ফাউন্ডেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অব্রে মাতশিকি বলেন, ‘শুধু নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা বেশ দুরূহ। আমাদের দেশে অতীতে এ ধরনের অনেক দল এসেছে। কিন্তু তারা কেউ সাফল্যের মুখ দেখেনি।’
মাতশিকি মনে করিয়ে দেন ২০০৮ সালেই কংগ্রেস অব দ্য পিপল (সিওপিই) নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল। এএনসি থেকে বেরিয়ে আসা নেতারা এটি গঠন করেন। এএনসি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অনেক ভোটার তখন সিওপিইকে সমর্থন করেছিল। গত নির্বাচনে দলটি ৭ শতাংশ ভোটও পায়। মধ্যবিত্ত কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানতে পেরেছিল দলটি। কিন্তু তার পর থেকেই দলটির নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে কোন্দল। সিওপিইর যাত্রাও থমকে গেছে।
তবে ডা. রামফেলে সিওপিইর সঙ্গে তাঁর দলের তুলনা করতে রাজি নন। তিনি বলেন, আগাং অন্যান্য দলের মতো নয়, কারণ কোনো দল থেকে বেরিয়ে আসা লোকজন এটি গঠন করেনি। দলটি তারাই গঠন করেছে যারা কখনো কাউকে ভোট দেয়নি এবং যারা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না।
রামফেলে আরও বলেন, তাঁর দলের সদস্যরা বিশ্বাস করে, অতীত নয়, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে।
মাতশিকির মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, রামফেলের প্রত্যাশামতো সাফল্য পেলে আগাং আগামী বছরের নির্বাচনে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের ভোট পাবে। আর এ ভোটারদের মধ্যে সিওপিইর সমর্থকেরাও থাকবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে এএনসির এখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আগাং তাদের প্রাধান্য খর্ব করবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কিন্তু তা করতে চাইলে আগাংয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষের সমর্থন প্রয়োজন। ডা. রামফেলে আভাস দিয়েছেন, শহুরে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানার জন্য ছোট ছোট দলের সঙ্গে আগাংয়ের জোট বাঁধার সম্ভাবনা আছে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা এত সহজ হবে না। ষাটের কোঠার এ নারীর নতুন প্রজন্মের মন জয় করতে বেশ বেগই পেতে হবে। এ জন্য ডা. রামফেলেকে খুব সতর্কতার সঙ্গেই রাজনৈতিক অংশীদার নির্বাচন করতে হবে। তাঁর সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (ডিএ) নাম উঠে আসছে। কারণ, আগাং গঠনের আগে ডিএ রামফেলেকে সমর্থন করেছিল।
আগাং নতুন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ওপর আলোকপাত করছে বলে তাদের নিজেদেরও অবশ্যই জনগণের অনুভূতিকে নাড়া দেওয়ার মতো কিছু করতে হবে। এএনসি এখনো আগাংকে কোনো হুমকি বলে মনে করছে না।
অনেক ভোটার এখনো এএনসিকেই ভোট দিতে আগ্রহী। তেমনই একজন সিবুসিসু সেগওয়ানে। জোহানেসবার্গের এই বাসিন্দা বলেন, ‘ডা. রামফেলে নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। কিন্তু আমার ভয় ভোটটা না নষ্ট হয়। এএনসি হচ্ছে একমাত্র দল যাদের সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে।’
অনেকের ভাবনাই সেগওয়ানের মতো। এএনসির ‘দুঃশাসনে’ অতিষ্ঠ হয়ে তারা হয়তো রাস্তায় নামবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঠিকই এএনসিকে ভোট দেবে।
এএনসির সমালোচকেরা বলছেন, সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় দলটির অর্জন বিশাল। কিন্তু এখন এর নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত মাসেই দুর্নীতিবিরোধী একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামফেলের বন্ধুরা তাঁকে আগামী কয়েক মাসে বুঝেশুনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
রোকেয়া রহমান, সূত্র: বিবিসি
আগাং দলের প্রধান একজন নারী। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মাফেলা রামফেলে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। আগাং দল আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এ দল কি যথেষ্ট ভোটার টানতে পারবে? এএনসির বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে কি তারা?
খনি কোম্পানিতে কর্মরত কাইসার কাংওয়ানা একসময় এএনসির দারুণ ভক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন দলটির কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। একসময় দেশবাসীর একচেটিয়া সমর্থন পাওয়া এ দলের নেতাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। কাংওয়ানা বলেন, দেশের অনেক লোকের চাকরি নেই। এখনো বহু মানুষ দরিদ্র। সরকার দরিদ্র মানুষের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পারেনি চাকরি দিতে। এ ধরনের ভোটাররা আগাংয়ের দিকে ঝুঁকতে পারে।
আগাং দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থানীয় ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে ‘নির্মাণ করা’। দলটির ঘোষিত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর দেশ গঠনের জন্য জনগণকে উদ্দীপ্ত করা। যে ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ও অন্যান্য সংগ্রামী নেতা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আগাং এখনো তার বিস্তারিত নীতি সুস্পষ্ট করে বলেনি। তবে দলের নেতারা যাতে তাঁদের কার্যকলাপের ব্যাপারে জবাবদিহির জন্য তৈরি থাকেন, সরকারি কর্মচারীরা যাঁতে তাঁদের দায়িত্বের প্রতি অনুগত থাকেন, তা নিশ্চিত করা এ দলের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া শিক্ষা থাকবে আগাংয়ের রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে।
তবে এতসব ভারিক্কি কথা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগাং শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিণত হবে ‘ওয়ান উইমেন শো’তে। এমনিতে আগাংয়ের নেতা ডা. রামফেলের ভাবমূর্তি নিষ্কলুষ। ১৯৭০-এর দশকে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একসময় বিশ্বব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিছুদিন ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের সহ-উপাচার্যও ছিলেন। তবে
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলেন সুজম্যান ফাউন্ডেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অব্রে মাতশিকি বলেন, ‘শুধু নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা বেশ দুরূহ। আমাদের দেশে অতীতে এ ধরনের অনেক দল এসেছে। কিন্তু তারা কেউ সাফল্যের মুখ দেখেনি।’
মাতশিকি মনে করিয়ে দেন ২০০৮ সালেই কংগ্রেস অব দ্য পিপল (সিওপিই) নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল। এএনসি থেকে বেরিয়ে আসা নেতারা এটি গঠন করেন। এএনসি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অনেক ভোটার তখন সিওপিইকে সমর্থন করেছিল। গত নির্বাচনে দলটি ৭ শতাংশ ভোটও পায়। মধ্যবিত্ত কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানতে পেরেছিল দলটি। কিন্তু তার পর থেকেই দলটির নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে কোন্দল। সিওপিইর যাত্রাও থমকে গেছে।
তবে ডা. রামফেলে সিওপিইর সঙ্গে তাঁর দলের তুলনা করতে রাজি নন। তিনি বলেন, আগাং অন্যান্য দলের মতো নয়, কারণ কোনো দল থেকে বেরিয়ে আসা লোকজন এটি গঠন করেনি। দলটি তারাই গঠন করেছে যারা কখনো কাউকে ভোট দেয়নি এবং যারা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না।
রামফেলে আরও বলেন, তাঁর দলের সদস্যরা বিশ্বাস করে, অতীত নয়, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে।
মাতশিকির মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, রামফেলের প্রত্যাশামতো সাফল্য পেলে আগাং আগামী বছরের নির্বাচনে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের ভোট পাবে। আর এ ভোটারদের মধ্যে সিওপিইর সমর্থকেরাও থাকবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে এএনসির এখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আগাং তাদের প্রাধান্য খর্ব করবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কিন্তু তা করতে চাইলে আগাংয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষের সমর্থন প্রয়োজন। ডা. রামফেলে আভাস দিয়েছেন, শহুরে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের টানার জন্য ছোট ছোট দলের সঙ্গে আগাংয়ের জোট বাঁধার সম্ভাবনা আছে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা এত সহজ হবে না। ষাটের কোঠার এ নারীর নতুন প্রজন্মের মন জয় করতে বেশ বেগই পেতে হবে। এ জন্য ডা. রামফেলেকে খুব সতর্কতার সঙ্গেই রাজনৈতিক অংশীদার নির্বাচন করতে হবে। তাঁর সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (ডিএ) নাম উঠে আসছে। কারণ, আগাং গঠনের আগে ডিএ রামফেলেকে সমর্থন করেছিল।
আগাং নতুন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ওপর আলোকপাত করছে বলে তাদের নিজেদেরও অবশ্যই জনগণের অনুভূতিকে নাড়া দেওয়ার মতো কিছু করতে হবে। এএনসি এখনো আগাংকে কোনো হুমকি বলে মনে করছে না।
অনেক ভোটার এখনো এএনসিকেই ভোট দিতে আগ্রহী। তেমনই একজন সিবুসিসু সেগওয়ানে। জোহানেসবার্গের এই বাসিন্দা বলেন, ‘ডা. রামফেলে নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। কিন্তু আমার ভয় ভোটটা না নষ্ট হয়। এএনসি হচ্ছে একমাত্র দল যাদের সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে।’
অনেকের ভাবনাই সেগওয়ানের মতো। এএনসির ‘দুঃশাসনে’ অতিষ্ঠ হয়ে তারা হয়তো রাস্তায় নামবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঠিকই এএনসিকে ভোট দেবে।
এএনসির সমালোচকেরা বলছেন, সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় দলটির অর্জন বিশাল। কিন্তু এখন এর নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত মাসেই দুর্নীতিবিরোধী একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামফেলের বন্ধুরা তাঁকে আগামী কয়েক মাসে বুঝেশুনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
রোকেয়া রহমান, সূত্র: বিবিসি
No comments