শাহজাদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর, চিকিৎসক লাঞ্ছিত চিকিৎসকের গাফিলতি এক দিনে তিন শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের গাফিলতিতে একই দিনে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাঙচুর ও
আবাসিক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজগঞ্জের
সিভিল সার্জন মাইন উদ্দিন মিয়া জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করা হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উপস্থিত না থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে
প্রমাণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন আবুল ফারেজ ও উল্লাপাড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুকুমার রায়কে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে
বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও মৃত তিন শিশুর স্বজনেরা জানান, বুধবার বিকেলে ফুটবল নিয়ে খেলতে খেলতে উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে মিলন (৭) ও আল হকের ছেলে আলিফ (৭) বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে যায়। একই দিনে প্রায় একই সময়ে উপজেলার কাকিলামারি গ্রামের মাহমুদের ছেলে আবির (৩) বাড়ির পাশে খেলতে খেলতে বন্যার পানিতে পড়ে যায়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্য চিকিৎসক না থাকায় আবাসিক চিকিৎসক আবদুর রহমানকে খবর দিলে তিনি দেড় ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। এরপর তিনি শিশু তিনটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন চিকিৎসক আবদুর রহমানকে মারধর করে কক্ষে আটকে রাখেন।
শিশু আলিফের মামা শাহজাদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু শামিম সূর্য মিয়া অভিযোগ করেন, প্রথম শিশুদের নড়াচড়া করা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ সময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। তা ছাড়া কাগজপত্র অনুযায়ী ওই সময়ে চিকিৎসক সিলভিয়া হাসানের দায়িত্ব থাকলেও তিনি সকাল থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইকবাল বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুর এবং চিকিৎসককে আটকে রাখা হয়েছে—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পর চিকিৎসককে উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল আওয়ালের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় আছেন।
পুলিশ ও মৃত তিন শিশুর স্বজনেরা জানান, বুধবার বিকেলে ফুটবল নিয়ে খেলতে খেলতে উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে মিলন (৭) ও আল হকের ছেলে আলিফ (৭) বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে যায়। একই দিনে প্রায় একই সময়ে উপজেলার কাকিলামারি গ্রামের মাহমুদের ছেলে আবির (৩) বাড়ির পাশে খেলতে খেলতে বন্যার পানিতে পড়ে যায়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্য চিকিৎসক না থাকায় আবাসিক চিকিৎসক আবদুর রহমানকে খবর দিলে তিনি দেড় ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। এরপর তিনি শিশু তিনটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন চিকিৎসক আবদুর রহমানকে মারধর করে কক্ষে আটকে রাখেন।
শিশু আলিফের মামা শাহজাদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু শামিম সূর্য মিয়া অভিযোগ করেন, প্রথম শিশুদের নড়াচড়া করা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ সময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। তা ছাড়া কাগজপত্র অনুযায়ী ওই সময়ে চিকিৎসক সিলভিয়া হাসানের দায়িত্ব থাকলেও তিনি সকাল থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইকবাল বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুর এবং চিকিৎসককে আটকে রাখা হয়েছে—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পর চিকিৎসককে উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল আওয়ালের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় আছেন।
No comments