মাদিবা শার্টের স্রষ্টা
নেলসন ম্যান্ডেলার গুরুতর অসুস্থতার কারণে
বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষের নজর এখন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। আর বর্ণবাদবিরোধী
আন্দোলনের নেতা ‘মাদিবার’ প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধা আর
মমতা—তা লিখে বোঝানো মুশকিল।
বর্ণবাদের শিকল ভেঙে কালো
মানুষকে ‘মুক্তি’ এনে দেওয়া ৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা খুবই
নাজুক। এই পরিস্থিতিতে ম্যান্ডেলার আত্মজীবনী বা তাঁর ওপর লেখা বই, তাঁর
পছন্দের শার্ট—এ ধরনের স্মারকের চাহিদা তুঙ্গে। নেলসন ম্যান্ডেলা হাসপাতালে
ভর্তি হওয়ার পর থেকে, বিশেষ করে তাঁর চিরচেনা বাটিক শার্টটি বেচে কুলাতে
পারছেন না দোকানিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মাদিবা শার্ট নামে পরিচিতি পাওয়া বিশেষ শার্টটির স্রষ্টা সোনোওয়াবিলে এনদামাসে। তিনি জানান, ১৬ জুলাই মহান এ নেতার জন্মদিনকে সামনে রেখে ব্যাপকভাবে বেড়েছে চাহিদা। একেকটি শার্টের দাম সাড়ে ৮০০ র্যান্ড। বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠান কিনছে পাইকারি হারে। তারা চায়, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে অফিসে কর্মীদের মাদিবা শার্ট পরাতে। এনদামাসে জানান, বহু লোক তাঁদের ফোন করে বা শোরুমে এসে খোঁজ নিচ্ছে, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে পরা বা ব্যবহার করা যায়, এমন বিশেষ কিছু আছে কি না। ম্যান্ডেলার সঙ্গে সামান্য সম্পর্কও আছে, এমন কিছু পেলেও তারা খুশি।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনদামাসে জানান মাদিবা শার্টের জন্মবৃত্তান্ত। এ কাহিনি অবশ্য আগেও কতবার বলেছেন, তার লেখাজোকা নেই।
শোরুমে রংচঙে শার্টটি প্রথম দেখেই মনে ধরে গিয়েছিল ম্যান্ডেলার, স্মরণ করলেন এনদামাসে। সেই থেকে বড় বড় অনুষ্ঠানে ওই শার্ট পরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এনদামাসে পেয়ে যান আন্তর্জাতিক খ্যাতি। নেলসন ম্যান্ডেলার মাধ্যমে তাঁর নকশা করা শার্ট সারা দুনিয়া ঘুরছে, বিষয়টা ভেবেই খুব রোমাঞ্চিত এ ডিজাইনার। এনদামাসে জানান, তাঁর মনে হতো, তিনি নিজেই যেন ম্যান্ডেলার সফরসঙ্গী হয়ে দেশ-বিদেশ যাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাশন স্রেফ জাঁকালোর চেয়েও বেশি কিছু হবে, এটাই ছিল ডিজাইনার হিসেবে এনদামাসের স্বপ্ন। ম্যান্ডেলার গয়ে ওঠা মাদিবা শার্ট তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ করেছে।
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জন্য শার্ট বানানোর কথা প্রথম শুনে কী বলেছিলেন, ভেবে এখনো মজা পান এনদামাসে। গর্ব তো হয়ই। মান্ডেলা নাকি বলেছেন, ‘একটা পন্ডো নাকি পোশাক ডিজাইন করে! দেখা যাক সে কী বানিয়েছে আমার জন্য।’
পন্ডো হচ্ছে খোসা ভাষায় কথা বলা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের বসবাস ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের উত্তর উপকূল অঞ্চলে। ম্যান্ডেলার নিজের জন্মও ইস্টার্ন কেপে।
এনদামাসে বলেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটির বিশাল অবদানের জন্য ধন্যবাদ হিসেবে তাঁর নিজস্ব স্টাইল গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।’
মিজান মল্লিক
দক্ষিণ আফ্রিকায় মাদিবা শার্ট নামে পরিচিতি পাওয়া বিশেষ শার্টটির স্রষ্টা সোনোওয়াবিলে এনদামাসে। তিনি জানান, ১৬ জুলাই মহান এ নেতার জন্মদিনকে সামনে রেখে ব্যাপকভাবে বেড়েছে চাহিদা। একেকটি শার্টের দাম সাড়ে ৮০০ র্যান্ড। বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠান কিনছে পাইকারি হারে। তারা চায়, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে অফিসে কর্মীদের মাদিবা শার্ট পরাতে। এনদামাসে জানান, বহু লোক তাঁদের ফোন করে বা শোরুমে এসে খোঁজ নিচ্ছে, ম্যান্ডেলার জন্মদিনে পরা বা ব্যবহার করা যায়, এমন বিশেষ কিছু আছে কি না। ম্যান্ডেলার সঙ্গে সামান্য সম্পর্কও আছে, এমন কিছু পেলেও তারা খুশি।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনদামাসে জানান মাদিবা শার্টের জন্মবৃত্তান্ত। এ কাহিনি অবশ্য আগেও কতবার বলেছেন, তার লেখাজোকা নেই।
শোরুমে রংচঙে শার্টটি প্রথম দেখেই মনে ধরে গিয়েছিল ম্যান্ডেলার, স্মরণ করলেন এনদামাসে। সেই থেকে বড় বড় অনুষ্ঠানে ওই শার্ট পরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এনদামাসে পেয়ে যান আন্তর্জাতিক খ্যাতি। নেলসন ম্যান্ডেলার মাধ্যমে তাঁর নকশা করা শার্ট সারা দুনিয়া ঘুরছে, বিষয়টা ভেবেই খুব রোমাঞ্চিত এ ডিজাইনার। এনদামাসে জানান, তাঁর মনে হতো, তিনি নিজেই যেন ম্যান্ডেলার সফরসঙ্গী হয়ে দেশ-বিদেশ যাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাশন স্রেফ জাঁকালোর চেয়েও বেশি কিছু হবে, এটাই ছিল ডিজাইনার হিসেবে এনদামাসের স্বপ্ন। ম্যান্ডেলার গয়ে ওঠা মাদিবা শার্ট তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ করেছে।
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জন্য শার্ট বানানোর কথা প্রথম শুনে কী বলেছিলেন, ভেবে এখনো মজা পান এনদামাসে। গর্ব তো হয়ই। মান্ডেলা নাকি বলেছেন, ‘একটা পন্ডো নাকি পোশাক ডিজাইন করে! দেখা যাক সে কী বানিয়েছে আমার জন্য।’
পন্ডো হচ্ছে খোসা ভাষায় কথা বলা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের বসবাস ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের উত্তর উপকূল অঞ্চলে। ম্যান্ডেলার নিজের জন্মও ইস্টার্ন কেপে।
এনদামাসে বলেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটির বিশাল অবদানের জন্য ধন্যবাদ হিসেবে তাঁর নিজস্ব স্টাইল গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।’
মিজান মল্লিক
No comments