পদ্মায় হারিয়ে যেতে বসেছে দুটি গ্রাম
গ্রাম দুটির নাম চরখিদিরপুর ও চরতারানগর।
কয়েক বছর আগে এ দুটি গ্রামের আয়তন ছিল ২৮ বর্গকিলোমিটার। এখন অবশিষ্ট রয়েছে
মাত্র সোয়া পাঁচ বর্গকিলোমিটার। ভাঙন অব্যাহত থাকায় গ্রাম দুটি বাংলাদেশের
মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর তা হলে গ্রাম দুটির প্রায় ১০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার সময় আশ্রয় নেওয়ার জন্য গ্রাম দুটিতে ছিল তিনটি পাকা আশ্রয়কেন্দ্র। দুটিই পদ্মায় বিলীন হয়েছে। দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনও চলে গেছে পদ্মায়। একইভাবে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে একটি পাকা মসজিদ। নদীর ভাঙন দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের পেছনে ঠেলতে ঠেলতে একেবারে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন গ্রাম দুটির যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় সীমান্ত দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তের কাছে বাস করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যখন-তখন তাঁদের গ্রামের ভেতের ঢুকে লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি হারিয়ে গ্রামের অনেক পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এখন যাঁরা আছেন, তাঁদের নদীতে মাছ ধরে এবং গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে গ্রাম দুটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।
গত শুক্রবার চরতারানগর ও চরখিদিরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ক্যাম্প দুটি সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
চরখিদিরপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ছবির মতো সাজানো সুন্দর এই গ্রাম দুটি যেকোনো সময় দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। গ্রাম দুটি রক্ষায় সরকারের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পাউবো রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, তাঁরা এরই মধ্যে সরেজমিনে গ্রাম দুটি পরিদর্শন করেছেন। চরখিদিরপুরের প্রায় এক কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পাউবোর ডিজাইন সার্কেল-৬-এর কাছে নকশার জন্য লিখেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নকশা পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। হারুন অর রশিদ বলেন, নকশা পেলে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার সময় আশ্রয় নেওয়ার জন্য গ্রাম দুটিতে ছিল তিনটি পাকা আশ্রয়কেন্দ্র। দুটিই পদ্মায় বিলীন হয়েছে। দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনও চলে গেছে পদ্মায়। একইভাবে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে একটি পাকা মসজিদ। নদীর ভাঙন দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের পেছনে ঠেলতে ঠেলতে একেবারে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন গ্রাম দুটির যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় সীমান্ত দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তের কাছে বাস করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যখন-তখন তাঁদের গ্রামের ভেতের ঢুকে লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি হারিয়ে গ্রামের অনেক পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এখন যাঁরা আছেন, তাঁদের নদীতে মাছ ধরে এবং গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে গ্রাম দুটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।
গত শুক্রবার চরতারানগর ও চরখিদিরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ক্যাম্প দুটি সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
চরখিদিরপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ছবির মতো সাজানো সুন্দর এই গ্রাম দুটি যেকোনো সময় দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। গ্রাম দুটি রক্ষায় সরকারের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পাউবো রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, তাঁরা এরই মধ্যে সরেজমিনে গ্রাম দুটি পরিদর্শন করেছেন। চরখিদিরপুরের প্রায় এক কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পাউবোর ডিজাইন সার্কেল-৬-এর কাছে নকশার জন্য লিখেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নকশা পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। হারুন অর রশিদ বলেন, নকশা পেলে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হবে।
No comments