ইসিতে দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন
প্রধান দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, একটি বিশেষ
এলাকার কর্মকর্তাদের গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
কয়েকটি এলাকায় গার্মেন্টকর্মীদের পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার
এনবিআর চেয়ারম্যানকে দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করছে। অন্যদিকে
ইসির কাছে ১৪ জন প্রিসাইডিং অফিসারের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলটির নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার হচ্ছে। তবে
দুদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী
রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, অভিযোগ গড়পড়তা। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা
নেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে ইসি তাদের নিজস্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। ১২ জনকে বাদ দেওয়ায় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র সাতজনে।
কমিশন সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী গতকাল সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। এরপর নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সুবিধার জন্য নির্বাচনে বিশেষ এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাব বিস্তার করছেন। ভোটারদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তাই তুলে ধরছে। আমরা কমিশনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি।'
এদিকে কর ফাঁকির অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভোটের সময় এনবিআরের এ আচরণ প্রমাণ করে, সরকার সবখানে দলীয়করণ করছে।
ইসি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বিএনপি থেকে ৮১ জন প্রিসাইডিং অফিসারের তালিকা ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে। এঁদের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, এ সময় তাঁরা ১৪ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ এবং নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের অভিযোগ অনুযায়ী এ ১৪ জনকে প্রত্যাহার করা হলে বিএনপির দেওয়া তালিকার ৮১ জনকেও প্রত্যাহার করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সেনা মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে সেনা মোতায়েন করতে পারে। তবে বিএনপির সময় স্থানীয় নির্বাচনে কখনো সেনা মোতায়েন হয়নি।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, 'এর আগের চারটি সিটি নির্বাচনের সময় বিএনপি নানা অভিযোগ করেছে। নির্বাচনের দিন একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। জেতার পর আর কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ করাটা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, অতীতের মতো এবারও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। শুধু স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনও অবাধ হবে।'
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে গাজীপুরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অভিযোগ সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'এ অভিযোগ অবান্তর।' প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, 'এ ধরনের সেল হলে আমি অন্তত জানতাম।'
সিইসি বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সজাগ রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।'
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দল থাকে। তারা প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কথাও শুনতে হচ্ছে। অভিযোগ গড়পড়তা হলে এ বিষয়ে অ্যাকশন নেওয়া সম্ভব নয়। সুনির্দিষ্ট হলে ব্যবস্থা নেব।'
সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, 'ভোটের দিন পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত থাকবে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইতিবাচক। অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা কেয়ারফুল।'
পর্যবেক্ষকের তালিকা থেকে ১২ জন বাদ : এদিকে গাজীপুরে ভোট গ্রহণের মাত্র দুদিন আগে গতকাল নির্বাচন কমিশন তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমিয়ে ফেলায় কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদেরই কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশন থেকে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১২ জনকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, কমিশন সচিবালয় নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য এই পরিবর্তন এনেছে।
এদিকে ইসি তাদের নিজস্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। ১২ জনকে বাদ দেওয়ায় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র সাতজনে।
কমিশন সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী গতকাল সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। এরপর নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সুবিধার জন্য নির্বাচনে বিশেষ এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাব বিস্তার করছেন। ভোটারদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তাই তুলে ধরছে। আমরা কমিশনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি।'
এদিকে কর ফাঁকির অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভোটের সময় এনবিআরের এ আচরণ প্রমাণ করে, সরকার সবখানে দলীয়করণ করছে।
ইসি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বিএনপি থেকে ৮১ জন প্রিসাইডিং অফিসারের তালিকা ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে। এঁদের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, এ সময় তাঁরা ১৪ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ এবং নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের অভিযোগ অনুযায়ী এ ১৪ জনকে প্রত্যাহার করা হলে বিএনপির দেওয়া তালিকার ৮১ জনকেও প্রত্যাহার করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সেনা মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে সেনা মোতায়েন করতে পারে। তবে বিএনপির সময় স্থানীয় নির্বাচনে কখনো সেনা মোতায়েন হয়নি।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, 'এর আগের চারটি সিটি নির্বাচনের সময় বিএনপি নানা অভিযোগ করেছে। নির্বাচনের দিন একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। জেতার পর আর কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ করাটা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, অতীতের মতো এবারও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। শুধু স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনও অবাধ হবে।'
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে গাজীপুরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অভিযোগ সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'এ অভিযোগ অবান্তর।' প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, 'এ ধরনের সেল হলে আমি অন্তত জানতাম।'
সিইসি বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সজাগ রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।'
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দল থাকে। তারা প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কথাও শুনতে হচ্ছে। অভিযোগ গড়পড়তা হলে এ বিষয়ে অ্যাকশন নেওয়া সম্ভব নয়। সুনির্দিষ্ট হলে ব্যবস্থা নেব।'
সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, 'ভোটের দিন পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত থাকবে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইতিবাচক। অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা কেয়ারফুল।'
পর্যবেক্ষকের তালিকা থেকে ১২ জন বাদ : এদিকে গাজীপুরে ভোট গ্রহণের মাত্র দুদিন আগে গতকাল নির্বাচন কমিশন তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমিয়ে ফেলায় কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদেরই কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশন থেকে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১২ জনকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, কমিশন সচিবালয় নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য এই পরিবর্তন এনেছে।
No comments