ইফতার-তারাবিতে ভোগাবে বিদ্যুৎ
'আসন্ন রমজানে সেহরি, ইফতার ও তারাবির
নামাজের সময় লোডশেডিং হবে না। এ সময় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা
হবে। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিদ্যুতের
অভাবে কোথাও লোডশেডিং না হলেও বিতরণজনিত সমস্যা থাকায় দেশের কোথাও কোথাও
লোডশেডিং হতে পারে। তবে এটিকে বিদ্যুতের অভাব বলা যাবে না।' গতকাল
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে রমজানে বিদ্যুতের পরিস্থিতি নিয়ে
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বর্তমান
সরকারের বিদ্যুৎ খাতে গত সাড়ে চার বছরের উন্নয়ন নিয়েও ইতিবাচক প্রতিবেদন
করার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদনের সঙ্গে প্রকৃত চাহিদার ফারাক থাকায় এবং বিতরণ লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে এবারের রমজানে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া রমজানে সীমাহীন লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষ; যদিও সরকারের দাবি হচ্ছে, সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রমজানে পিক আওয়ার (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা) ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে ছয় হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ভোরবেলা সেহরির সময় চাহিদা থাকে ছয় হাজার ১০০ মেগাওয়াট। আর দিনের বেলায় এ চাহিদা থাকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এ জন্য দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার কাছে। জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত তেল সরবরাহের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি)।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার চাহিদা কম দেখিয়ে সর্বোচ্চ চাহিদার হিসাব করেছে। দেশে বর্তমানে প্রকৃত চাহিদা হলো, পিক আওয়ারে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড হয় গত ১৫ জুন, এক ঘণ্টায় ছয় হাজার ৪৩৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে গড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে পিডিবি। বিতরণ লাইনে ত্রুটি ও ওভারলোডের (চাহিদার চেয়ে বেশি সংযোগ) কারণে পিডিবির উৎপাদিত ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণেরই ক্ষমতা নেই দেশের কম্পানিগুলোর। এ কারণে কমপক্ষে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে রমজান শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'গত রমজানে আমরা সেহরি, ইফতার ও তারাবির সময় মোটামুটি লোডশেডিংমুক্ত রেখেছি। এ বছরও তার ধারাবাহিকতা থাকবে।' তবে একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, 'ছোটখাটো বিতরণে সমস্যা হতে পারে। তা ধৈর্য ধরে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।' উপদেষ্টা সন্ধ্যার সময় অপ্রয়োজনীয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ থাকেই না- এমন অভিযোগের বিরোধিতা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'এ রকমটা হতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো খবর নেই।' সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
বিতরণে সংকট থাকবে : সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও বিতরণ লাইন ও ট্রান্সফরমার যুগোপযোগী না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজান মাসে সেহরির সময় বিদ্যুতের দেখা মিলবে না। কারণ চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় সব বিতরণ কম্পানির ট্রান্সফরমার ওভারলোড হয়ে আছে। এ কারণে যেকোনো সময় ট্রান্সফরমার জ্বলে যেতে পারে। দেশের ছয়টি বিতরণ কম্পানির মোট ট্রান্সফরমার রয়েছে ছয় লাখ ৫০ হাজার ৫৬০টি। এর মধ্যে ওভারলোড বা অতিরিক্ত চাহিদার চাপে ঝুঁকিতে থাকা ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৯২ হাজার ৮৮০। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরই এ রকম ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৯১ হাজার ১৫৮। বাকিগুলো ডিপিডিসি, ডেসকো, পিডিবি, পিজিসিবি ও ওজোপাডিকোর। এত ওভারলোড ট্রান্সফরমার নিয়ে পিক আওয়ারে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজান মাসে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ছয় ঘণ্টা। বর্তমানে বন্ধ থাকার সময় হচ্ছে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা। সারা দেশের রি-রোলিং ও স্টিল মিলগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসির তাপমাত্রা ২৪-এর নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো নিয়ে জটিলতায় পেট্রোবাংলা : বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে বলা হয়েছে পেট্রোবাংলাকে। তাদের এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলা ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার পক্ষে এ বাড়তি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব নয়। কারণ এ পরিমাণ গ্যাস তারা কোনো খাত থেকে দিতে পারবে না। পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানে আমরা কিভাবে গ্যাস দেব? তাদের তো গ্যাস দেওয়ার চুক্তিই নেই পেট্রোবাংলার সঙ্গে।' উদাহরণ হিসেবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঘোড়াশালে এগ্রিকোর ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে গ্যাস দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ওই কেন্দ্রের সঙ্গে পেট্রোবাংলার কোনো চুক্তি নেই।
জ্বালানি উপদেষ্টা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পেট্রোবাংলা ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ ছয়টি বিতরণ কম্পানির চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদনের সঙ্গে প্রকৃত চাহিদার ফারাক থাকায় এবং বিতরণ লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে এবারের রমজানে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া রমজানে সীমাহীন লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষ; যদিও সরকারের দাবি হচ্ছে, সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রমজানে পিক আওয়ার (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা) ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে ছয় হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ভোরবেলা সেহরির সময় চাহিদা থাকে ছয় হাজার ১০০ মেগাওয়াট। আর দিনের বেলায় এ চাহিদা থাকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এ জন্য দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার কাছে। জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত তেল সরবরাহের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি)।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার চাহিদা কম দেখিয়ে সর্বোচ্চ চাহিদার হিসাব করেছে। দেশে বর্তমানে প্রকৃত চাহিদা হলো, পিক আওয়ারে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড হয় গত ১৫ জুন, এক ঘণ্টায় ছয় হাজার ৪৩৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে গড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে পিডিবি। বিতরণ লাইনে ত্রুটি ও ওভারলোডের (চাহিদার চেয়ে বেশি সংযোগ) কারণে পিডিবির উৎপাদিত ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণেরই ক্ষমতা নেই দেশের কম্পানিগুলোর। এ কারণে কমপক্ষে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে রমজান শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'গত রমজানে আমরা সেহরি, ইফতার ও তারাবির সময় মোটামুটি লোডশেডিংমুক্ত রেখেছি। এ বছরও তার ধারাবাহিকতা থাকবে।' তবে একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, 'ছোটখাটো বিতরণে সমস্যা হতে পারে। তা ধৈর্য ধরে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।' উপদেষ্টা সন্ধ্যার সময় অপ্রয়োজনীয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ থাকেই না- এমন অভিযোগের বিরোধিতা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'এ রকমটা হতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো খবর নেই।' সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
বিতরণে সংকট থাকবে : সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও বিতরণ লাইন ও ট্রান্সফরমার যুগোপযোগী না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজান মাসে সেহরির সময় বিদ্যুতের দেখা মিলবে না। কারণ চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় সব বিতরণ কম্পানির ট্রান্সফরমার ওভারলোড হয়ে আছে। এ কারণে যেকোনো সময় ট্রান্সফরমার জ্বলে যেতে পারে। দেশের ছয়টি বিতরণ কম্পানির মোট ট্রান্সফরমার রয়েছে ছয় লাখ ৫০ হাজার ৫৬০টি। এর মধ্যে ওভারলোড বা অতিরিক্ত চাহিদার চাপে ঝুঁকিতে থাকা ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৯২ হাজার ৮৮০। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরই এ রকম ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৯১ হাজার ১৫৮। বাকিগুলো ডিপিডিসি, ডেসকো, পিডিবি, পিজিসিবি ও ওজোপাডিকোর। এত ওভারলোড ট্রান্সফরমার নিয়ে পিক আওয়ারে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজান মাসে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ছয় ঘণ্টা। বর্তমানে বন্ধ থাকার সময় হচ্ছে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা। সারা দেশের রি-রোলিং ও স্টিল মিলগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসির তাপমাত্রা ২৪-এর নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো নিয়ে জটিলতায় পেট্রোবাংলা : বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে বলা হয়েছে পেট্রোবাংলাকে। তাদের এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলা ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার পক্ষে এ বাড়তি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব নয়। কারণ এ পরিমাণ গ্যাস তারা কোনো খাত থেকে দিতে পারবে না। পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানে আমরা কিভাবে গ্যাস দেব? তাদের তো গ্যাস দেওয়ার চুক্তিই নেই পেট্রোবাংলার সঙ্গে।' উদাহরণ হিসেবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঘোড়াশালে এগ্রিকোর ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে গ্যাস দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ওই কেন্দ্রের সঙ্গে পেট্রোবাংলার কোনো চুক্তি নেই।
জ্বালানি উপদেষ্টা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পেট্রোবাংলা ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ ছয়টি বিতরণ কম্পানির চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
No comments