মানতে নারাজ জাপার স্থানীয় নেতারা- শেষ মুহূর্তে এরশাদ সমর্থন দিলেন আজমত উল্লাকে
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের
প্রচারণার শেষ দিনে নাটকীয় ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান
এইচ এম এরশাদ। কয়েক দিন ধরে মহাজোট ছাড়ার কথা বললেও গতকাল তিনি
মহাজোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানকে সমর্থন জানিয়েছেন।
এরশাদ
গাজীপুরের নেতা-কর্মীদের আজমত উল্লার পক্ষে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে গাজীপুরের জাপা নেতারা তাঁদের চেয়ারম্যানের এই নির্দেশ মানতে অনীহা
প্রকাশ করেছেন।
ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান কার্যালয়ে আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এরশাদ এই সমর্থনের কথা জানান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
এরশাদ বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটে আছে। তাই মহাজোট-সমর্থিত প্রার্থীকেই আমাদের সমর্থন দেওয়া উচিত। তাই আমার দলের নেতা-কর্মীদের মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছি।’
চেয়ারম্যানের এ নির্দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে গত রাতে জাপার গাজীপুর জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান মন্তব্য করেন, ‘ইটজ টু লেট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কি টেলিভিশন থেকে অর্ডার নেব? এখন আমি নেতা-কর্মীদের ক্যামনে ফিরিয়ে আনি? এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে হয় নেতাদের ডাকবেন, না হয় লোক পাঠাবেন; অথবা চিঠি দেবেন। এভাবে তাঁর সমর্থন ঘোষণায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভোট দেবেন না।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকে ‘চুপ’ ছিলেন এরশাদ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সমর্থন চাইলেও এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলেন এরশাদ। অবশেষে নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে সমর্থন জানালেন।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে কোনো মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যেহেতু এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থিত কোনো মেয়র পদপ্রার্থী নেই, সে কারণে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তাঁদের পছন্দমতো যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’
এর আগে গত ২৭ জুন বনানীর কার্যালয়ে গাইবান্ধার এক ব্যবসায়ীর জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ গাজীপুর নির্বাচনের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘কাকে ভোট দিতে বলব। আমি বললেও শুনবে না। সরকারের জনপ্রিয়তা এত খারাপ যে, এখানেও তারা হারবে।’ ওই দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষা ৎ করেন এরশাদ।
শেষ মুহূর্তে মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আজমত উল্লা ও এম এ মান্নান তাঁর সঙ্গে দেখা করে দোয়া চান। তিনি দুই প্রার্থীর জন্য দোয়া করে তাঁদের শুভকামনা করেছেন। কাউকে সমর্থন দেননি। কিন্তু এম এ মান্নান বাইরে এসে বলেছেন, দোয়ার পাশাপাশি তাঁকে সমর্থনও দেওয়া হয়েছে। এতে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এরশাদের এই সমর্থন ঘোষণার পর গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান শেষ মুহূর্তে আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়ে আমাদের বেইজ্জত না করলেও পারতেন। আমরা আগে থেকে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। এখনো আমরা আগের অবস্থানেই আছি।’
মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দিতে এরশাদের ওপর সরকার বা অন্য কোনো পক্ষের চাপ বা টোপ থাকতে পারে বলে নানা মহলে বলাবলি হচ্ছে। দলের ভেতরেও এ কথা উঠেছে।
জানতে চাইলে জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ধরনের চাপ বা অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই। তিনি (এরশাদ) নিজের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ থেকে এ সমর্থন দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতারা আগেই বিভক্ত ছিলেন। জেলা জাপার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমযান আলী, টঙ্গী থানা কমিটির সভাপতি আবদুস সামাদ বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন দলের পৌর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
অন্যদিকে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর পৌরসভা কমিটির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, টঙ্গীর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানসহ আরেক অংশ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে।
জাপার প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান প্রার্থিতা তুলে নেন গত ১৭ জুন। ধারণা করা হয়, এতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী লাভবান হবেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বেশির ভাগই বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এখন এরশাদের সর্বশেষ ঘোষণায় জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আরও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়লেন।
ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান কার্যালয়ে আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এরশাদ এই সমর্থনের কথা জানান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
এরশাদ বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটে আছে। তাই মহাজোট-সমর্থিত প্রার্থীকেই আমাদের সমর্থন দেওয়া উচিত। তাই আমার দলের নেতা-কর্মীদের মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছি।’
চেয়ারম্যানের এ নির্দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে গত রাতে জাপার গাজীপুর জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান মন্তব্য করেন, ‘ইটজ টু লেট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কি টেলিভিশন থেকে অর্ডার নেব? এখন আমি নেতা-কর্মীদের ক্যামনে ফিরিয়ে আনি? এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে হয় নেতাদের ডাকবেন, না হয় লোক পাঠাবেন; অথবা চিঠি দেবেন। এভাবে তাঁর সমর্থন ঘোষণায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভোট দেবেন না।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকে ‘চুপ’ ছিলেন এরশাদ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সমর্থন চাইলেও এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলেন এরশাদ। অবশেষে নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে সমর্থন জানালেন।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে কোনো মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যেহেতু এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থিত কোনো মেয়র পদপ্রার্থী নেই, সে কারণে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তাঁদের পছন্দমতো যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’
এর আগে গত ২৭ জুন বনানীর কার্যালয়ে গাইবান্ধার এক ব্যবসায়ীর জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ গাজীপুর নির্বাচনের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘কাকে ভোট দিতে বলব। আমি বললেও শুনবে না। সরকারের জনপ্রিয়তা এত খারাপ যে, এখানেও তারা হারবে।’ ওই দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষা ৎ করেন এরশাদ।
শেষ মুহূর্তে মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আজমত উল্লা ও এম এ মান্নান তাঁর সঙ্গে দেখা করে দোয়া চান। তিনি দুই প্রার্থীর জন্য দোয়া করে তাঁদের শুভকামনা করেছেন। কাউকে সমর্থন দেননি। কিন্তু এম এ মান্নান বাইরে এসে বলেছেন, দোয়ার পাশাপাশি তাঁকে সমর্থনও দেওয়া হয়েছে। এতে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এরশাদের এই সমর্থন ঘোষণার পর গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান শেষ মুহূর্তে আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়ে আমাদের বেইজ্জত না করলেও পারতেন। আমরা আগে থেকে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। এখনো আমরা আগের অবস্থানেই আছি।’
মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দিতে এরশাদের ওপর সরকার বা অন্য কোনো পক্ষের চাপ বা টোপ থাকতে পারে বলে নানা মহলে বলাবলি হচ্ছে। দলের ভেতরেও এ কথা উঠেছে।
জানতে চাইলে জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ধরনের চাপ বা অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই। তিনি (এরশাদ) নিজের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ থেকে এ সমর্থন দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নেতারা আগেই বিভক্ত ছিলেন। জেলা জাপার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমযান আলী, টঙ্গী থানা কমিটির সভাপতি আবদুস সামাদ বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন দলের পৌর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
অন্যদিকে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর পৌরসভা কমিটির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, টঙ্গীর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানসহ আরেক অংশ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে।
জাপার প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান প্রার্থিতা তুলে নেন গত ১৭ জুন। ধারণা করা হয়, এতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী লাভবান হবেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বেশির ভাগই বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এখন এরশাদের সর্বশেষ ঘোষণায় জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আরও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়লেন।
No comments