অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে ইইউর বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দপ্তরের ওপর
কথিত মার্কিন নজরদারির বিষয়ে জোটটির রাষ্ট্রদূতেরা একটি অভিন্ন অবস্থান
গ্রহণের চেষ্টায় গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা
সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন নজরদারির ওই তথ্য ফাঁস করে
বর্তমানে ফেরার। বিষয়টি নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে গত বুধবার টেলিফোনে আলোচনা হয়।
এতে ইউরোপীয় নেতাদের উদ্বেগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব সহকারে
বিবেচনা করছে বলে মেরকেলকে আশ্বস্ত করেন ওবামা। নজরদারি নিয়ে সৃষ্ট
ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি
সম্পাদনে বিলম্ব করার জন্য ফ্রান্স চাপ দিলেও জার্মানি তা নির্ধারিত সময়ের
মধ্যেই (আগামী সপ্তাহ) সম্পন্ন করতে চায়। বিষয়টি নিয়ে এক দিন আগে
ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট
হোসে মানুয়েল বারোসো একটি সমঝোতার প্রস্তাব করেন। এতে মার্কিন নজরদারির
সত্যতা যাচাই এবং বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা
হয়। জার্মানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির
বিষয়টিকে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এটি ঋণসংকটে জর্জরিত
ইউরো জোনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন
দেশের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী স্নোডেন মস্কোর একটি বিমানবন্দরে গত ২৩ জুন
থেকে অবস্থান করছেন। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভল গতকাল বলেছেন,
তিনি স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার বিরোধী এবং ফ্রান্স এখনো এ রকম কোনো আবেদন
পায়নি। বলিভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্নোডেন যেহেতু বলিভিয়ার
সীমানার মধ্যে অবস্থান করছেন না, তাই তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের
অনুরোধ অবান্তর ও ভিত্তিহীন। দুই দিন আগে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো
মোরালেসকে বহনকারী একটি বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে সেটিকে ভিয়েনায়
অবতরণে বাধ্য করা হয়। ওই বিমানে স্নোডেন ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
‘আড়ি পাতা হয়নি’: যুক্তরাজ্যের একটি বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান
লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আড়ি পাতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইকুয়েডরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্দো পাতিনো বুধবার ওই অভিযোগ করেন। গোপনীয়তাবিরোধী
ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত এক বছরেরও বেশি
সময় লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে রয়েছেন। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments