মাত্র চার দিনের আন্দোলনে মুরসির বিদায়
সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির পতন হওয়ার খবরে উল্লাসে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে তোলা ছবি এএফপি |
মাত্র চার দিনের আন্দোলনেই বিদায় নিতে
হয়েছে মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ
মুরসিকে। পঞ্চম দিনে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। পাঁচ দিনের
ঘটনাক্রম তুলে ধরা হলো: রোববার, ৩০ জুন: তৃণমূল পর্যায় থেকে গঠিত তামারুদ
মুভমেন্টের ডাকে প্রেসিডেন্ট মুরসির পদত্যাগের দাবিতে মিসরজুড়ে বিক্ষোভ
শুরু হয়। ২০১১ সালের মতোই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও তাহরির স্কয়ারে জমায়েত
হতে থাকে সাধারণ মানুষ। নাসর শহরে পাল্টা জমায়েত শুরু করে মুরসির
সমর্থকেরা। দেশজুড়ে সহিংসতায় ১৬ জন নিহত হয়। সোমবার, ১ জুলাই:
সরকার-বিরোধীরা কায়রোয় মুসলিম ব্রাদারহুডের সদর দপ্তরে ব্যাপক ভাঙচুর
চালিয়ে আগুন দেয় ও লুটপাট চালায়। পদত্যাগের জন্য মুরসিকে এক দিনের সময়
বেঁধে দেয় তামারুদ মুভমেন্ট। এই দিন মুরসির চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
এরপর সামরিক বাহিনী ‘জনগণের দাবির কথা বিবেচনা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে’
মুরসিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। মুরসি তা প্রত্যাখ্যান করেন। মঙ্গলবার, ২
জুলাই: মুরসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ
আল-সিসি। সরকারবিরোধীদের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ আল বারাদির সঙ্গেও
আলোচনা করেন জেনারেল সিসি। সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে
পড়ে। এতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রেসিডেন্টের
মুখপাত্র ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেন। বুধবার, ৩ জুলাই:
সেনাবাহিনীর বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়। মুরসি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের
প্রস্তাব দেন। সেনাপ্রধান সিসি প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আদলি মনসুরের নাম ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার, ৪
জুলাই: মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির
সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মাহমুদ মনসুর।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ
পর্যায়ের নেতাদের আটক করা হয়। এএফপি ও আল-জাজিরা।
No comments