রূপপুর পরমাণু প্রকল্প জেনেশুনে বিপদ ডেকে আনছে কেন বাংলাদেশ? by ভয়েস ফর জাস্টিস
আমরা বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষক, চিকিৎসক, শল্যবিদ এবং অন্যান্য পেশাজীবী, যাদের অনেকেরই জন্ম বাংলাদেশে এবং অনেকে
আবার বিবেকবান বিদেশি।
আবার বিবেকবান বিদেশি।
আমরা বাংলাদেশের রূপপুরে প্রস্তাবিত পরমাণু প্রকল্পের অর্থনৈতিক ও
নিরাপত্তাগত যাথার্থতা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের উদ্বেগের কারণগুলো নিচে
বর্ণনা করা হলো:
১.
পাকিস্তানের সামরিক জান্তার ৫০ বছর আগে পদ্মা নদীর তীরে রূপপুরে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন শক্তিকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে। এ প্রকল্পে কখনোই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জরুরি অংশ হিসেবে স্থান নির্ধারণ অথবা পরিবেশগত প্রভাব পর্যালোচনার আবশ্যকীয় ধাপগুলো সম্পন্ন করা হয়নি। তা হলেও বর্তমান সরকার কেবল একটি নয়, সেই একই জায়গায় দুই দুটি ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানের মাত্র ৪০ কিলোমিটার উজানে পদ্মা নদীর ওপর ভারতের ফারাক্কা বাঁধ অবস্থিত। এই বাঁধের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে নদীর ৭৫ শতাংশ পানিই উজানে সরিয়ে নেওয়ার কারণে পদ্মা নদী পলি জমে জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বাদবাকি পরিমাণের পানি মাত্র একটি ১০০০ মেগাওয়াট পরমাণু কেন্দ্রকে শীতল করার জন্য যেখানে শোচনীয় রকম কম, সেখানে কীভাবে তা দিয়ে দুটি কেন্দ্রকে শীতল করা হবে? এতে জাপানের ফুকুশিমার মতো পরমাণু কেন্দ্রের শীতলীকরণের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না হলেও বর্তমান সরকার এই কঠিন বাস্তবতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলেছে!
২.
দৃশ্যত মনে হচ্ছে, রাশিয়ার দেওয়া ঋণের ভিত্তিতে তাদের দ্বারা পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারকে অন্ধ করে ফেলেছে। এ ধরনের কেন্দ্র (ভিভিইআর-১০০০) নির্মাণের উপযুক্ততা আছে কি না অথবা তার নিরাপত্তা মানদণ্ড কেমন, সে বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। ভিভিইআর-১০০০ এখন সেকেলে প্রযুক্তি। এর নিরাপত্তার মান এতই কম যে ২০০৮ সালে খোদ রাশিয়াতেই এ ধরনের একটি কেন্দ্র নির্মাণ বাতিল হয়ে গেছে। সাবেক সোভিয়েত ব্লকভুক্ত দেশগুলোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার শর্ত হলো, ভিভিইআর-১০০০ জাতীয় পরমাণু রিঅ্যাকক্টরগুলো আগে বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ কী কারণে এ রকম সাবেকি, বাতিল ও বিপজ্জনক মডেলের রিঅ্যাক্টর ঋণ করে কিনছে?
৩.
এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান দাবি করেছেন যে রাশিয়া প্রতিটি ভিভিইআর-১০০০ রিঅ্যাক্টর দুই বিলিয়ন ডলারে বানিয়ে দেবে। অথচ রাশিয়া এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। এই দুই বিলিয়নের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন খরচ হবে প্রদর্শনকেন্দ্র নির্মাণ, সম্ভাব্যতা যাচাই ইত্যাদিতে। বাকি এক হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এজাতীয় কোনো রিঅ্যাক্টর চিন থেকেও কেনা সম্ভব নয়। এমনকি তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে মানসম্পন্ন যন্ত্রাংশ কিনতেও খরচ হওয়ার কথা চার হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
৪.
এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির জটিল প্রকল্প চালানোর মতো কারিগরি জ্ঞান বাংলাদেশের নেই। সর্বোপরি, দেশটির কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল অবকাঠামো নেই এবং যোগাযোগব্যবস্থাও প্রাথমিক পর্যায়ের। পরমাণু কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো, যেমন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্টেইনলেস স্টিল, পাইপ, ভাল্ব, পাম্প ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি অবশ্যই আমদানি করতে হবে এবং এর খরচ হবে অতিশয় বেশি।
৫.
এ ধরনের জটিল ও বহুমাত্রিক প্রকল্প গ্রহণের মতো উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও তদারকি সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই। এর ফলে প্রকল্পের নিরাপত্তার মান দারুণভাবে ঘাটতিতে পড়বে। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী দাবি করেছেন যে রাশিয়া বাংলাদেশকে পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। অথচ রুশ কোম্পানি রোসাটম (রিঅ্যাক্টর বিক্রেতা) সঠিকভাবেই জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব লাইসেন্স যার তার (এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ)। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ পরমাণু রিঅ্যাক্টরের লাইসেন্সের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নয়।
৬.
দৃশ্যত, তেজস্ক্রিয় উপাদান এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও অপসারণের কারিগরি দিকগুলো নিয়ে বাংলাদেশের কোনো মাথাব্যথা নেই। সরকার বলেছে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সব রাশিয়ায় পাঠানো হবে। কিন্তু রাশিয়া জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো চুক্তি তাদের সঙ্গে হয়নি।
এসব সীমাবদ্ধতা ও সমাধানহীন বাধার কারণে বাংলাদেশ সরকারের উচিত এখনই এই প্রকল্প বাতিল সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা। একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোয় অব্যবস্থা মানে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটানোর সমূহ সম্ভাবনা। তা যদি ঘটে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। এটা চিন্তা করাও এক ভয়ের ব্যাপার: লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষ উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়ার শিকার হবে। বিপুল পরিমাণ আবাদযোগ্য জমিতে তেজস্ত্রিয় পদার্থের সংক্রমণ ঘটবে এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের দায়ভারে দেশটি ভারাক্রান্ত হবে। জার্মানি, ইতালি, সুইজারল্যান্ডের মতো অগ্রসর দেশ যেখানে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধারণা ত্যাগ করেছে এবং ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপানের সঙ্গে একযোগে পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন কমিয়ে আনছে, সেখানে বাংলাদেশ দায়িত্বহীনভাবে বিপদের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সামর্থ্য, বিচক্ষণতা ও জ্ঞান ছাড়া বিরাট আশা অর্থহীন হতে বাধ্য।
ভয়েস ফর জাস্টিসের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন:
আনিসুর রহমান, হাসনাত এম হুসাইন, হোসেন জিল্লুর রহমান, পিটার কাস্টার্স, এজাজুর রহমান, আতাউর রহমান, সাদিকুর রহমান, জাকিয়া রহমান, হাসান মাহমুদ, দিলরুবা জেড আরা, অধ্যাপক কামরুল হায়দার, বনি আমিন, আনসার করিম খান, অধ্যাপক এম এ কাইয়ুম, সতীশ কাপুর, জগলুল হুসাইন, গুলজার আহমেদ, এনামুল মজিদ চৌধুরী, অলিয়ার হোসাইন, ফুয়াদ মুকাররাম মুনাওয়ার আলি, শহিদা হোসাইন, ইদু মিয়া, আদিব হুসাইন, মহিদুর রহমান, আহমদ আবদুল্লাহ ও রিয়াজ তালুকদার। লেখকেরা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষক, চিকিৎসক, শল্যবিদ ও পেশাজীবী।
১.
পাকিস্তানের সামরিক জান্তার ৫০ বছর আগে পদ্মা নদীর তীরে রূপপুরে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন শক্তিকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে। এ প্রকল্পে কখনোই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জরুরি অংশ হিসেবে স্থান নির্ধারণ অথবা পরিবেশগত প্রভাব পর্যালোচনার আবশ্যকীয় ধাপগুলো সম্পন্ন করা হয়নি। তা হলেও বর্তমান সরকার কেবল একটি নয়, সেই একই জায়গায় দুই দুটি ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানের মাত্র ৪০ কিলোমিটার উজানে পদ্মা নদীর ওপর ভারতের ফারাক্কা বাঁধ অবস্থিত। এই বাঁধের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে নদীর ৭৫ শতাংশ পানিই উজানে সরিয়ে নেওয়ার কারণে পদ্মা নদী পলি জমে জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বাদবাকি পরিমাণের পানি মাত্র একটি ১০০০ মেগাওয়াট পরমাণু কেন্দ্রকে শীতল করার জন্য যেখানে শোচনীয় রকম কম, সেখানে কীভাবে তা দিয়ে দুটি কেন্দ্রকে শীতল করা হবে? এতে জাপানের ফুকুশিমার মতো পরমাণু কেন্দ্রের শীতলীকরণের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না হলেও বর্তমান সরকার এই কঠিন বাস্তবতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলেছে!
২.
দৃশ্যত মনে হচ্ছে, রাশিয়ার দেওয়া ঋণের ভিত্তিতে তাদের দ্বারা পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারকে অন্ধ করে ফেলেছে। এ ধরনের কেন্দ্র (ভিভিইআর-১০০০) নির্মাণের উপযুক্ততা আছে কি না অথবা তার নিরাপত্তা মানদণ্ড কেমন, সে বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। ভিভিইআর-১০০০ এখন সেকেলে প্রযুক্তি। এর নিরাপত্তার মান এতই কম যে ২০০৮ সালে খোদ রাশিয়াতেই এ ধরনের একটি কেন্দ্র নির্মাণ বাতিল হয়ে গেছে। সাবেক সোভিয়েত ব্লকভুক্ত দেশগুলোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার শর্ত হলো, ভিভিইআর-১০০০ জাতীয় পরমাণু রিঅ্যাকক্টরগুলো আগে বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ কী কারণে এ রকম সাবেকি, বাতিল ও বিপজ্জনক মডেলের রিঅ্যাক্টর ঋণ করে কিনছে?
৩.
এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান দাবি করেছেন যে রাশিয়া প্রতিটি ভিভিইআর-১০০০ রিঅ্যাক্টর দুই বিলিয়ন ডলারে বানিয়ে দেবে। অথচ রাশিয়া এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। এই দুই বিলিয়নের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন খরচ হবে প্রদর্শনকেন্দ্র নির্মাণ, সম্ভাব্যতা যাচাই ইত্যাদিতে। বাকি এক হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এজাতীয় কোনো রিঅ্যাক্টর চিন থেকেও কেনা সম্ভব নয়। এমনকি তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে মানসম্পন্ন যন্ত্রাংশ কিনতেও খরচ হওয়ার কথা চার হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
৪.
এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির জটিল প্রকল্প চালানোর মতো কারিগরি জ্ঞান বাংলাদেশের নেই। সর্বোপরি, দেশটির কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল অবকাঠামো নেই এবং যোগাযোগব্যবস্থাও প্রাথমিক পর্যায়ের। পরমাণু কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো, যেমন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্টেইনলেস স্টিল, পাইপ, ভাল্ব, পাম্প ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি অবশ্যই আমদানি করতে হবে এবং এর খরচ হবে অতিশয় বেশি।
৫.
এ ধরনের জটিল ও বহুমাত্রিক প্রকল্প গ্রহণের মতো উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও তদারকি সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই। এর ফলে প্রকল্পের নিরাপত্তার মান দারুণভাবে ঘাটতিতে পড়বে। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী দাবি করেছেন যে রাশিয়া বাংলাদেশকে পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। অথচ রুশ কোম্পানি রোসাটম (রিঅ্যাক্টর বিক্রেতা) সঠিকভাবেই জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব লাইসেন্স যার তার (এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ)। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ পরমাণু রিঅ্যাক্টরের লাইসেন্সের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নয়।
৬.
দৃশ্যত, তেজস্ক্রিয় উপাদান এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও অপসারণের কারিগরি দিকগুলো নিয়ে বাংলাদেশের কোনো মাথাব্যথা নেই। সরকার বলেছে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সব রাশিয়ায় পাঠানো হবে। কিন্তু রাশিয়া জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো চুক্তি তাদের সঙ্গে হয়নি।
এসব সীমাবদ্ধতা ও সমাধানহীন বাধার কারণে বাংলাদেশ সরকারের উচিত এখনই এই প্রকল্প বাতিল সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা। একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোয় অব্যবস্থা মানে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটানোর সমূহ সম্ভাবনা। তা যদি ঘটে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। এটা চিন্তা করাও এক ভয়ের ব্যাপার: লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষ উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়ার শিকার হবে। বিপুল পরিমাণ আবাদযোগ্য জমিতে তেজস্ত্রিয় পদার্থের সংক্রমণ ঘটবে এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের দায়ভারে দেশটি ভারাক্রান্ত হবে। জার্মানি, ইতালি, সুইজারল্যান্ডের মতো অগ্রসর দেশ যেখানে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধারণা ত্যাগ করেছে এবং ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপানের সঙ্গে একযোগে পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন কমিয়ে আনছে, সেখানে বাংলাদেশ দায়িত্বহীনভাবে বিপদের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সামর্থ্য, বিচক্ষণতা ও জ্ঞান ছাড়া বিরাট আশা অর্থহীন হতে বাধ্য।
ভয়েস ফর জাস্টিসের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন:
আনিসুর রহমান, হাসনাত এম হুসাইন, হোসেন জিল্লুর রহমান, পিটার কাস্টার্স, এজাজুর রহমান, আতাউর রহমান, সাদিকুর রহমান, জাকিয়া রহমান, হাসান মাহমুদ, দিলরুবা জেড আরা, অধ্যাপক কামরুল হায়দার, বনি আমিন, আনসার করিম খান, অধ্যাপক এম এ কাইয়ুম, সতীশ কাপুর, জগলুল হুসাইন, গুলজার আহমেদ, এনামুল মজিদ চৌধুরী, অলিয়ার হোসাইন, ফুয়াদ মুকাররাম মুনাওয়ার আলি, শহিদা হোসাইন, ইদু মিয়া, আদিব হুসাইন, মহিদুর রহমান, আহমদ আবদুল্লাহ ও রিয়াজ তালুকদার। লেখকেরা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষক, চিকিৎসক, শল্যবিদ ও পেশাজীবী।
No comments