উদ্বেগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তায় ১০টি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে by অমর সাহা
ভারতের হিমালয় পাদদেশের সিকিম রাজ্য
তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে
আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। গত বুধবার রাজ্য সচিবালয় মহাকরণে
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের এই আপত্তির কথা জানান।
সেচমন্ত্রী
বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সিকিম সরকার তিস্তা
নদীতে বাঁধ দিয়ে অন্তত ১০টি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই
কেন্দ্রগুলো তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গ একদিকে যেমন শুকনো মৌসুমে চাষের পানি থেকে
বঞ্চিত হবে, অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছাড়া হলে বন্যার আশঙ্কায়
থাকবে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজ্য সরকারের এই আপত্তির কথা তিনি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানাবেন। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথাও বলবেন।
তিস্তা নদীর ওপর ১০টি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করার প্রকল্প রয়েছে সিকিম সরকারের। ইতিমধ্যে তিনটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো হলো রাম্ভী, পূর্ব সিকিম ও কালীঝোড়া প্রকল্প। আরও একটির কাজ চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতগুলো প্রকল্প হলে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তার পানি পাওয়া যাবে না।
সেচমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানি দিয়ে দ্বিচারিতা করছে। একদিকে তিস্তার পানি বণ্টনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করছে, অন্যদিকে সিকিম সরকারকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির অনুমতি দিচ্ছে। ফলে, কার্যত তিস্তার পানি থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজ্য সরকারের এই আপত্তির কথা তিনি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানাবেন। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথাও বলবেন।
তিস্তা নদীর ওপর ১০টি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করার প্রকল্প রয়েছে সিকিম সরকারের। ইতিমধ্যে তিনটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো হলো রাম্ভী, পূর্ব সিকিম ও কালীঝোড়া প্রকল্প। আরও একটির কাজ চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতগুলো প্রকল্প হলে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তার পানি পাওয়া যাবে না।
সেচমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানি দিয়ে দ্বিচারিতা করছে। একদিকে তিস্তার পানি বণ্টনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করছে, অন্যদিকে সিকিম সরকারকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির অনুমতি দিচ্ছে। ফলে, কার্যত তিস্তার পানি থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।
No comments