হঠাৎ আলোয় মনসুর
মাত্র তিন দিন আগে মিসরের সর্বোচ্চ
সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আদলি মাহমুদ মনসুর। সদ্য
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিই তাঁকে এ পদে মনোনীত করেছিলেন।
তিন দিনের ব্যবধানে সেই মনসুরই বসলেন মুরসির চেয়ারে। অন্তর্বর্তী
প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্টের মতো
গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে হবে- মনসুর নিজেও হয়তো এ রকমটা আঁচ করতে পারেননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুরসির চেয়ারে বসানোর জন্য সেনাবাহিনী স্বল্প পরিচিত,
নিরপেক্ষ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় কাউকে খুঁজছিল। সব দিক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত
তারা মনসুরকে বেছে নিয়েছে।
মুরসিবিরোধী বিক্ষোভের সময় কেউ মনসুরের নাম একবারের জন্যও উচ্চারণ করেনি। তারপরও মনসুরের মতো 'অপরিচিত' একজনকে সেনাবাহিনী কেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি কিভাবে দেশ চালাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
১৯৪৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানী কায়রোতে মনসুরের জন্ম। ১৯৬৭ সালে কায়রো ইউনিভার্সিটি অব ল স্কুল থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানে আরেকটি ডিগ্রি নেন। পরে উচ্চতর শিক্ষার জন্য প্যারিস যান। দীর্ঘদিন প্রশাসনে কাজ করেছেন। ১৯৯২ সালে তাঁকে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক। গত মাসে সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন মনসুর। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আইনের খসড়া তৈরির কাজ তত্ত্বাবধান করেছিলেন। এখন সংবিধানের খসড়া তৈরিতে সহায়তা করবেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুবারকের পতনের পর ক্ষমতা নিয়েছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু দমনপীড়ন অব্যাহত রাখায় দ্রুতই তারা জনপ্রিয়তা হারায়। এরই মাঝে গত বছর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। সেনাবাহিনীও তাঁকে মেনে নেয়। তবে সেনাবাহিনী তাঁকে হাতের পুতুল করতে পারেনি। এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা জেনস ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক বিশ্লেষক ডেভিড হার্টওয়েল বলেন, 'এবার সেনাবাহিনী পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। সে ক্ষেত্রে দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে তারা মনসুরকে বেছে নিয়েছে।' সূত্র : সিএনএন।
মুরসিবিরোধী বিক্ষোভের সময় কেউ মনসুরের নাম একবারের জন্যও উচ্চারণ করেনি। তারপরও মনসুরের মতো 'অপরিচিত' একজনকে সেনাবাহিনী কেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি কিভাবে দেশ চালাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
১৯৪৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানী কায়রোতে মনসুরের জন্ম। ১৯৬৭ সালে কায়রো ইউনিভার্সিটি অব ল স্কুল থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানে আরেকটি ডিগ্রি নেন। পরে উচ্চতর শিক্ষার জন্য প্যারিস যান। দীর্ঘদিন প্রশাসনে কাজ করেছেন। ১৯৯২ সালে তাঁকে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক। গত মাসে সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন মনসুর। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আইনের খসড়া তৈরির কাজ তত্ত্বাবধান করেছিলেন। এখন সংবিধানের খসড়া তৈরিতে সহায়তা করবেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুবারকের পতনের পর ক্ষমতা নিয়েছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু দমনপীড়ন অব্যাহত রাখায় দ্রুতই তারা জনপ্রিয়তা হারায়। এরই মাঝে গত বছর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। সেনাবাহিনীও তাঁকে মেনে নেয়। তবে সেনাবাহিনী তাঁকে হাতের পুতুল করতে পারেনি। এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা জেনস ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক বিশ্লেষক ডেভিড হার্টওয়েল বলেন, 'এবার সেনাবাহিনী পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। সে ক্ষেত্রে দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে তারা মনসুরকে বেছে নিয়েছে।' সূত্র : সিএনএন।
No comments