ঢাকা সিটির হোল্ডিং ট্যাক্স-ভাড়াটিয়াদের যেন বোঝা বইতে না হয়
নগরবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়েছে। নানা জটিলতার অজুহাতে দুই সিটি
করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
স্বাভাবিক কারণেই
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়নি। কিন্তু সিটি
করপোরেশনের স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়া থেমে নেই। সেই ধারাবাহিকতাতেই ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
এবারের বাজেট প্রস্তাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এর পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছে ডিএনসিসি। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮০ সালের পর হোল্ডিং ট্যাক্স আর বাড়ানো হয়নি। ইতিমধ্যে বাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ট্যাক্স বাড়াতে গিয়ে ভোটের চিন্তা করেন। ২০১৩ সালে এসে ট্যাক্সের হার একই থাকতে পারে না- এমনই যুক্ত ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের। ডিএনসিসি নগর শুল্ক প্রথা চালু করার প্রস্তাবও করেছে। এসব প্রস্তাব যে যৌক্তিক, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। বিশেষ করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর ব্যাপারে। যেকোনো ট্যাক্সের খড়্গ শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ে প্রান্তিক ভোক্তার ওপর। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়লেও ভাড়াটিয়াদের ওপর গিয়েই কোপ পড়বে। এমনিতেই গত কয়েক বছরে ঢাকার বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। ডিএনসিসির বাজেট বক্তৃতায় তা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িওয়ালারা কোন আইনবলে বাড়িভাড়া বাড়িয়েছেন? প্রান্তিক ভোক্তা হিসেবে ভাড়াটিয়াদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল কি না। রাজধানী ঢাকার রেন্ট কন্ট্রোলার কোথায় বসেন, সেটা কি সিটি করপোরেশন জানে? বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত ১৯৪০ সালের অধ্যাদেশটি ১৯৮০ সালে আইনে পরিণত হলেও সেই আইন কি আজকের সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন ছিল না। সেই দায়িত্ব কে পালন করবে?
ঢাকার বিভক্ত দুই সিটি করপোরেশনে বাড়িওয়ালাদের চেয়ে ভাড়াটিয়ার সংখ্যা বেশি, সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও যারা বাড়িভাড়ার নামে নির্যাতনের শিকার। বাড়িভাড়া আইনটি কাগুজে আইন হওয়ায় ভাড়াটিয়াদের এক অর্থে নির্যাতিতই হতে হয়। অথচ সিটি করপোরেশনের একটি রিয়েল এস্টেট বিভাগ আছে।
নগরবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ নগরবাসীকে যেন সেই সেবার জন্য উচ্চমূল্য গুনতে না হয়, সেদিকেও অনুগ্রহ করে দৃষ্টি দিন। বাড়িভাড়া আইনের পরিবর্তন করে ভাড়াটিয়াদের স্বস্তি দিতে সচেষ্ট হোন। হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হবে অমানবিক।
এবারের বাজেট প্রস্তাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এর পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছে ডিএনসিসি। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮০ সালের পর হোল্ডিং ট্যাক্স আর বাড়ানো হয়নি। ইতিমধ্যে বাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ট্যাক্স বাড়াতে গিয়ে ভোটের চিন্তা করেন। ২০১৩ সালে এসে ট্যাক্সের হার একই থাকতে পারে না- এমনই যুক্ত ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের। ডিএনসিসি নগর শুল্ক প্রথা চালু করার প্রস্তাবও করেছে। এসব প্রস্তাব যে যৌক্তিক, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। বিশেষ করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর ব্যাপারে। যেকোনো ট্যাক্সের খড়্গ শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ে প্রান্তিক ভোক্তার ওপর। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়লেও ভাড়াটিয়াদের ওপর গিয়েই কোপ পড়বে। এমনিতেই গত কয়েক বছরে ঢাকার বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। ডিএনসিসির বাজেট বক্তৃতায় তা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িওয়ালারা কোন আইনবলে বাড়িভাড়া বাড়িয়েছেন? প্রান্তিক ভোক্তা হিসেবে ভাড়াটিয়াদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল কি না। রাজধানী ঢাকার রেন্ট কন্ট্রোলার কোথায় বসেন, সেটা কি সিটি করপোরেশন জানে? বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত ১৯৪০ সালের অধ্যাদেশটি ১৯৮০ সালে আইনে পরিণত হলেও সেই আইন কি আজকের সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন ছিল না। সেই দায়িত্ব কে পালন করবে?
ঢাকার বিভক্ত দুই সিটি করপোরেশনে বাড়িওয়ালাদের চেয়ে ভাড়াটিয়ার সংখ্যা বেশি, সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও যারা বাড়িভাড়ার নামে নির্যাতনের শিকার। বাড়িভাড়া আইনটি কাগুজে আইন হওয়ায় ভাড়াটিয়াদের এক অর্থে নির্যাতিতই হতে হয়। অথচ সিটি করপোরেশনের একটি রিয়েল এস্টেট বিভাগ আছে।
নগরবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ নগরবাসীকে যেন সেই সেবার জন্য উচ্চমূল্য গুনতে না হয়, সেদিকেও অনুগ্রহ করে দৃষ্টি দিন। বাড়িভাড়া আইনের পরিবর্তন করে ভাড়াটিয়াদের স্বস্তি দিতে সচেষ্ট হোন। হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হবে অমানবিক।
No comments