আবদুর রাজ্জাক-বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবসান
সচেতন দেশবাসীর মনে শঙ্কা তাড়া করছিল, কখন জানি আসে দুঃসংবাদ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং জননেতা আবদুর রাজ্জাকের জীবনাবসানের সংবাদ আসে ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ সূর্যাস্তের পর। তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই হাসপাতালে তিন দিন ধরে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সংগ্রামী নেতা আবদুর
রাজ্জাকের জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের প্রেক্ষাপট ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সাক্ষী আবদুর রাজ্জাকের প্রয়াণ দেশ-জাতির অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।
১৯৪২ সালের ১ আগস্ট শরীয়তপুরের দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। '৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, '৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা চিরদিন স্মরণযোগ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর দৃঢ় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও এক উজ্জ্বল অধ্যায়। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এই লড়াকু সৈনিকের রাজনৈতিক জীবনে নানা সময় প্রতিকূলতার প্রাচীর সামনে দাঁড়ালেও তিনি তা অতিক্রম করেছেন তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা দিয়েই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রী কিংবা দলটির প্রেসিডিয়ামের মেম্বার হিসেবে যখন তাঁর ওপর যে দায়িত্ব বর্তেছে, সব ক্ষেত্রেই তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রশ্নাতীতভাবে। জীবনে বহুবার রাজনৈতিক কারণে কারাবাস করতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি কারাগারে থেকেই তাঁকে এমএ পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। এরপর তিনি এলএলবিও পাস করেন। পরপর দুবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইত্যাদি পদে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই। পাঁচবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাঁর জনপ্রিয়তার বিষয়টি খুব সহজেই পরিমাপ করা যায়। মন্ত্রী হিসেবেও তাঁর সফলতা ঈর্ষণীয়। মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর একজন সংগঠক ও যোদ্ধা হিসেবে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
তাঁর জীবনাবসানে গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির যে উজ্জ্বল ধারা রেখে গেলেন, তা অবশ্যই ভবিষ্যতে জাতিকে রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ দেখাবে। তাঁর আদর্শ সমুজ্জ্বল থাকবে দেশবাসীর সামনে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য এই বীর রাজনীতিকের আকাঙ্ক্ষা ছিল একাত্তরে সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আজ দীর্ঘদিন পর হলেও যখন এই প্রক্রিয়া চলছে, তখন তিনি চলে গেলেন আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রেখেই। নিষ্ঠাবান রাজনীতিক ও বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সৈনিক আবদুর রাজ্জাক রাজনৈতিক গগনে ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
১৯৪২ সালের ১ আগস্ট শরীয়তপুরের দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। '৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, '৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা চিরদিন স্মরণযোগ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর দৃঢ় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও এক উজ্জ্বল অধ্যায়। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এই লড়াকু সৈনিকের রাজনৈতিক জীবনে নানা সময় প্রতিকূলতার প্রাচীর সামনে দাঁড়ালেও তিনি তা অতিক্রম করেছেন তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা দিয়েই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রী কিংবা দলটির প্রেসিডিয়ামের মেম্বার হিসেবে যখন তাঁর ওপর যে দায়িত্ব বর্তেছে, সব ক্ষেত্রেই তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রশ্নাতীতভাবে। জীবনে বহুবার রাজনৈতিক কারণে কারাবাস করতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি কারাগারে থেকেই তাঁকে এমএ পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। এরপর তিনি এলএলবিও পাস করেন। পরপর দুবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইত্যাদি পদে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই। পাঁচবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাঁর জনপ্রিয়তার বিষয়টি খুব সহজেই পরিমাপ করা যায়। মন্ত্রী হিসেবেও তাঁর সফলতা ঈর্ষণীয়। মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর একজন সংগঠক ও যোদ্ধা হিসেবে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
তাঁর জীবনাবসানে গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির যে উজ্জ্বল ধারা রেখে গেলেন, তা অবশ্যই ভবিষ্যতে জাতিকে রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ দেখাবে। তাঁর আদর্শ সমুজ্জ্বল থাকবে দেশবাসীর সামনে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য এই বীর রাজনীতিকের আকাঙ্ক্ষা ছিল একাত্তরে সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আজ দীর্ঘদিন পর হলেও যখন এই প্রক্রিয়া চলছে, তখন তিনি চলে গেলেন আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রেখেই। নিষ্ঠাবান রাজনীতিক ও বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সৈনিক আবদুর রাজ্জাক রাজনৈতিক গগনে ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
No comments