উত্তরসূরির পথ উন্মুক্ত করতে দেশ ছাড়বেন সালেহ
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেছেন, উত্তরসূরির পথ উন্মুক্ত করে দিতে তিনি শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র চলে যাবেন। তবে আবারও ফিরে আসবেন জনগণের হয়ে রাজপথে আন্দোলনের জন্য। গত শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নয়জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন। গত ২৩ নভেম্বর প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের মধ্যস্থতায় শর্তসাপেক্ষে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন প্রেসিডেন্ট সালেহ। সেই মতো চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী
প্রেসিডেন্ট সালেহ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদ্রাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দেশটিতে সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্যের সরকারও গঠিত হয়। তবে প্রেসিডেন্ট সালেহ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। জনতা তাঁর পদত্যাগের দাবিতে এখনো বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার রাজধানী সানায় প্রেসিডেন্ট সালেহর বাসভবন চত্বরের কাছেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নয়জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। সালেহর ছেলে ও ভাগনের নেতৃত্বাধীন সেনা ইউনিটের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ ছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণাঞ্চলের শহর তাইজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজধানীতে আসে। প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরের কাছে পৌঁছালে রিপাবলিকান গার্ড ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ সময় সহিংসতা শুরু হয়।
এই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট সালেহর সঙ্গে বিরোধী জোটের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে সালেহ ও বিরোধী দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারেরও বিরোধিতা করছে। প্রেসিডেন্ট সালেহ ও বিরোধী জোটের চুক্তিতে সালেহ এবং তাঁর স্বজনদের কোনো বিচারের আওতায় আনা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া আছে। বিক্ষোভকারীরা এই শর্তের চরম বিরোধিতা করছে।
বিক্ষোভকারীরা শনিবার সালেহ ও ঐকমত্যের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। ‘শহীদদের রক্ত ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে’ বলেও স্লোগান দেয় তারা।
প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘আমি কয়েক দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চলে যাব। বর্তমান মতৈক্যের সরকার যাতে নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে, সে জন্যই আমার দেশত্যাগ।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে কিছুদিন থেকে আবারও দেশে ফিরব। কারণ, আমার জনগণ ও সহকর্মীদের ছেড়ে থাকব না আমি। ফিরে এসে বিরোধী অবস্থানে থেকে জনগণের জন্য রাজপথে আন্দোলন করব।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের উদ্দেশে সালেহ বলেন, ‘ইয়েমেনে অস্থিতিশীলতা মানে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা। তাই ইয়েমেনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষায় আপনারা এগিয়ে আসুন। কারণ, এটা আপনাদেরও নিরাপত্তার বিষয়।’
ইয়েমেনে প্রায় ৩৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ। তাঁকে হটানোর দাবিতে গত জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু হয়। দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী জোট দ্য কমন ফোরাম প্রেসিডেন্ট সালেহর নিপীড়ন, জুলুম আর দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। এই জোটই সালেহর সঙ্গে সমঝোতা করে ঐকমত্যের সরকার গঠন করেছে। এই সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পিটিআই অনলাইন।
শনিবার রাজধানী সানায় প্রেসিডেন্ট সালেহর বাসভবন চত্বরের কাছেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নয়জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। সালেহর ছেলে ও ভাগনের নেতৃত্বাধীন সেনা ইউনিটের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ ছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণাঞ্চলের শহর তাইজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজধানীতে আসে। প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরের কাছে পৌঁছালে রিপাবলিকান গার্ড ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ সময় সহিংসতা শুরু হয়।
এই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট সালেহর সঙ্গে বিরোধী জোটের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে সালেহ ও বিরোধী দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারেরও বিরোধিতা করছে। প্রেসিডেন্ট সালেহ ও বিরোধী জোটের চুক্তিতে সালেহ এবং তাঁর স্বজনদের কোনো বিচারের আওতায় আনা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া আছে। বিক্ষোভকারীরা এই শর্তের চরম বিরোধিতা করছে।
বিক্ষোভকারীরা শনিবার সালেহ ও ঐকমত্যের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। ‘শহীদদের রক্ত ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে’ বলেও স্লোগান দেয় তারা।
প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘আমি কয়েক দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চলে যাব। বর্তমান মতৈক্যের সরকার যাতে নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে, সে জন্যই আমার দেশত্যাগ।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে কিছুদিন থেকে আবারও দেশে ফিরব। কারণ, আমার জনগণ ও সহকর্মীদের ছেড়ে থাকব না আমি। ফিরে এসে বিরোধী অবস্থানে থেকে জনগণের জন্য রাজপথে আন্দোলন করব।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের উদ্দেশে সালেহ বলেন, ‘ইয়েমেনে অস্থিতিশীলতা মানে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা। তাই ইয়েমেনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষায় আপনারা এগিয়ে আসুন। কারণ, এটা আপনাদেরও নিরাপত্তার বিষয়।’
ইয়েমেনে প্রায় ৩৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ। তাঁকে হটানোর দাবিতে গত জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু হয়। দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী জোট দ্য কমন ফোরাম প্রেসিডেন্ট সালেহর নিপীড়ন, জুলুম আর দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। এই জোটই সালেহর সঙ্গে সমঝোতা করে ঐকমত্যের সরকার গঠন করেছে। এই সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পিটিআই অনলাইন।
No comments