কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক-ধর্মঘটের পর আশ্বাস মেলে, সড়ক সংস্কার হয় না by তৌহিদী হাসান
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে গত চার মাসে চারবার পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। প্রতিবার সংস্কারকাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতির পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। ১৮ কোটি টাকার অভাবে সড়কটির সবচেয়ে শোচনীয় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বারমাইল থেকে শহরের মজমপুর রেলগেট পর্যন্ত এই ১৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট, জিলা স্কুল, সওজের কার্যালয়, ডিসি কোর্ট, সার্কিট হাউস, পুলিশ লাইন ও তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এবং উপজেলা রোড, ত্রিমোহনী, সাতমাইল, নয়মাইল, গোবিন্দপুর ও বহলবাড়িয়া এলাকায় রাস্তার পাথর উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এই সড়কে প্রতিরাতেই যানজট লেগে থাকে।
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কে গত শনিবার সাতটি বড় ট্রাক নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই সব ট্রাকের চালকেরা বলেন, ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রাক চালানো যাচ্ছে না। গতি ১২-১৩ কিলোমিটার উঠলেই ট্রাক উল্টে যাওয়ার অবস্থা হয়। ঘন ঘন গিয়ার পাল্টালে স্প্রিং ভেঙে যায়।
সওজ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়ক জরুরি পুনর্বাসনের আওতায় সংস্কার করা হবে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় আট কিলোমিটারের জন্য প্রায় আট কোটি টাকার একটি দরপত্র সম্পন্ন হয়। অক্টোবর মাসে ১২ কিলোমিটারের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকার দরপত্র সম্পন্ন হয়। এ ১২ কিলোমিটারের কাজ সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। তবে কোনো কাজেরই অর্থ বরাদ্দ নেই।
এ অবস্থায় সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ১৬ নভেম্বর সর্বশেষ ধর্মঘট ডাকে কুষ্টিয়া জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অন্যবারের মতো ওই দিনও সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রশাসন। ওই দিনই সড়ক সংস্কারের ‘লোকদেখানো’ কাজ শুরু হয়।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক কার্যালয়ে বৈঠকে কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মহাসড়কের ব্যাপারে আমি বিভিন্ন মহল থেকে কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমি নিজেও চলতে গিয়ে বুঝতে পারি সড়ক কতটা খারাপ।’
অন্য ধর্মঘটের মতো ১৬ নভেম্বর বিকেলেও ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন পরিবহন নেতারা। তিন দিন পর সওজের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে বলেছিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু হবে।
ওই প্রতিশ্রুতির এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি।
১৬ নভেম্বর সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বান্ধব ট্রেডার্সের মালিক মতিয়ার রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থ ছাড়াই কাজ শুরু করেছিলাম। অর্থ নেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।’
সড়কের কাজ পাওয়া আরেক ঠিকাদার মোমিনুর রহমান বলেন, ‘নভেম্বর মাসে দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখনো কার্যাদেশ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ নেই। কাজ শুরু করব কী করে।’
যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কেউই সঠিক কথা বলে না। লোকদেখানো কাজ শুরু হয়েছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বাস ধর্মঘট ডেকেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। সেখানে পেয়েছি মাত্র ৫০ লাখ টাকা। প্রধান প্রকৌশলী যে খাতে টাকা বরাদ্দের কথা বলেছিলেন, তা আজও অনুমোদিত হয়নি। এমনকি সম্পন্ন হওয়া দরপত্রেরও কোনো অনুমোদন হয়নি। তাই কোনো ঠিকাদার কাজ করছেন না।’
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কে গত শনিবার সাতটি বড় ট্রাক নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই সব ট্রাকের চালকেরা বলেন, ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রাক চালানো যাচ্ছে না। গতি ১২-১৩ কিলোমিটার উঠলেই ট্রাক উল্টে যাওয়ার অবস্থা হয়। ঘন ঘন গিয়ার পাল্টালে স্প্রিং ভেঙে যায়।
সওজ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়ক জরুরি পুনর্বাসনের আওতায় সংস্কার করা হবে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় আট কিলোমিটারের জন্য প্রায় আট কোটি টাকার একটি দরপত্র সম্পন্ন হয়। অক্টোবর মাসে ১২ কিলোমিটারের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকার দরপত্র সম্পন্ন হয়। এ ১২ কিলোমিটারের কাজ সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। তবে কোনো কাজেরই অর্থ বরাদ্দ নেই।
এ অবস্থায় সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ১৬ নভেম্বর সর্বশেষ ধর্মঘট ডাকে কুষ্টিয়া জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অন্যবারের মতো ওই দিনও সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রশাসন। ওই দিনই সড়ক সংস্কারের ‘লোকদেখানো’ কাজ শুরু হয়।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক কার্যালয়ে বৈঠকে কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মহাসড়কের ব্যাপারে আমি বিভিন্ন মহল থেকে কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমি নিজেও চলতে গিয়ে বুঝতে পারি সড়ক কতটা খারাপ।’
অন্য ধর্মঘটের মতো ১৬ নভেম্বর বিকেলেও ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন পরিবহন নেতারা। তিন দিন পর সওজের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে বলেছিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু হবে।
ওই প্রতিশ্রুতির এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি।
১৬ নভেম্বর সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বান্ধব ট্রেডার্সের মালিক মতিয়ার রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থ ছাড়াই কাজ শুরু করেছিলাম। অর্থ নেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।’
সড়কের কাজ পাওয়া আরেক ঠিকাদার মোমিনুর রহমান বলেন, ‘নভেম্বর মাসে দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখনো কার্যাদেশ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ নেই। কাজ শুরু করব কী করে।’
যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কেউই সঠিক কথা বলে না। লোকদেখানো কাজ শুরু হয়েছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বাস ধর্মঘট ডেকেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। সেখানে পেয়েছি মাত্র ৫০ লাখ টাকা। প্রধান প্রকৌশলী যে খাতে টাকা বরাদ্দের কথা বলেছিলেন, তা আজও অনুমোদিত হয়নি। এমনকি সম্পন্ন হওয়া দরপত্রেরও কোনো অনুমোদন হয়নি। তাই কোনো ঠিকাদার কাজ করছেন না।’
No comments