২৫৮ কমিটি করতে ৫১৬ সম্মেলন-চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে সম্মেলনের মাধ্যমে। সম্মেলনে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্ধারণ করা হবে এ নেতৃত্ব। এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি কমিটি করতে যাচ্ছে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুটি গ্রুপ। এতে নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কমিটি গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি এর জের ধরে দলের বিদ্যমান কোন্দল আরও ভয়াবহ আকার ধারণ
করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এখানকার সাধারণ নেতাকর্মীরা। প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। অন্যদিকে যৌথভাবে অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি। মহানগরীর সব
ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে আলাদা আলাদা কমিটি রয়েছে ওই দুই গ্রুপের। নগরীর ১১টি থানায় ২২টি, ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ৪৬টি এবং ১২৯টি ইউনিটে ২৫৮টি কমিটি রয়েছে তাদের! নগরীর সম্মেলন করতে এসব কমিটি পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে ওই দুই গ্রুপ। ২৫৮ কমিটি করতে দু'পক্ষকে সম্মেলন করতে হবে ৫১৬টি!
সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক চিঠিতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওয়ার্ড ও ৩০ এপ্রিলের মধ্যে থানা এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মহানগর সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশনা জারির পর তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ ও মন্ত্রী আফছারুল আমীন গ্রুপ।
এদিকে ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর ২ ডিসেম্বর নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কাছে ঐক্যের বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রোববার পর্যন্ত প্রতিপক্ষ কোনো নেতার কাছে এ ধরনের কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি বলে সমকালকে জানিয়েছেন দু'গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র নেতারা।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে যাচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটিগুলো করবেন তারা। অপরদিকে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পৃথকভাবে একই পর্যায়ের কমিটি করতে যাচ্ছেন মন্ত্রী আফছারুল আমীন ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি গ্রুপ। শনিবার এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করতে বৈঠক করার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক মারা যাওয়ায় ওই বৈঠক সাময়িক স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু সমকালকে বলেন, 'নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কাছে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা (মন্ত্রী-সাংসদ গ্রুপ) কোন চিঠির ভিত্তিতে কমিটি করতে যাচ্ছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ ধরনের উদ্যোগ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী।' নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট পর্যায়ে এবং পর্যায়ক্রমে অন্য কমিটিগুলো করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অপর গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, 'তারা (মহিউদ্দিন গ্রুপ) কমিটি করবেন আর আমরা বসে থাকব এটা হতে পারে না। এর সঙ্গে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অস্তিত্ব জড়িত। তৃণমূলের কমিটিগুলো আগে থেকে আমাদের করা রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে আমরা কমিটিগুলো পুনর্গঠন করব। পরে তাদের মতামতের ভিত্তিতে মহানগরীর নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে।' প্রয়োজনে মহিউদ্দিন গ্রুপ যেদিন যেখানে কমিটি করবে সেদিন সেখানে তারাও একই কমিটি করবেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই গ্রুপের সিনিয়র নেতা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, 'চিঠির দোহাই দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ইনামুল হক দানু তৃণমূলের কমিটি করলেও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।'
ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে আলাদা আলাদা কমিটি রয়েছে ওই দুই গ্রুপের। নগরীর ১১টি থানায় ২২টি, ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ৪৬টি এবং ১২৯টি ইউনিটে ২৫৮টি কমিটি রয়েছে তাদের! নগরীর সম্মেলন করতে এসব কমিটি পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে ওই দুই গ্রুপ। ২৫৮ কমিটি করতে দু'পক্ষকে সম্মেলন করতে হবে ৫১৬টি!
সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক চিঠিতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওয়ার্ড ও ৩০ এপ্রিলের মধ্যে থানা এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মহানগর সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশনা জারির পর তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ ও মন্ত্রী আফছারুল আমীন গ্রুপ।
এদিকে ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর ২ ডিসেম্বর নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কাছে ঐক্যের বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রোববার পর্যন্ত প্রতিপক্ষ কোনো নেতার কাছে এ ধরনের কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি বলে সমকালকে জানিয়েছেন দু'গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র নেতারা।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে যাচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটিগুলো করবেন তারা। অপরদিকে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পৃথকভাবে একই পর্যায়ের কমিটি করতে যাচ্ছেন মন্ত্রী আফছারুল আমীন ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি গ্রুপ। শনিবার এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করতে বৈঠক করার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক মারা যাওয়ায় ওই বৈঠক সাময়িক স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু সমকালকে বলেন, 'নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কাছে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা (মন্ত্রী-সাংসদ গ্রুপ) কোন চিঠির ভিত্তিতে কমিটি করতে যাচ্ছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ ধরনের উদ্যোগ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী।' নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিট পর্যায়ে এবং পর্যায়ক্রমে অন্য কমিটিগুলো করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অপর গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, 'তারা (মহিউদ্দিন গ্রুপ) কমিটি করবেন আর আমরা বসে থাকব এটা হতে পারে না। এর সঙ্গে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অস্তিত্ব জড়িত। তৃণমূলের কমিটিগুলো আগে থেকে আমাদের করা রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে আমরা কমিটিগুলো পুনর্গঠন করব। পরে তাদের মতামতের ভিত্তিতে মহানগরীর নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে।' প্রয়োজনে মহিউদ্দিন গ্রুপ যেদিন যেখানে কমিটি করবে সেদিন সেখানে তারাও একই কমিটি করবেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই গ্রুপের সিনিয়র নেতা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, 'চিঠির দোহাই দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ইনামুল হক দানু তৃণমূলের কমিটি করলেও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।'
No comments