গ্রেপ্তার বন্ধুর দায় স্বীকার-ল্যাপটপের জন্য কফিলকে হত্যা!
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছাত্র মো. কফিল উদ্দিন হত্যার ঘটনায় গত শনিবার রাতে জাহেদ মাহমুদ (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কফিলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পুলিশ বলেছে, জাহেদ তাঁদের কাছে স্বীকার করেছেন, একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই তিনি পরিকল্পিতভাবে কফিলকে খুন করেন। জাহেদকে গতকাল দুপুরে নগর পুলিশ কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, কফিল তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বললে রাগের মাথায় তিনি কফিলের গলা টিপে ধরেন। এতে ‘দুর্ঘটনাবশত’ কফিলের মৃত্যু হয়। পরে এটিকে ছিনতাইকারীদের কাজ বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অ্যান্টিকাটার দিয়ে কফিলের গলা ও ডান হাতের রগ কেটে পালিয়ে যান। তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিকেলে তাঁদের জেরার মুখে জাহেদ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কফিলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। কফিলের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ল্যাপটপ ও সাড়ে ১২ হাজার টাকা জাহেদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
কম্পিউটার সায়েন্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র কফিলের লাশ ১৯ ডিসেম্বর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ পাশে পাহাড়ের ঢালু থেকে উদ্ধার করা হয়।
জাহেদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। বাগমনিরাম লেইনের ভাড়া বাসায় তাঁরা বসবাস করেন। এই বাসার অদূরে চট্টেশ্বরী সড়ক এলাকায় কফিলের বাসা।
জাহেদকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করার পর তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর তিনি ও কফিল লালখান বাজারের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়াদাওয়া করেন। রাত আটটার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে তাঁরা পার্শ্ববর্তী জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের দক্ষিণে পাহাড়ের ঢালুতে বসেন। সেখানে জাহেদ তাঁর ছোটবেলার একটি গোপনীয় কথা কফিলকে জানালে কফিল হেসে ফেলেন। জাহেদ বলেন, ‘এতে আমার রাগ হয়। একপর্যায়ে আমি তাঁর কণ্ঠনালি চেপে ধরি। কিছুক্ষণ পর দেখি কফিলের নড়াচড়া নেই।’
জাহেদ বলেন, একপর্যায়ে তিনি কফিলের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ও ১৯ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় চলে যান। তিনি বলেন, ‘১৯ ডিসেম্বর রাতে আনোয়ারার গ্রামের বাড়িতে কফিলের জানাজায় আমি অংশ নিয়েছি। এরপর তাঁদের বাসায় গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছি।’
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, জাহেদ স্বীকার করেছেন, ল্যাপটপ ও টাকা নেওয়ার জন্যই তিনি কফিলকে খুন করেন। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন। নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, হত্যাকাণ্ডের দায় জাহেদ অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের বিচক্ষণতার কারণে তাঁর চেষ্টা সফল হয়নি।
কম্পিউটার সায়েন্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র কফিলের লাশ ১৯ ডিসেম্বর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ পাশে পাহাড়ের ঢালু থেকে উদ্ধার করা হয়।
জাহেদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। বাগমনিরাম লেইনের ভাড়া বাসায় তাঁরা বসবাস করেন। এই বাসার অদূরে চট্টেশ্বরী সড়ক এলাকায় কফিলের বাসা।
জাহেদকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করার পর তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর তিনি ও কফিল লালখান বাজারের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়াদাওয়া করেন। রাত আটটার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে তাঁরা পার্শ্ববর্তী জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের দক্ষিণে পাহাড়ের ঢালুতে বসেন। সেখানে জাহেদ তাঁর ছোটবেলার একটি গোপনীয় কথা কফিলকে জানালে কফিল হেসে ফেলেন। জাহেদ বলেন, ‘এতে আমার রাগ হয়। একপর্যায়ে আমি তাঁর কণ্ঠনালি চেপে ধরি। কিছুক্ষণ পর দেখি কফিলের নড়াচড়া নেই।’
জাহেদ বলেন, একপর্যায়ে তিনি কফিলের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ও ১৯ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় চলে যান। তিনি বলেন, ‘১৯ ডিসেম্বর রাতে আনোয়ারার গ্রামের বাড়িতে কফিলের জানাজায় আমি অংশ নিয়েছি। এরপর তাঁদের বাসায় গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছি।’
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, জাহেদ স্বীকার করেছেন, ল্যাপটপ ও টাকা নেওয়ার জন্যই তিনি কফিলকে খুন করেন। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন। নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, হত্যাকাণ্ডের দায় জাহেদ অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের বিচক্ষণতার কারণে তাঁর চেষ্টা সফল হয়নি।
No comments