কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের আশাবাদ-৭% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব
চলতি অর্থবছরেই ৭ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। গতকাল রোববার গভর্নর বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মনে করি, ৭ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকগুলো সেই কথাই বলছে।’ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে গভর্নর বলেন, সামগ্রিক ও গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাপ্ত পরিসংখ্যান ইতিবাচক ধারাতেই আছে। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির কারণে
দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ইউএনবিকে আতিউর রহমান আরও বলেন, গত তিন বছরে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে প্রবাসী-আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। চলতি ডিসেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৯৩৫ কোটি মার্কিন ডলার।
গভর্নর আরও বলেন, কৃষি খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদন ও সেবা খাতের বিস্তারের কারণে ২০১০-১১ অর্থবছর ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছর অর্জিত হবে কি না, সে বিষয়ে এবার সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মুহিত বলেন, ‘দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার এখন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে বিশেষত, মূল্যস্ফীতির হার যেখানে ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।’
মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের ওপরে থাকা যেকোনো অর্থনীতির জন্য অস্বস্তিকর বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার আরেকটি অনুষ্ঠানে গভর্নর মূল্যস্ফীতি প্রশমনে মুদ্রানীতি আরেক দফা সংকোচনমূলক করারও আভাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পায়ে হাঁটছি। একদিকে মূল্যস্ফীতি প্রশমনের চেষ্টা করছি, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি যেন টেকসই হয়, সে জন্যও কাজ করছি।’
প্রয়োজনে মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণমূলক করা হবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘আমরা মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনতে চাই।’
এদিকে একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ রেপোর সুদের হার ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে দেয়। এ বিশেষ রেপোর হার সোয়া ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সোয়া ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
কোনো কার্যদিবসে দুপুর ১২টার পর যদি কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার নিতে চায়, তাহলে যে প্রক্রিয়া ও হারে তা দেওয়া হয়, সেটাই বিশেষ রেপো হিসেবে পরিচিত।
মূল্যস্ফীতি প্রশমনের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত রেপো ও রিভার্স রেপোর হার বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের ভুল বার্তা যেন না যায়, সেই সতর্কতা বিবেচনায় রেখে এবার বিশেষ রেপোর হার বাড়িয়ে দেওয়া হলো।
রেপোর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে বিক্রীত ট্রেজারি বিল ও বন্ড জমা রেখে অন্য ব্যাংকগুলোকে অর্থ জোগান দেয় ঋণ হিসেবে। রিভার্স রেপোতে উল্টোটা করা হয়। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে অর্থ নেয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে। দুই প্রক্রিয়াতেই মুদ্রার জোগান সংকুচিত করা হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রেপোর হার ১০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। এখন এ হার সোয়া ৭ শতাংশ।
গভর্নর আরও বলেন, কৃষি খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদন ও সেবা খাতের বিস্তারের কারণে ২০১০-১১ অর্থবছর ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছর অর্জিত হবে কি না, সে বিষয়ে এবার সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মুহিত বলেন, ‘দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার এখন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে বিশেষত, মূল্যস্ফীতির হার যেখানে ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।’
মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের ওপরে থাকা যেকোনো অর্থনীতির জন্য অস্বস্তিকর বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার আরেকটি অনুষ্ঠানে গভর্নর মূল্যস্ফীতি প্রশমনে মুদ্রানীতি আরেক দফা সংকোচনমূলক করারও আভাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পায়ে হাঁটছি। একদিকে মূল্যস্ফীতি প্রশমনের চেষ্টা করছি, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি যেন টেকসই হয়, সে জন্যও কাজ করছি।’
প্রয়োজনে মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণমূলক করা হবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘আমরা মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনতে চাই।’
এদিকে একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ রেপোর সুদের হার ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে দেয়। এ বিশেষ রেপোর হার সোয়া ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সোয়া ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
কোনো কার্যদিবসে দুপুর ১২টার পর যদি কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার নিতে চায়, তাহলে যে প্রক্রিয়া ও হারে তা দেওয়া হয়, সেটাই বিশেষ রেপো হিসেবে পরিচিত।
মূল্যস্ফীতি প্রশমনের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত রেপো ও রিভার্স রেপোর হার বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের ভুল বার্তা যেন না যায়, সেই সতর্কতা বিবেচনায় রেখে এবার বিশেষ রেপোর হার বাড়িয়ে দেওয়া হলো।
রেপোর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে বিক্রীত ট্রেজারি বিল ও বন্ড জমা রেখে অন্য ব্যাংকগুলোকে অর্থ জোগান দেয় ঋণ হিসেবে। রিভার্স রেপোতে উল্টোটা করা হয়। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে অর্থ নেয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে। দুই প্রক্রিয়াতেই মুদ্রার জোগান সংকুচিত করা হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রেপোর হার ১০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। এখন এ হার সোয়া ৭ শতাংশ।
No comments