বিএনপি নেতা তারেক গ্রেফতার
নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা তারেক আহমদ গতকাল রোববার গ্রেফতার হয়েছেন। জেদ্দা থেকে দেশে ফেরার পর সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নরসিংদী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিল্পপতি তারেক আহমদ মামলার ৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। লোকমান হত্যার দু'দিন আগে ৩০ অক্টোবর তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে গালফ এয়ারওয়েজের
একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। গতকাল রাতেই ইমিগ্রেশন থেকে নরসিংদী পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তারেক আহমেদকে নরসিংদী জেলা আদালতে হাজির করা হবে। গ্রেফতারের পর তারেককে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
এ নিয়ে লোকমান হত্যা মামলায় দু'জন এজাহারভুক্তসহ গ্রেফতারের সংখ্যা ১১। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইতিমধ্যে লোকমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ৮ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, লোকমান হত্যাকাণ্ডে অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা হিসেবে তারেকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দু'দিন আগে হজে যাওয়ার কথা বলে তারেক দেশত্যাগ করেন। তবে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছিল, তিনি হজ করতে সৌদি গেছেন। কাগজপত্রে দেখা যায়, তারেক সরাসরি আবুধাবিতে যান।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, লোকমান হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কাছে ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে নরসিংদী পুলিশ। গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারেক আহমেদ কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (কিউ আর-৪৩২) শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ইমিগ্রেশন শেষ করেই তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ইমিগ্রেশন থেকে যোগাযোগ করা হয় নরসিংদী পুলিশ সুপারের সঙ্গে। সন্ধ্যার দিকে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিমানবন্দরে পেঁৗছে।
ইমিগ্রেশনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সমকালকে জানান, তারেক আহমেদকে নরসিংদী পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তারেক আহমেদ, মোবারক হোসেন মোবা ও নুরুল ইসলাম যাতে অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য আগে থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছিল। মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যান। মামলার ৫ নম্বর আসামি নরসিংদী সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়া যান গত ১৫ অক্টোবর। মোবা ও নুরুল ইসলামকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে লোকমান হত্যা মামলায় দু'জন এজাহারভুক্তসহ গ্রেফতারের সংখ্যা ১১। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইতিমধ্যে লোকমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ৮ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, লোকমান হত্যাকাণ্ডে অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা হিসেবে তারেকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দু'দিন আগে হজে যাওয়ার কথা বলে তারেক দেশত্যাগ করেন। তবে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছিল, তিনি হজ করতে সৌদি গেছেন। কাগজপত্রে দেখা যায়, তারেক সরাসরি আবুধাবিতে যান।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, লোকমান হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কাছে ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে নরসিংদী পুলিশ। গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারেক আহমেদ কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (কিউ আর-৪৩২) শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ইমিগ্রেশন শেষ করেই তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ইমিগ্রেশন থেকে যোগাযোগ করা হয় নরসিংদী পুলিশ সুপারের সঙ্গে। সন্ধ্যার দিকে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিমানবন্দরে পেঁৗছে।
ইমিগ্রেশনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সমকালকে জানান, তারেক আহমেদকে নরসিংদী পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তারেক আহমেদ, মোবারক হোসেন মোবা ও নুরুল ইসলাম যাতে অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য আগে থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছিল। মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যান। মামলার ৫ নম্বর আসামি নরসিংদী সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়া যান গত ১৫ অক্টোবর। মোবা ও নুরুল ইসলামকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
No comments