প্রার্থনা ও উৎসবে বড়দিন উদ্যাপিত


দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা গতকাল রোববার প্রার্থনা আর আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে পবিত্র বড়দিন উদ্যাপন করেছে। দিনটি ছিল খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট পশ্চিম তীরের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাজধানীতে গতকাল সকাল সাতটায় রমনার সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের অন্যতম মূল প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। ঢাকার আর্চ বিশপ পেট্রিক ডি
রোজারিও সভায় ধর্ম বিষয়ে উপদেশ দেন। বড়দিন উপলক্ষে গতকাল ছিল সরকারি ছুটির দিন। অন্য ধর্মের কিছু মানুষকেও সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল ও তেজগাঁওয়ের গির্জায় দেখা যায়। কিছু গির্জায় অন্যান্য গানের সঙ্গে ‘আজি শুভদিনে পিতার ভবনে অমৃত সদনে চলো চাই’ গানটি গাওয়া হয়।
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি, শুভেচ্ছা বিনিময় বড়দিনের অনুষঙ্গ। অনেকের বাড়ির সামনে বড় অক্ষরে লেখা ‘শুভ বড়দিন’ বা ‘মেরি ক্রিসমাস’ চোখে পড়ে। গতকাল রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার, রাজাবাজার, তেঁজকুনিপাড়ায় নতুন পোশাক পরে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষকে প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যেতে দেখা গেছে।
বড়দিনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর ৪০টি গির্জায় নিরাপত্তা দিয়েছিল পুলিশ।
দেশের অন্যান্য বড় শহর ও গ্রাম এলাকার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরাও আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করেছে। অনেক এলাকায় বৈঠকি গান ও যিশুর গুণ বর্ণনা করে কীর্তনের আয়োজন করা হয়। কিছু এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়।
ইংরেজি নতুন বছরেরও আর বেশি বাকি নেই। বড়দিনের কুশল বিনিময়ের সময় তাই অনেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও ভোলেননি।
বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় ছিল শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা: বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বড়দিন উপলক্ষে গতকাল বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। রাষ্ট্রপতি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এতে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সম্মানিত সদস্য, ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষাবিদেরা যোগ দেন।

No comments

Powered by Blogger.