আমবাগানে আদা-হলুদ চাষের সম্ভাবনা-কম সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করতে পারবেন কৃষক by ওবায়দুল্লাহ রনি
আমগাছ রয়েছে এমন এক বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করে ৬০ থেকে ৮০ মণ হলুদ উৎপাদন করা সম্ভব। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় যা লাভজনক। একই সঙ্গে এতে গাছের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। কেউ এ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমবাগানের খালি জায়গায় আদা-হলুদ চাষ করলে তিনি ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ সুবিধা পাবেন। অনাবাদি জমি কমানোর লক্ষ্যে খালি জায়গায় চাষের প্রতি উৎসাহী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া
হয়েছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা চালানো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে মডেল ধরে অক্টোবরে গবেষণাটি করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, আমগাছ রয়েছে এমন প্রতি বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৮০ মণ হলুদ উৎপাদন করা সম্ভব। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় যা বেশ লাভজনক। তবে বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের চাষিদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। এ ছাড়া অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় হলুদ চাষ ব্যয়বহুল। তাই প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে সক্ষম না হওয়ায় অনেকেই এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছেন না। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমগাছ রয়েছে_ এমন জমিতে হলুদ বা আদা চাষে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ড. আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে আম চাষ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ জমি পতিত থাকে। অথচ এখানে হলুদ বা আদা চাষ করে অনেক লাভ করা সম্ভব। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। সেখানে অন্য ফসলের তুলনায় এ ধরনের জমিতে আদা-হলুদ চাষ লাভজনক বলে দেখা গেছে। এখন এ ধরনের ফসল চাষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চার শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। শিগগির এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র জানায়, বাগান মালিক, জমির লিজ গ্রহীতা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এভাবে হলুদ চাষ খুবই লাভজনক। তবে এটা ব্যয়বহুল হওয়ায় তাদের মধ্যে আগ্রহ কম। প্রতি বিঘা জমিতে হলুদ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ, লেবার খরচ, সার, নিড়ানি ও পানি সেচ বাবদ তাদের ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্য ফসল চাষের তুলনায় যা অনেক বেশি। অত্যধিক খরচের কথা চিন্তা করে ইচ্ছা থাকার পরও হলুদ চাষ করেন না তারা। তবে ঋণ সুবিধা পেলে এ ধরনের চাষে উৎসাহী হবেন। তারা জানান, খরচ মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলেও তা দেওয়া হয় না। অন্যদিকে অনেকের কাছে হলুদ চাষের মতো পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও বাগানের ক্ষতি হতে পারে বিবেচনায় চাষে আগ্রহ দেখান না। যে কারণে এ অঞ্চলের যেখানে আমবাগান রয়েছে তার বেশিরভাগ জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ড. আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে আম চাষ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ জমি পতিত থাকে। অথচ এখানে হলুদ বা আদা চাষ করে অনেক লাভ করা সম্ভব। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। সেখানে অন্য ফসলের তুলনায় এ ধরনের জমিতে আদা-হলুদ চাষ লাভজনক বলে দেখা গেছে। এখন এ ধরনের ফসল চাষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চার শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। শিগগির এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র জানায়, বাগান মালিক, জমির লিজ গ্রহীতা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এভাবে হলুদ চাষ খুবই লাভজনক। তবে এটা ব্যয়বহুল হওয়ায় তাদের মধ্যে আগ্রহ কম। প্রতি বিঘা জমিতে হলুদ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ, লেবার খরচ, সার, নিড়ানি ও পানি সেচ বাবদ তাদের ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্য ফসল চাষের তুলনায় যা অনেক বেশি। অত্যধিক খরচের কথা চিন্তা করে ইচ্ছা থাকার পরও হলুদ চাষ করেন না তারা। তবে ঋণ সুবিধা পেলে এ ধরনের চাষে উৎসাহী হবেন। তারা জানান, খরচ মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলেও তা দেওয়া হয় না। অন্যদিকে অনেকের কাছে হলুদ চাষের মতো পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও বাগানের ক্ষতি হতে পারে বিবেচনায় চাষে আগ্রহ দেখান না। যে কারণে এ অঞ্চলের যেখানে আমবাগান রয়েছে তার বেশিরভাগ জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।
No comments