মহারণের মঞ্চ প্রস্তুত by ইমাম হোসাইন সোহেল
ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে বড়দিন কোনটি? প্রশ্নটা ক্রিকেটের বাইবেল 'উইজডেন'কে জিজ্ঞেস করতে হবে না, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যে কেউই উত্তর দেবেন_ বক্সিং ডে। পুরনোকে ভুলে অস্ট্রেলিয়ানরা এ দিনটিতেই সবকিছু শুরু করতে চায় নতুন করে। এবারের বক্সিং ডে টেস্টের মাহাত্ম্য ছাড়িয়ে গেছে আগের যে কোনো বক্সিং ডে টেস্টকেই। এ টেস্টটিতে এমন দুটি দল মুখোমুখি যাদের মধ্যে মিল-অমিলের বৈচিত্র্য অনেক। দু'দলই সাম্রাজ্য হারানো।
তবে সিরিজ শুরুর আগেই দারুণভাবে তারা আকর্ষণ করেছে ক্রিকেট বিশ্বের মুগ্ধ দৃষ্টি। বাংলাদেশ সময় আজ ভোর ৫টায় শুরু হয়ে যাবে দু'দলের ব্যাট-বলের লড়াই। তবে বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন। গতকাল মেলবোর্নে বৃষ্টি হয়েছে। আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ ভাগ। একই সঙ্গে থাকবে প্রচণ্ড ঠাণ্ডাও।
বড়দিনের পর আজ অস্ট্রেলিয়ায় ছুটির দিন। এক লাখ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারি ভরে উঠবে তাই বর্ণিল সাজে। বক্সিং ডে বলেই নয়, এবারের সিরিজের ব্যাপার-স্যাপারই যে সম্পূর্ণ আলাদা! ৬৪ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম ভারতীয়দের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি, অসিদের অজেয় থাকার মিশন, শচীনের শততম টেস্ট সেঞ্চুরির প্রত্যাশা, পন্টিং-হাসির ফর্মে ফেরার প্রত্যয়_ সব মিলিয়ে বক্সিং ডে টেস্টের আকর্ষণ বেড়ে গেছে অনেক।
শক্তি আর সামর্থ্যের বিচারে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার তুলনাটা অবান্তর। দু'দলের দিকে তাকালেই অবান্তর কথাটার পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের সর্বমোট টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা পাঁচ টেস্ট। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন দুই টেস্ট। হোবার্ট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১২৩ রানের টাটকা স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে আসছেন অবশ্য মেলবোর্নে। আরেক ওপেনার এড কাওয়ান অভিষেকের অপেক্ষায়। এখনও টেস্ট ক্যাপ পরা হয়নি তার। প্রস্তুতি ম্যাচে চেয়ারম্যান একাদশের হয়ে ১০৯ রানের পুঁজিই তাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বানিয়ে দিয়েছে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা শন মার্শ এর আগে খেলেছেন মাত্র তিনটি টেস্ট। ইনজুরি কাটিয়ে ঘরোয়া লীগে ভালো পারফরম্যান্সের জন্যই চলে এলেন দলে। তিনজনই সম্ভাবনাময়ী। তবে গত তিন দশকে এমন অনিশ্চিত টপ অর্ডার পায়নি আর অস্ট্রেলিয়া। বিপরীতে ভারতীয় দলটির দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীর, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় আর ভিভিএস লক্ষ্মণের মোট টেস্টের সংখ্যা ৬১০টি। বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপ। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির গত চারটি সিরিজের প্রায় পুরনো দলটিই খেলছে ভারতের; কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে কত পরিবর্তন! এড কাওয়ানের অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই চলতি বছর দশম ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটাবে স্বাগতিকরা। ১৯৭৭ সালে ক্যারি পেকার সিরিজের প্রভাবের পর এই প্রথম এক বছরে এতগুলো ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটাল অস্ট্রেলিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়াও এতটা খারাপ অবস্থায় ছিল না। তারপরও নিজ মাঠে ২৬ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে তারা। শুধু তাই নয়, যে কোনো ভেন্যুতে ১৯৯৩ সালের পর কিউইদের কাছে এই প্রথম হার। অনভিজ্ঞ টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারে পন্টিং-হাসির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকলেও তাদের আউট অব ফর্ম এবং বোলিং লাইনআপে নতুনের সমন্বয়_ অস্ট্রেলিয়া দলকে একেবারেই অনিশ্চিত একটি দলে পরিণত করেছে। পিটার সিডল (২৭ টেস্ট) আর বেন হিলফেনহাসের (১৭ টেস্ট) অভিজ্ঞতা খুব একটা বেশি নয়। জেমস প্যাটিনসন আর নাথান লিয়ন তো একেবারেই নতুন। সুতরাং ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মোকাবেলায় অসি বোলিং এখনও বলা যায় আঁতুড় ঘরে রয়েছে। ক্লার্ককে এ কারণেই মাঝে মধ্যে বল হাতে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া পন্টিং, হাসি কিংবা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতেও বল তুলে দিতে পারেন তিনি। অন্যদিকে ভারতীয় বোলিংও প্রশ্নবিদ্ধ। ইনজুরি থেকে ফিরে জহির খান আর ইশান্ত শর্মা কতটুকু ভালো বল করতে পারবেন, তা এখনও প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। উমেষ যাদব এবং রবিচন্দ্র অশ্বিন কিংবা প্রজ্ঞান ওঝাদের মধ্যে যেই দলে আসুক, তাদের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। সুতরাং বোলিং নিয়ে ভুগতে হবে ভারতকেও। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ হলো ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়ক ধোনি। তার ক্যারিশম্যাটিক সিদ্ধান্তগুলো টেস্টের গতিপথই পাল্টে দিতে পারে।
বড়দিনের পর আজ অস্ট্রেলিয়ায় ছুটির দিন। এক লাখ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারি ভরে উঠবে তাই বর্ণিল সাজে। বক্সিং ডে বলেই নয়, এবারের সিরিজের ব্যাপার-স্যাপারই যে সম্পূর্ণ আলাদা! ৬৪ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম ভারতীয়দের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি, অসিদের অজেয় থাকার মিশন, শচীনের শততম টেস্ট সেঞ্চুরির প্রত্যাশা, পন্টিং-হাসির ফর্মে ফেরার প্রত্যয়_ সব মিলিয়ে বক্সিং ডে টেস্টের আকর্ষণ বেড়ে গেছে অনেক।
শক্তি আর সামর্থ্যের বিচারে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার তুলনাটা অবান্তর। দু'দলের দিকে তাকালেই অবান্তর কথাটার পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের সর্বমোট টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা পাঁচ টেস্ট। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন দুই টেস্ট। হোবার্ট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১২৩ রানের টাটকা স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে আসছেন অবশ্য মেলবোর্নে। আরেক ওপেনার এড কাওয়ান অভিষেকের অপেক্ষায়। এখনও টেস্ট ক্যাপ পরা হয়নি তার। প্রস্তুতি ম্যাচে চেয়ারম্যান একাদশের হয়ে ১০৯ রানের পুঁজিই তাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বানিয়ে দিয়েছে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা শন মার্শ এর আগে খেলেছেন মাত্র তিনটি টেস্ট। ইনজুরি কাটিয়ে ঘরোয়া লীগে ভালো পারফরম্যান্সের জন্যই চলে এলেন দলে। তিনজনই সম্ভাবনাময়ী। তবে গত তিন দশকে এমন অনিশ্চিত টপ অর্ডার পায়নি আর অস্ট্রেলিয়া। বিপরীতে ভারতীয় দলটির দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীর, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় আর ভিভিএস লক্ষ্মণের মোট টেস্টের সংখ্যা ৬১০টি। বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপ। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির গত চারটি সিরিজের প্রায় পুরনো দলটিই খেলছে ভারতের; কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে কত পরিবর্তন! এড কাওয়ানের অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই চলতি বছর দশম ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটাবে স্বাগতিকরা। ১৯৭৭ সালে ক্যারি পেকার সিরিজের প্রভাবের পর এই প্রথম এক বছরে এতগুলো ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটাল অস্ট্রেলিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়াও এতটা খারাপ অবস্থায় ছিল না। তারপরও নিজ মাঠে ২৬ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে তারা। শুধু তাই নয়, যে কোনো ভেন্যুতে ১৯৯৩ সালের পর কিউইদের কাছে এই প্রথম হার। অনভিজ্ঞ টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারে পন্টিং-হাসির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকলেও তাদের আউট অব ফর্ম এবং বোলিং লাইনআপে নতুনের সমন্বয়_ অস্ট্রেলিয়া দলকে একেবারেই অনিশ্চিত একটি দলে পরিণত করেছে। পিটার সিডল (২৭ টেস্ট) আর বেন হিলফেনহাসের (১৭ টেস্ট) অভিজ্ঞতা খুব একটা বেশি নয়। জেমস প্যাটিনসন আর নাথান লিয়ন তো একেবারেই নতুন। সুতরাং ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মোকাবেলায় অসি বোলিং এখনও বলা যায় আঁতুড় ঘরে রয়েছে। ক্লার্ককে এ কারণেই মাঝে মধ্যে বল হাতে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া পন্টিং, হাসি কিংবা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতেও বল তুলে দিতে পারেন তিনি। অন্যদিকে ভারতীয় বোলিংও প্রশ্নবিদ্ধ। ইনজুরি থেকে ফিরে জহির খান আর ইশান্ত শর্মা কতটুকু ভালো বল করতে পারবেন, তা এখনও প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। উমেষ যাদব এবং রবিচন্দ্র অশ্বিন কিংবা প্রজ্ঞান ওঝাদের মধ্যে যেই দলে আসুক, তাদের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। সুতরাং বোলিং নিয়ে ভুগতে হবে ভারতকেও। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ হলো ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়ক ধোনি। তার ক্যারিশম্যাটিক সিদ্ধান্তগুলো টেস্টের গতিপথই পাল্টে দিতে পারে।
No comments