নতুন মূল্যসূচক চালুর বিষয়ে এসইসিতে বৈঠক আজ
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নতুন মূল্যসূচক চালুর বিষয়ে মতামত জানতে তিনটি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সংস্থা তিনটি হলো: ডিএসই, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় এসইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর কমিশনে মূল্যসূচক পুনর্বিন্যাস গঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে কমিটির সদস্যরা ভুল সূচকের পরিবর্তে নতুনভাবে মূল্যসূচক চালুর পক্ষে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। গত ১২ অক্টোবর এসইসি এই কমিটি গঠন করে। ১৫ দিনের মধ্যেই কমিটি কমিশনের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এক হাজার পয়েন্টকে ভিত্তি ধরে নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করে। শুধু লেনদেনযোগ্য শেয়ারের (ফ্রি-ফ্লোট) ভিত্তিতেই নতুন সূচক চালুর কথা বলেছে কমিটি।
কমিটি বলেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ারও ফ্রি-ফ্লোট হিসাবের বাইরে রাখতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনো উদ্যোক্তা-পরিচালক ঘোষণা দিয়ে যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন, শুধু সেই পরিমাণ শেয়ারকেই ফ্রি-ফ্লোট হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে।
ধরা যাক, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে ওই কোম্পানির এক কোটি শেয়ার রয়েছে। সেখান থেকে তিনি পাঁচ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। যেদিন তা বিক্রি সম্পন্ন হবে, সেদিন থেকেই শুধু ওই পাঁচ লাখ শেয়ার ফ্রি-ফ্লোট হিসেবে বিবেচিত হবে। বাকি ৯৫ লাখ শেয়ার ফ্রি-ফ্লোটের আওতার বাইরে থাকবে।
কমিটির সুপারিশে আরও বলা হয়, নতুন সূচক চালুর পর নিয়মিতভাবে (মাসিক ভিত্তিতে) সূচক সমন্বয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। এ জন্য ডিএসইর একজন স্বতন্ত্র পরিচালক, সিডিবিএল প্রতিনিধি, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে।
এ ছাড়া নিয়মিতভাবে ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের হিসাব রাখতে আলাদা একটি সফটওয়্যার তৈরিরও সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি খাতভিত্তিক সূচক চালুর কথা বলেছে কমিটি। খাতভিত্তিক মূল্যসূচক হলে বিভিন্ন খাতের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।
সর্বোপরি ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন মূল্যসূচক চালুর সুপারিশ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটির সমাধান করতে চাই। তাই সূচক পুনর্বিন্যাসে স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রস্তুতি ও মতামত জানার পরই এ বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, সূচক নিয়ে যা সিদ্ধান্ত হওয়ার তা দ্রুত হয়ে যাক। এসইসি যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। নতুন সূচক চালুর ব্যাপারেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
এসইসির কমিটি ছাড়াও ডিএসই গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিও বর্তমান সূচকের পরিবর্তে নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুল হক, মাহমুদ ওসমান ইমাম ও সাদিকুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সূচক পরিমাপ বা নির্ধারণে হিসাবজনিত অসংগতির কারণে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে প্রায় আড়াই হাজার পয়েন্ট বাড়তি যুক্ত হয়েছে।
বর্তমান সূচকে যেসব ভুল: এসইসি গঠিত কমিটি ডিএসইর বর্তমান সূচকে চারটি অসংগতি চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো: নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম লেনদেনের দিন থেকেই সেটি সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা, প্রাতিষ্ঠানিক বন্ড এবং মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অন্তর্ভুক্তি, বোনাস ও রাইট শেয়ার বাজারে আসার আগেই তা সূচক গণনায় ধরা এবং নগদ লভ্যাংশকেও সূচক সমন্বয়ে ব্যবহার করা।
যেহেতু অতীতের অসংগতি বা ভুলগুলো বিদ্যমান সূচক থেকে বাদ দেওয়া হয়নি, সেহেতু ভুল ভিত্তির ওপরই বর্তমান সূচক দাঁড়িয়ে আছে বলে কমিটি মনে করছে। যদিও বর্তমানে এসব অসংগতি এড়িয়ে সূচক গণনা করা হচ্ছে, তার পরও অতীতের ভুলগুলো থেকে যাওয়ায় সূচক ত্রুটিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এক হাজার পয়েন্টকে ভিত্তি ধরে নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করে। শুধু লেনদেনযোগ্য শেয়ারের (ফ্রি-ফ্লোট) ভিত্তিতেই নতুন সূচক চালুর কথা বলেছে কমিটি।
কমিটি বলেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ারও ফ্রি-ফ্লোট হিসাবের বাইরে রাখতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনো উদ্যোক্তা-পরিচালক ঘোষণা দিয়ে যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন, শুধু সেই পরিমাণ শেয়ারকেই ফ্রি-ফ্লোট হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে।
ধরা যাক, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে ওই কোম্পানির এক কোটি শেয়ার রয়েছে। সেখান থেকে তিনি পাঁচ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। যেদিন তা বিক্রি সম্পন্ন হবে, সেদিন থেকেই শুধু ওই পাঁচ লাখ শেয়ার ফ্রি-ফ্লোট হিসেবে বিবেচিত হবে। বাকি ৯৫ লাখ শেয়ার ফ্রি-ফ্লোটের আওতার বাইরে থাকবে।
কমিটির সুপারিশে আরও বলা হয়, নতুন সূচক চালুর পর নিয়মিতভাবে (মাসিক ভিত্তিতে) সূচক সমন্বয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। এ জন্য ডিএসইর একজন স্বতন্ত্র পরিচালক, সিডিবিএল প্রতিনিধি, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে।
এ ছাড়া নিয়মিতভাবে ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের হিসাব রাখতে আলাদা একটি সফটওয়্যার তৈরিরও সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি খাতভিত্তিক সূচক চালুর কথা বলেছে কমিটি। খাতভিত্তিক মূল্যসূচক হলে বিভিন্ন খাতের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।
সর্বোপরি ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন মূল্যসূচক চালুর সুপারিশ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটির সমাধান করতে চাই। তাই সূচক পুনর্বিন্যাসে স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রস্তুতি ও মতামত জানার পরই এ বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, সূচক নিয়ে যা সিদ্ধান্ত হওয়ার তা দ্রুত হয়ে যাক। এসইসি যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। নতুন সূচক চালুর ব্যাপারেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
এসইসির কমিটি ছাড়াও ডিএসই গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিও বর্তমান সূচকের পরিবর্তে নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুল হক, মাহমুদ ওসমান ইমাম ও সাদিকুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সূচক পরিমাপ বা নির্ধারণে হিসাবজনিত অসংগতির কারণে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে প্রায় আড়াই হাজার পয়েন্ট বাড়তি যুক্ত হয়েছে।
বর্তমান সূচকে যেসব ভুল: এসইসি গঠিত কমিটি ডিএসইর বর্তমান সূচকে চারটি অসংগতি চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো: নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম লেনদেনের দিন থেকেই সেটি সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা, প্রাতিষ্ঠানিক বন্ড এবং মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অন্তর্ভুক্তি, বোনাস ও রাইট শেয়ার বাজারে আসার আগেই তা সূচক গণনায় ধরা এবং নগদ লভ্যাংশকেও সূচক সমন্বয়ে ব্যবহার করা।
যেহেতু অতীতের অসংগতি বা ভুলগুলো বিদ্যমান সূচক থেকে বাদ দেওয়া হয়নি, সেহেতু ভুল ভিত্তির ওপরই বর্তমান সূচক দাঁড়িয়ে আছে বলে কমিটি মনে করছে। যদিও বর্তমানে এসব অসংগতি এড়িয়ে সূচক গণনা করা হচ্ছে, তার পরও অতীতের ভুলগুলো থেকে যাওয়ায় সূচক ত্রুটিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
No comments