দুই বছরেও অনিরাপদ রাখাইন বিচার হয়নি জড়িতদের -অ্যামনেস্টির রিপোর্ট
রাখাইন
রাজ্যকে এখনো অনিরাপদ বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো নৃশংসতার দু’বছর
হতে চলেছে, অথচ এর জন্য যারা দায়ী তারা এখনো বিচারের হাত থেকে দূরে রয়েছে
বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। আগামী রোববার রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর
অভিযান পরিচালনার দু’বছর পূর্ণ হচ্ছে। তাদের ওই অভিযানে নৃশংসতার হাত থেকে
বাঁচতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয়
নিয়েছে। তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার। জাতিসংঘের তদন্তকারী দল ওই
নৃশংসতার তদন্তে বলেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। গণহত্যা চালানো
হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষোভ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ মিয়ানমারের
জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিচারের প্রস্তাব উত্থাপন করলেও এখনো ওইসব জেনারেল
তাদের পদে বহাল আছেন।
তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলাকে তত্ত্বাবধান করেছেন। রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের পর কীভাবে নতুন করে সেখানে যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী তা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নিকোলাস বিকুয়েলিন বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবর্তনের জন্য যে পদক্ষেপ সম্প্রতি নিয়েছে, তাতে আশ্রয়শিবিরের শরণার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার স্মৃতি এখনো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মনে ভাস্বর। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এতটাই শক্তিধর ও অনুতাপহীন যে, রাখাইনে যে কারো ফিরে যাওয়া এখনো অনিরাপদ। এই ভয়াবহ বার্ষিকী এটাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়াতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ। তারা ব্যর্থ ওই গণ নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে। জরুরিভিত্তিতে মিয়ানমার পরিস্থিতিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো উচিত নিরাপত্তা পরিষদের এবং দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত।
তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলাকে তত্ত্বাবধান করেছেন। রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের পর কীভাবে নতুন করে সেখানে যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী তা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নিকোলাস বিকুয়েলিন বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবর্তনের জন্য যে পদক্ষেপ সম্প্রতি নিয়েছে, তাতে আশ্রয়শিবিরের শরণার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার স্মৃতি এখনো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মনে ভাস্বর। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এতটাই শক্তিধর ও অনুতাপহীন যে, রাখাইনে যে কারো ফিরে যাওয়া এখনো অনিরাপদ। এই ভয়াবহ বার্ষিকী এটাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়াতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ। তারা ব্যর্থ ওই গণ নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে। জরুরিভিত্তিতে মিয়ানমার পরিস্থিতিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো উচিত নিরাপত্তা পরিষদের এবং দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত।
No comments