ছাত্রদলের কাউন্সিল: ইতিহাস গড়তে চান পাপন-ডালিয়া by শাহনেওয়াজ বাবলু
সাতাশ
বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে যাচ্ছে ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব।
কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ আর উদ্দীপনা।
কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১০ জন মনোনয়ন ফরম কিনলেও ফরম জমা
দিয়েছেন ৭৬ জন। তবে ছাত্রদলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে
প্রার্থী হয়েছেন দুই নারী। যদিও একই পদের জন্য তিনজন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
আসন্ন কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত
কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক ডালিয়া রহমান। আর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেও জমা দেননি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী মানছুরা আলম।
এই বিষয়ে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা মানবজমিনকে বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন নারী প্রার্থী হয়েছে এটা সত্যিই খুশির খবর।
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা সবাই নারী। সব জায়গায় নারীদের জয়জয়কার। নারীরা যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই সোনা ফলেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সব ক্ষেত্রেই নারীরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নারীরা প্রার্থী হয়েছে, আগামী সভাপতি পদেও তারা প্রার্থী হবে।
ছাত্রদলের নারীদের বড় দুই পদে এগিয়ে আসাটা সংগঠনের জন্য পজেটিভ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ছাত্রদলের সুচনা থেকেই নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে এবারই প্রথম সাধারণ সম্পাদক পদে দুই নারী প্রার্থী হয়েছেন। এটা ছাত্রদলের জন্য পজেটিভ। আমরা কাউন্সিল ঘোষণার আগেই সেরা দুই পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করেছি। এখন যারা কাউন্সিলর আছেন তারাই তাদের সঠিক নেতাকে বেছে নেবেন।
নাদিয়া পাঠান পাপন বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ছাত্রদল করে আসছি। বিগত আন্দোলনে আমি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছি। বেশ কয়েকটি মামলায় আসামি হয়েছি। কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করেছি। আমি মনে করি তৃণমুল ছেলে কিংবা মেয়ে বিবেচনা করবে না, আগামী আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে। আর আমার আশা তৃণমুল আমাকে প্রধান্য দেবে, নারীকে প্রাধান্য দেবে। ডালিয়া বলেন, আমার সাহস আছে। আছে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। দুঃসময় পাড়ি দিয়ে নেতৃত্বে আসতে চাই। বিগত আনেন্দালন সংগ্রামে আমি সব সময় সক্রিয় ছিলাম, এখনো আছি। তৃণমূলের ভোটাররাও আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আশা করছি নিরাশ হব না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেয়ে নাদিয়া পাঠান পাপন বেগম বদরুন্নেসা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করেন। বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কুমিল্লা জেলার বরুড়ায় জন্ম নেয়া ডালিয়া রহমান স্কুল জীবন শেষ করেন বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ থেকে। বড় ভাইয়ের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি ডালিয়ার। তিনি বেসরকারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ও এলএলএম করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের আওতায় তিনি এলএলবি অনার্স করছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ডালিয়া।
এই বিষয়ে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা মানবজমিনকে বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন নারী প্রার্থী হয়েছে এটা সত্যিই খুশির খবর।
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা সবাই নারী। সব জায়গায় নারীদের জয়জয়কার। নারীরা যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই সোনা ফলেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সব ক্ষেত্রেই নারীরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নারীরা প্রার্থী হয়েছে, আগামী সভাপতি পদেও তারা প্রার্থী হবে।
ছাত্রদলের নারীদের বড় দুই পদে এগিয়ে আসাটা সংগঠনের জন্য পজেটিভ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ছাত্রদলের সুচনা থেকেই নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে এবারই প্রথম সাধারণ সম্পাদক পদে দুই নারী প্রার্থী হয়েছেন। এটা ছাত্রদলের জন্য পজেটিভ। আমরা কাউন্সিল ঘোষণার আগেই সেরা দুই পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করেছি। এখন যারা কাউন্সিলর আছেন তারাই তাদের সঠিক নেতাকে বেছে নেবেন।
নাদিয়া পাঠান পাপন বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ছাত্রদল করে আসছি। বিগত আন্দোলনে আমি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছি। বেশ কয়েকটি মামলায় আসামি হয়েছি। কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করেছি। আমি মনে করি তৃণমুল ছেলে কিংবা মেয়ে বিবেচনা করবে না, আগামী আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে। আর আমার আশা তৃণমুল আমাকে প্রধান্য দেবে, নারীকে প্রাধান্য দেবে। ডালিয়া বলেন, আমার সাহস আছে। আছে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। দুঃসময় পাড়ি দিয়ে নেতৃত্বে আসতে চাই। বিগত আনেন্দালন সংগ্রামে আমি সব সময় সক্রিয় ছিলাম, এখনো আছি। তৃণমূলের ভোটাররাও আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আশা করছি নিরাশ হব না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেয়ে নাদিয়া পাঠান পাপন বেগম বদরুন্নেসা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করেন। বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কুমিল্লা জেলার বরুড়ায় জন্ম নেয়া ডালিয়া রহমান স্কুল জীবন শেষ করেন বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ থেকে। বড় ভাইয়ের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি ডালিয়ার। তিনি বেসরকারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ও এলএলএম করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের আওতায় তিনি এলএলবি অনার্স করছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ডালিয়া।
No comments