আইএসের বিরুদ্ধে আফগান তালেবানদের যুদ্ধের মাত্র শুরু by আলি এম লতিফি
চলতি
সপ্তাহে আফগানিস্তানে উদযাপনের কথা ছিল কারণ এই সপ্তাহেই ব্রিটিশদের হাত
থেকে স্বাধীন হয়েছিল ৩২ মিলিয়ন মানুষের এই দেশ। কিন্তু বার্ষিকী উদযাপনের
ঠিক দুই দিন আগেই ট্রাজেডি আঘাত হানলো।
শনিবার আইএস গ্রুপের কথিত এক সদস্য নিজের শরীরে বিস্ফোরক জড়িয়ে শনিবার আট শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক বিয়ে অনুষ্ঠানে ঢুকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
কাবুলে যদিও বহু বছর ধরে সহিংসতা চলে আসছে, কিন্তু পশ্চিম কাবুলের এই হামলাটি ছিল বিশেষভাবে ভয়াবহ। বিস্ফোরণে ৬৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কয়েকশ। সন্ত্রাসী হামলায় যেমনটা হয়, বোমা হামলায় পুরো কাবুল জুড়ে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কাবুলের একজন অধিবাসী পারবিন পোপাল বলেন, “যখন থেকে এখানে আত্মঘাতী হামলা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই আমি আশঙ্কা করে এসেছি যে বিয়ের অনুষ্ঠানকে আবার যেন টার্গেট করা না হয়। যখনই আমি কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছি, আমার মনে হয়েছে এই ওরা আসলো বলে”।
সোমবার মানুষের দুর্দশা ও অবিশ্বাস দ্বিগুণ হলো যখন পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে রেস্তোরাঁ ও পাবলিক স্কয়ারে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরিত হলো। স্বাধীনতা দিবসে এই সব হামলায় বহু ডজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অল্প বয়স্ক শিশুরাও রয়েছে। হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি।
মার্কিন প্রশাসন যখন দোহায় প্রথমবারের মতো তালেবানদের সাথে সরাসরি আলোচনা শুরু করলো, তখন থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে যে আইএস গ্রুপের সাথে জড়িত যোদ্ধাদের সাথে কি করা হবে।
পূর্বাঞ্চলীয় ননগারহার প্রদেশের পার্লামেন্ট সদস্য নাবিলাহ বাজ বলেছেন, আইএসের মোকাবেলা করাটা তালেবানদের মোকাবেলা করার চেয়ে অনেক কঠিন হতে পারে।
তিনি বলেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা করাটা দায়েশের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ গোষ্ঠিবাদ নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে, রাজনীতির তারা তোয়াক্কা করে না”।
দুই গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য হলো: “তালেবানদের রাজনৈতিক দাবি রয়েছে, তারা বলে থাকে যে, তারা সরকারে ছিল এবং তাদেরকে উৎখাত করা হয়েছে”।
স্বাধীনতা দিবসের আগের সপ্তাহগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়া হয়েছিল। এ উপলক্ষ্যে ২০ শতকের কিছু প্রাসাদ আবার খুলে দেয়া হয়, যেগুলো যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে সহিংসতা বোমা হামলাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যে কারণে কর্মকর্তারা এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বাতিল করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, “তাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা যদি উদযাপন করো, তাহলে হামলায় নিহত ও আহত সবার জুতা তোমাদের প্রাসাদে নিয়ে যাবো আমরা”।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শিগগিরই একটা চুক্তির খবরের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি টানার জন্য তালেবান আর ওয়াশিংটন একটা চুক্তির দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।
এই ভয়াবহ হামলার একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে সম্ভাব্য চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
“আফগানিস্তান নিয়ে খুবই ভালো একটা বৈঠক শেষ হয়েছে। ১৯ বছরের এই যুদ্ধের প্রতিপক্ষের অনেকে এবং আমরা একটা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি – যদি সম্ভব হয়!”
তালেবানদের সাথে সমঝোতায় ওয়াশিংটনের প্রধান প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদ এক টুইটে বলেছেন যে, এই হামলা তাদের আলোচনার গতি আরও বাড়াবে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ইতোমধ্যে হামলার দায়দায়িত্ব পরোক্ষভাবে তালেবানদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, “তালেবানরা তাদের দায় এড়াতে পারে না। কারণ তারা সন্ত্রাসীদের সুযোগ করে দিয়েছে”।
তালেবানরা হত্যাকাণ্ডের দায় নাকচ করে দিয়ে বলেছে: “নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বর্বর হত্যাকান্ডের কোন যুক্তি থাকতে পারে না।” তবে তারা নিজেদের হামলা অব্যাহত রেখেছে, যে সব হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে।
শনিবার আইএস গ্রুপের কথিত এক সদস্য নিজের শরীরে বিস্ফোরক জড়িয়ে শনিবার আট শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক বিয়ে অনুষ্ঠানে ঢুকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
কাবুলে যদিও বহু বছর ধরে সহিংসতা চলে আসছে, কিন্তু পশ্চিম কাবুলের এই হামলাটি ছিল বিশেষভাবে ভয়াবহ। বিস্ফোরণে ৬৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কয়েকশ। সন্ত্রাসী হামলায় যেমনটা হয়, বোমা হামলায় পুরো কাবুল জুড়ে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কাবুলের একজন অধিবাসী পারবিন পোপাল বলেন, “যখন থেকে এখানে আত্মঘাতী হামলা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই আমি আশঙ্কা করে এসেছি যে বিয়ের অনুষ্ঠানকে আবার যেন টার্গেট করা না হয়। যখনই আমি কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছি, আমার মনে হয়েছে এই ওরা আসলো বলে”।
সোমবার মানুষের দুর্দশা ও অবিশ্বাস দ্বিগুণ হলো যখন পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে রেস্তোরাঁ ও পাবলিক স্কয়ারে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরিত হলো। স্বাধীনতা দিবসে এই সব হামলায় বহু ডজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অল্প বয়স্ক শিশুরাও রয়েছে। হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি।
মার্কিন প্রশাসন যখন দোহায় প্রথমবারের মতো তালেবানদের সাথে সরাসরি আলোচনা শুরু করলো, তখন থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে যে আইএস গ্রুপের সাথে জড়িত যোদ্ধাদের সাথে কি করা হবে।
পূর্বাঞ্চলীয় ননগারহার প্রদেশের পার্লামেন্ট সদস্য নাবিলাহ বাজ বলেছেন, আইএসের মোকাবেলা করাটা তালেবানদের মোকাবেলা করার চেয়ে অনেক কঠিন হতে পারে।
তিনি বলেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা করাটা দায়েশের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ গোষ্ঠিবাদ নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে, রাজনীতির তারা তোয়াক্কা করে না”।
দুই গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য হলো: “তালেবানদের রাজনৈতিক দাবি রয়েছে, তারা বলে থাকে যে, তারা সরকারে ছিল এবং তাদেরকে উৎখাত করা হয়েছে”।
স্বাধীনতা দিবসের আগের সপ্তাহগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়া হয়েছিল। এ উপলক্ষ্যে ২০ শতকের কিছু প্রাসাদ আবার খুলে দেয়া হয়, যেগুলো যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে সহিংসতা বোমা হামলাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যে কারণে কর্মকর্তারা এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বাতিল করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, “তাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা যদি উদযাপন করো, তাহলে হামলায় নিহত ও আহত সবার জুতা তোমাদের প্রাসাদে নিয়ে যাবো আমরা”।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শিগগিরই একটা চুক্তির খবরের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি টানার জন্য তালেবান আর ওয়াশিংটন একটা চুক্তির দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।
এই ভয়াবহ হামলার একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে সম্ভাব্য চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
“আফগানিস্তান নিয়ে খুবই ভালো একটা বৈঠক শেষ হয়েছে। ১৯ বছরের এই যুদ্ধের প্রতিপক্ষের অনেকে এবং আমরা একটা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি – যদি সম্ভব হয়!”
তালেবানদের সাথে সমঝোতায় ওয়াশিংটনের প্রধান প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদ এক টুইটে বলেছেন যে, এই হামলা তাদের আলোচনার গতি আরও বাড়াবে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ইতোমধ্যে হামলার দায়দায়িত্ব পরোক্ষভাবে তালেবানদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, “তালেবানরা তাদের দায় এড়াতে পারে না। কারণ তারা সন্ত্রাসীদের সুযোগ করে দিয়েছে”।
তালেবানরা হত্যাকাণ্ডের দায় নাকচ করে দিয়ে বলেছে: “নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বর্বর হত্যাকান্ডের কোন যুক্তি থাকতে পারে না।” তবে তারা নিজেদের হামলা অব্যাহত রেখেছে, যে সব হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে।
No comments