তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে নিজেদের স্বার্থ অবহেলিত হওয়ার আশঙ্কা আফগানদের by পামেলা কনস্টেবল
বহু
মাস ধরে আফগান জনগণ উদ্বেগের সাথে অপেক্ষা করছে এটা দেখার জন্য যে,
মার্কিন কর্মকর্তা এবং তালেবান গেরিলাদের মধ্যে আলোচনা থেকে স্থায়ী শান্তি
এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির কোন পথ বেরিয়ে আসে না কি তালেবানদের পুনরায় ক্ষমতা
গ্রহণের মাধ্যমে পুরনো সঙ্ঘাত আবার জেগে ওঠে।
শনিবার এই উদ্বেগটা আরও গভীর হয়েছে, যখন এটা জানা গেলো যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ শান্তি আলোচক জালমাই খলিলজাদ শুক্রবার প্রায় চূড়ান্ত একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করেছেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে কিন্তু যেখানে তালেবানদের অস্ত্রবিরতির কোন প্রতিশ্রুতি বা আফগান কর্মকর্তাদের সাথে তাদের রাজনৈতিক সমঝোতার কোন বিষয় নেই।
শনিবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। তালেবানদের চাপের কারণে আলোচনা থেকে এ যাবত তাকে বাদ রাখা হয়েছে। তার মুখপাত্র সেদিক সেদিকি বলেছেন, শুক্রবারের ঘটনা সম্পর্কে ঘানিকে এখন পর্যন্ত অবগত করা হয়নি তবে একটা ‘সম্মানজনক ও স্থায়ী শান্তির’ জন্য তার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে সেদিকি বলেন যে, মার্কিন কর্মকর্তারা ঘানিকে এই আশ্বাস দিয়েছেন যে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হবে শর্ত সাপেক্ষে, যার অর্থ হলো তালেবানরা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেই কেবল সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন যে, জঙ্গিরা যদি সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে রাজনীতিতে ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়, তাহলে ‘আফগান জনগণের জন্য এটা একটা ইতিবাচক অর্জন হবে’।
এর কয়েক ঘন্টা পর পশ্চিম কাবুলের একটি জনাকীর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরিত হয় এবং এতে ৩৮ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কোন গ্রুপ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, কিন্তু এর আগে কাবুলে আরও দুটো বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, যেটার জন্য তালেবানদের দায়ি করা হয়। একটিতে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৪৫ জন নিহত হয় এবং ১৪৫ জন আহত হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বোমা ও বন্দুক হামলায় ২০ জন নিহত এবং ৫০ এর বেশি আহত হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথিরা সোশাল মিডিয়ায় রক্তে ভেজা মেঝে এবং ভাঙাচোরা চেয়ার টেবিলের ছবি প্রকাশ করেছেন। অন্যেরা লিখেছেন যে, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি সেজে ভেতরে ঢুকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কাবুলের বহুতল বিয়ের হলটিতে প্রায়ই একাধিক বিয়ে এক রাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে কয়েক হাজার অতিথিরা সমবেত হয়।
সেদিকি মধ্যরাতের পর এক টুইটে লিখেছেন যে, বিস্ফোরণের খবরে তিনি বিপর্যন্ত এবং তিনি এটাও লিখেছেন যে: “কিভাবে একজন মানুষকে আত্মঘাতি হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝখানে গিয়ে সেটার বিস্ফোরণ ঘটাতে বলা সম্ভব?!! নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে কেন এই শত্রুতা?”
মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার যে চুক্তির বিবরণ দিয়েছেন, সেখানে মূলত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং অন্যান্য চরমপন্থী গ্রুপের সাথে তালেবানদের সম্পর্কোচ্ছেদের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। এতে চুক্তি স্বাক্ষরের পর অস্ত্রবিরতি এবং আফগান-অভ্যন্তরীণ সংলাপের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে এতে বিশদ উল্লেখ নেই বা এটারও উল্লেখ নেই যে আফগান কর্মকর্তাদের সাথে তালেবানরা আলোচনায় রাজি হয়েছে কি না।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, শান্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনা। কাতারে মার্কিন-তালেবান চুক্তি হলে ওসলোতে শিগগিরই আফগান-অভ্যন্তরীণ সংলাপ হবে, যেখানে রাজনৈতিক পট বদলের বিষয়ে আলোচনা হবে।
শনিবার এই উদ্বেগটা আরও গভীর হয়েছে, যখন এটা জানা গেলো যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ শান্তি আলোচক জালমাই খলিলজাদ শুক্রবার প্রায় চূড়ান্ত একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করেছেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে কিন্তু যেখানে তালেবানদের অস্ত্রবিরতির কোন প্রতিশ্রুতি বা আফগান কর্মকর্তাদের সাথে তাদের রাজনৈতিক সমঝোতার কোন বিষয় নেই।
শনিবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। তালেবানদের চাপের কারণে আলোচনা থেকে এ যাবত তাকে বাদ রাখা হয়েছে। তার মুখপাত্র সেদিক সেদিকি বলেছেন, শুক্রবারের ঘটনা সম্পর্কে ঘানিকে এখন পর্যন্ত অবগত করা হয়নি তবে একটা ‘সম্মানজনক ও স্থায়ী শান্তির’ জন্য তার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে সেদিকি বলেন যে, মার্কিন কর্মকর্তারা ঘানিকে এই আশ্বাস দিয়েছেন যে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হবে শর্ত সাপেক্ষে, যার অর্থ হলো তালেবানরা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেই কেবল সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন যে, জঙ্গিরা যদি সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে রাজনীতিতে ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়, তাহলে ‘আফগান জনগণের জন্য এটা একটা ইতিবাচক অর্জন হবে’।
এর কয়েক ঘন্টা পর পশ্চিম কাবুলের একটি জনাকীর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরিত হয় এবং এতে ৩৮ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কোন গ্রুপ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, কিন্তু এর আগে কাবুলে আরও দুটো বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, যেটার জন্য তালেবানদের দায়ি করা হয়। একটিতে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৪৫ জন নিহত হয় এবং ১৪৫ জন আহত হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বোমা ও বন্দুক হামলায় ২০ জন নিহত এবং ৫০ এর বেশি আহত হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথিরা সোশাল মিডিয়ায় রক্তে ভেজা মেঝে এবং ভাঙাচোরা চেয়ার টেবিলের ছবি প্রকাশ করেছেন। অন্যেরা লিখেছেন যে, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি সেজে ভেতরে ঢুকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কাবুলের বহুতল বিয়ের হলটিতে প্রায়ই একাধিক বিয়ে এক রাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে কয়েক হাজার অতিথিরা সমবেত হয়।
সেদিকি মধ্যরাতের পর এক টুইটে লিখেছেন যে, বিস্ফোরণের খবরে তিনি বিপর্যন্ত এবং তিনি এটাও লিখেছেন যে: “কিভাবে একজন মানুষকে আত্মঘাতি হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝখানে গিয়ে সেটার বিস্ফোরণ ঘটাতে বলা সম্ভব?!! নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে কেন এই শত্রুতা?”
মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার যে চুক্তির বিবরণ দিয়েছেন, সেখানে মূলত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং অন্যান্য চরমপন্থী গ্রুপের সাথে তালেবানদের সম্পর্কোচ্ছেদের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। এতে চুক্তি স্বাক্ষরের পর অস্ত্রবিরতি এবং আফগান-অভ্যন্তরীণ সংলাপের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে এতে বিশদ উল্লেখ নেই বা এটারও উল্লেখ নেই যে আফগান কর্মকর্তাদের সাথে তালেবানরা আলোচনায় রাজি হয়েছে কি না।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, শান্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আফগান-অভ্যন্তরীণ আলোচনা। কাতারে মার্কিন-তালেবান চুক্তি হলে ওসলোতে শিগগিরই আফগান-অভ্যন্তরীণ সংলাপ হবে, যেখানে রাজনৈতিক পট বদলের বিষয়ে আলোচনা হবে।
No comments