আয়কর বিতর্কে কলকাতার দুর্গাপূজো by পরিতোষ পাল
দুর্গাপূজো
এখন আর হিন্দুদের উৎসব নয়। এটি এখন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবের
চারদিনে সব ধর্মের, সব বর্ণের মানুষ যোগ দেন। সম্প্রীতির আবহে অনুষ্ঠিত
হওয়া এই দুর্গাপূজো নিয়ে পুজোর দু’মাস বাকি থাকার আগেই শুরু হয়েছে আয়কর
বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপূজো কমিটিগুলোকে আয়কর কর্তৃপক্ষের দেয়া নোটিশের
প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। গত মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন পুজো কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে
কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের
বঙ্গজননী এবং মহিলা শাখা। কোনোভাবেই পুজো কমিটিগুলোর উপর কর ধার্য করা মেনে
নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মমতা বলেছেন, পুজোর সঙ্গে যুক্ত
সকলের আয় থেকে টিডিএস (উৎসে কর) কাটা আসলে টেরিব্?ল ডিজাস্টার স্কিম
(ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক প্রকল্প)।
তবে কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলোর বাজেট শুনলে চমকে উঠতে হয়। কোনো কমিটিই খরচের কথা প্রকাশ্যে না জানালেও পুজোর আড়ম্বর দেখলেই বোঝা যায়, বেশ কয়েক কোটি রুপি খরচ করে এক একটি পুজো কমিটি। আগের মতো চাঁদা নিয়ে আর পুজো হয় না। এখন পুজো হয় করপোরেট সংস্থার বদান্যতায়। কিন্তু নিয়মমতো আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হলেও কাউকে কোনো কর দিতে হয় না।
গত বছরই আয়কর দপ্তর পুজো কমিটির উপর কোনো কর চাপানোর কথা না বললেও পুজোর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থা ও ইভেন্ট কোম্পানিগুলো থেকে টিডিএস কেটে তা জমা দেয়া হয়েছে কি না সেই তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। তারপর ফোরাম ফর দুর্গাপুজো নামে সব পুজো কমিটিকে নিয়ে গঠিত সংস্থার সঙ্গে আয়কর কর্তৃপক্ষের একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখন তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপে রাজনীতির লড়াই যুক্ত হয়েছে। কলকাতাসহ শহরতলীর সব বড় পুজো কমিটিই রাজ্যের মন্ত্রী এবং শীর্ষ নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সেগুলির অনেকগুলিকেই বিজেপি দখল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় মমতার উদ্দেশ্যই হলো, ভাবাবেগে আঘাত করার অজুহাতে সব পুজো কমিটিকেই নিজেদের দিকে রাখা। চেতলা অগ্রণী দুর্গাপুজো কমিটির কর্তা ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, টাকার থলি নিয়ে পুজো কমিটিগুলি দখল করতে গিয়েছিলেন। পারেননি। তাই পুজোগুলো বন্ধ করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী দল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোনোভাবেই করের ভয় দেখিয়ে পুজোগুলিকে দখল করা যাবে না। তবে আয়কর কর্তৃপক্ষ দিল্লি থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছর কোনো পুজো কমিটিকে কোনো নোটিশই দেওয়া হয়নি। নোটিশ দেয়া হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। তাতে বলা হয়েছিল, কমিটি যেন ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজারদের প্রাপ্য মেটানোর আগে উৎসে কর সংক্রান্ত তথ্য জমা করে।
এর উদ্দেশ্য ছিল, ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজাররা যাতে ঠিক সময়ে কর জমা করেন। আসলে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই যে এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। বড় পুজো কমিটিগুলো তা মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার প্রতিবাদের পরই পুজো কমিটিগুলো সুর পাল্টাতে শুরু করেছে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের কর্তা শাশ্বত ঘোষ এখন বলছেন, কর বসালে কেউ পুজোর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে না। অনেকের রুটি-রুজি জড়িয়ে পুজোর সঙ্গে। তাদের পেটেও থাবা বসানোরও চক্রান্ত চলছে। তবে কর বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বত্র সবাই টিডিএস দিচ্ছেন। তাহলে পুজোর সঙ্গে যুক্ত যে সব সংস্থা মুনাফা করছে তাদের কর দিতে হবে না কেন?
হাতে টানা রিকশা বন্ধ হবে কালের নিয়মে
রিকশায় বসে সওয়ারি। আর সেই সওয়ারিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টেনে নিয়ে চলেছেন কোনো রিকশা চালক। এমন অমানবিক দৃশ্য কলকাতার বেশকিছু অঞ্চলে এখনও দেখা যাচ্ছে। উত্তর কলকাতায় বর্ষার দিনে এই হাতে টানা রিকশা প্রয়াজনীয় হয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষের। ১৯১৯ সালে ‘ক্যালকাটা হ্যাকনি ক্যারেজ অ্যাক্ট’- চালু হয়েছিল। সেই আইনে ব্রিটিশ শাসকেরা কলকাতা শহরে ঘোড়া, গরুর গাড়ি, পালকি, হাতে টানা রিকশার উপর নিয়ন্ত্রণ এনেছিল। তখন থেকেই শহরে লাইসেন্স নিয়ে হাতে টানা রিকশা চলাচলের শুরু। তবে ২০০৬-এর ১৫ই আগস্টে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এমন রিকশা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। বাতিল করে দেয়া হয়েছিল ১৯১৯-এর হ্যাকনি ক্যারেজ আইনও। কিন্তু তারপরও কলকাতায় থেকে যাওয়া রিকশাগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে নতুন করে কোনো লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না হাতে টানা রিকশাকে। এমনকি পুরনো লাইসেন্স পুনর্নবায়নও করা হচ্ছে না। কিন্তু মানবিকতার দোহাই দিয়েই চোখের সামনে এই রিকশার অবাধ চলাচল সত্ত্বেও পুলিশ কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয় না। ফলে কলকাতার অলি-গলিতে তা আজও চলছে। পুলিশের হিসাব, প্রায় হাজার পাঁচেক এমন রিকশা চলছে কলকাতার পথে। তবে প্রশাসনের কর্তাদের ভরসা কালের নিয়ম। তাদের মতে, কালের নিয়মেই কমে আসবে হাতে টানা রিকশা। একসময় বন্ধও হয়ে যাবে। কীভাবে? আসলে রিকশাচালকদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসছে না। যে হাজার পাঁচেক রিকশাওয়ালা রয়েছেন, অধিকাংশের বয়স হয়েছে। ফলে কালের নিয়মে হাতে টানা রিকশা কমে আসছে। একসময় উঠেই যাবে।
তৃণমূল কংগ্রেসে এবার ক্যাডার বাহিনী
এতদিন বামপন্থিদের মধ্যেই চালু ছিল ক্যাডার কথাটি। ক্যাডার শব্দের অর্থ সাথী। আসলে বলশেভিক বিপ্লবের সময় থেকেই দলের কর্মীদের কমরেড হিসেবে সম্বোধনের শুরু হয়েছিল। পরে তা গোটা বিশ্বেই বামপন্থিদের মধ্যে প্রবলভাবে চালু হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলে ক্যাডারদের গুরুত্বও বেড়ে গিয়েছিল। বাম দলগুলোতে সাথী হিসেবে বোঝানোর চেয়ে ক্যাডার হিসেবে দলের প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীকেই বোঝানো হতো। বাম দলগুলোর, বিশেষ করে সিপিআইএম’র মধ্যে এই ক্যাডার বাহিনীই প্রকৃত শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। তবে একসময় এই ক্যাডারবাহিনী বাম সরকারের শেষদিকে সাথীত্ব ত্যাগ করে হয়ে উঠেছিল উৎপীড়ক বাহিনী হিসেবে। তাই ক্যাডার শব্দটি নিয়ে দক্ষিণপন্থি দলগুলোর মধ্যে কোনো আগ্রহ ছিল না। বরং বাম বিরোধী দলগুলো এই শব্দটিকে সযত্নে পরিহার করেছে। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসে ক্যাডার শব্দটি অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে।
দলের নেতা-কর্মীরা এই শব্দটি নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও বর্তমানে দলের পরিত্রাতা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ হলো দলের কর্মীদের কমরেড হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। আসলে দলে অনেক সাংগঠনিক পরিবর্তনের পাশাপাশি কমরেড শব্দটিকে চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের টিম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের কাছে কমরেডদের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রথমে ভিরমি খেলেও পরে সকলে বুঝেছেন, এই ক্যাডার হলো দলের নিচুতলার নিবেদিত কর্মীবাহিনী। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, ব্যাপারটি আলাদা কিছু নয়। তবে আমরা কখনো দলীয় কর্মীদের ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করি না। তাছাড়া দল হিসেবেও আমরা কমিউনিষ্ট পার্টির ঘরানার নই। তবে প্রশান্ত কিশোর এখন নিচুতলার কর্মীবাহিনীকেই ক্যাডার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছেন। একসময় বাম দলের মতোই এই ক্যাডাররাই যে দলের শক্তিশালী অংশ হয়ে উঠবে তার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করছেন অনেক নেতাই।
স্ট্রিট ফুডের ঐতিহ্যের স্বীকৃতি
কলকাতার রাস্তার ধারের ফুটপাতের খাবারের আকর্ষণে বহু সেলিব্রেটিকেও দেখা গেছে দামি রেস্টুরেন্ট ছেড়ে পথের খাবারের স্বাদ নিতে। আসলে কলকাতার স্ট্রিট ফুড বলতে বোঝায় নানা ধরনের খাবার। বিরিয়ানি থেকে ভাত মাছের ঝোল বা কাটলেট থেকে রোল, এমন নানা খাবার পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যের এক সুবিশাল উপস্থিতির টানে সকলেই ছুটে আসেন এই পথের খাবারের দোকানে। বিশেষ করে অফিসপাড়া বলে পরিচিত এলাকাতে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। জেলার বিখ্যাত সব মিষ্টিও পাওয়া যায় এই স্ট্রিট ফুডের দোকানে। এমনকি সল্টলেকের আইটি এলাকাতেও এই স্ট্রিট ফুডের চাহিদা প্রবল। একদিকে দামে যেমন সস্তা তেমনি খাদ্যের গুণগত মানও বেশ ভালো। অবশ্য কলকাতায় এই স্ট্রিট ফুডের প্রচলন নতুন নয়। বিশিষ্ট কলকাতা বিশেষজ্ঞ হরিপদ ভৌমিকের মতে, কলকাতার ফুটপাথের খাবারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতে বাড়ির বাইরে থাকা পড়ুয়াদের বড় অংশই মেসে থাকতেন। সেই মেসের বাসিন্দারা মেসের খাবারে অরুচি হওয়ায় স্বাদ বদল করতে খাবারের খোঁজ করতেন। এইভাবেই কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতে তৈরি হয়েছে খাবারের দোকান। আবার উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে রেল স্টেশনগুলোতে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার ফুটপাথে খাবারের দোকান চালু হয়েছিল। পরে তা শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শহরতলীতেও ফুটপাথে রয়েছে খাবারের দোকান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই স্ট্রিট ফুডের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যকেই স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। যদিও হেরিটেজ আইনে ঐতিহাসিক স্থাপত্যকেই মর্যাদা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে স্থাপত্য নির্ভর ঐতিহ্যের বাইরে অন্য যে সব সংস্কৃতি রয়েছে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দোল, দুর্গাপুজো, মহরম, পয়লা বৈশাখের মতো উৎসবকেও। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ঐতিহ্য হিসেবে ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যে সব সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাকে এই প্রথম একত্রিত করে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই কলকাতার স্ট্রিট ফুডের পাশাপাশি কলকাতা বইমেলাও এই স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, ফুটপাথের খাবার বা বইমেলার যে জনপ্রিয়তা তাকে বাদ দিলে কলকাতা আর কলকাতা থাকে না।
মৈত্রীর বন্ধনে দুই বাংলার সংগীত
দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধনে সংস্কৃতির যে ভূমিকা রয়েছে তা বারে বারে দেখা গেছে। আর এই মৈত্রীর বন্ধনকে জোরদার করতেই দুই বাংলার শিল্পীরা নানা প্রয়াসে শামিল হয়ে চলেছেন। এবারও দুই বাংলার দুই প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী মৈত্রীর বন্ধনকে নতুন মাত্রা দিতে একসঙ্গে প্রকাশ করেছেন রবীন্দ্রসংগীতের দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া একটি অ্যালবাম। কলকাতায় এই অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আমার নিবিড় সম্পর্ক। ভালোবাসার টান। তাই তো বাংলাদেশের শিল্পী অরূপ রতনের সঙ্গে গান গাইতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে আমরা আবার একসঙ্গে গান গাইবো, সেই প্রত্যাশা রইল আমার। অ্যালবামের অপর শিল্পী ড. অরূপ রতন চৌধুরীও মৈত্রীর বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, দুই বাংলার সংস্কৃতির সেতুবন্ধনকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রথম হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে একটি রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম। অরূপ রতনের কথায়, আমি চাই, আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার সংস্কৃতির আরও বেশি আদান-প্রদান হোক। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতির নৈকট্য বাড়ুক। দৃঢ় হোক ভালোবাসা আর সংস্কৃতির বন্ধন। আমাদের মৈত্রীর বন্ধন চির অটুট থাকুক। গত মঙ্গলবার বিকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’- শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনে ছিলেন শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা ও অরূপ রতন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার।
‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’ অ্যালবামে স্থান পেয়েছে পাঁচটি জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। গানগুলো হচ্ছে- ‘সেদিন দু’জনে দুলেছিনু বনে’, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে’, ‘তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি’ এবং ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’। অ্যালবামটিতে ধারাভাষ্য দিয়েছেন অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের সাউন্ডটেক ইলেকট্রনিক্স এই অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে।
তবে কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলোর বাজেট শুনলে চমকে উঠতে হয়। কোনো কমিটিই খরচের কথা প্রকাশ্যে না জানালেও পুজোর আড়ম্বর দেখলেই বোঝা যায়, বেশ কয়েক কোটি রুপি খরচ করে এক একটি পুজো কমিটি। আগের মতো চাঁদা নিয়ে আর পুজো হয় না। এখন পুজো হয় করপোরেট সংস্থার বদান্যতায়। কিন্তু নিয়মমতো আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হলেও কাউকে কোনো কর দিতে হয় না।
গত বছরই আয়কর দপ্তর পুজো কমিটির উপর কোনো কর চাপানোর কথা না বললেও পুজোর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থা ও ইভেন্ট কোম্পানিগুলো থেকে টিডিএস কেটে তা জমা দেয়া হয়েছে কি না সেই তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। তারপর ফোরাম ফর দুর্গাপুজো নামে সব পুজো কমিটিকে নিয়ে গঠিত সংস্থার সঙ্গে আয়কর কর্তৃপক্ষের একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখন তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপে রাজনীতির লড়াই যুক্ত হয়েছে। কলকাতাসহ শহরতলীর সব বড় পুজো কমিটিই রাজ্যের মন্ত্রী এবং শীর্ষ নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সেগুলির অনেকগুলিকেই বিজেপি দখল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় মমতার উদ্দেশ্যই হলো, ভাবাবেগে আঘাত করার অজুহাতে সব পুজো কমিটিকেই নিজেদের দিকে রাখা। চেতলা অগ্রণী দুর্গাপুজো কমিটির কর্তা ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, টাকার থলি নিয়ে পুজো কমিটিগুলি দখল করতে গিয়েছিলেন। পারেননি। তাই পুজোগুলো বন্ধ করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী দল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোনোভাবেই করের ভয় দেখিয়ে পুজোগুলিকে দখল করা যাবে না। তবে আয়কর কর্তৃপক্ষ দিল্লি থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছর কোনো পুজো কমিটিকে কোনো নোটিশই দেওয়া হয়নি। নোটিশ দেয়া হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। তাতে বলা হয়েছিল, কমিটি যেন ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজারদের প্রাপ্য মেটানোর আগে উৎসে কর সংক্রান্ত তথ্য জমা করে।
এর উদ্দেশ্য ছিল, ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজাররা যাতে ঠিক সময়ে কর জমা করেন। আসলে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই যে এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। বড় পুজো কমিটিগুলো তা মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার প্রতিবাদের পরই পুজো কমিটিগুলো সুর পাল্টাতে শুরু করেছে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের কর্তা শাশ্বত ঘোষ এখন বলছেন, কর বসালে কেউ পুজোর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে না। অনেকের রুটি-রুজি জড়িয়ে পুজোর সঙ্গে। তাদের পেটেও থাবা বসানোরও চক্রান্ত চলছে। তবে কর বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বত্র সবাই টিডিএস দিচ্ছেন। তাহলে পুজোর সঙ্গে যুক্ত যে সব সংস্থা মুনাফা করছে তাদের কর দিতে হবে না কেন?
হাতে টানা রিকশা বন্ধ হবে কালের নিয়মে
রিকশায় বসে সওয়ারি। আর সেই সওয়ারিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টেনে নিয়ে চলেছেন কোনো রিকশা চালক। এমন অমানবিক দৃশ্য কলকাতার বেশকিছু অঞ্চলে এখনও দেখা যাচ্ছে। উত্তর কলকাতায় বর্ষার দিনে এই হাতে টানা রিকশা প্রয়াজনীয় হয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষের। ১৯১৯ সালে ‘ক্যালকাটা হ্যাকনি ক্যারেজ অ্যাক্ট’- চালু হয়েছিল। সেই আইনে ব্রিটিশ শাসকেরা কলকাতা শহরে ঘোড়া, গরুর গাড়ি, পালকি, হাতে টানা রিকশার উপর নিয়ন্ত্রণ এনেছিল। তখন থেকেই শহরে লাইসেন্স নিয়ে হাতে টানা রিকশা চলাচলের শুরু। তবে ২০০৬-এর ১৫ই আগস্টে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এমন রিকশা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। বাতিল করে দেয়া হয়েছিল ১৯১৯-এর হ্যাকনি ক্যারেজ আইনও। কিন্তু তারপরও কলকাতায় থেকে যাওয়া রিকশাগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে নতুন করে কোনো লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না হাতে টানা রিকশাকে। এমনকি পুরনো লাইসেন্স পুনর্নবায়নও করা হচ্ছে না। কিন্তু মানবিকতার দোহাই দিয়েই চোখের সামনে এই রিকশার অবাধ চলাচল সত্ত্বেও পুলিশ কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয় না। ফলে কলকাতার অলি-গলিতে তা আজও চলছে। পুলিশের হিসাব, প্রায় হাজার পাঁচেক এমন রিকশা চলছে কলকাতার পথে। তবে প্রশাসনের কর্তাদের ভরসা কালের নিয়ম। তাদের মতে, কালের নিয়মেই কমে আসবে হাতে টানা রিকশা। একসময় বন্ধও হয়ে যাবে। কীভাবে? আসলে রিকশাচালকদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসছে না। যে হাজার পাঁচেক রিকশাওয়ালা রয়েছেন, অধিকাংশের বয়স হয়েছে। ফলে কালের নিয়মে হাতে টানা রিকশা কমে আসছে। একসময় উঠেই যাবে।
তৃণমূল কংগ্রেসে এবার ক্যাডার বাহিনী
এতদিন বামপন্থিদের মধ্যেই চালু ছিল ক্যাডার কথাটি। ক্যাডার শব্দের অর্থ সাথী। আসলে বলশেভিক বিপ্লবের সময় থেকেই দলের কর্মীদের কমরেড হিসেবে সম্বোধনের শুরু হয়েছিল। পরে তা গোটা বিশ্বেই বামপন্থিদের মধ্যে প্রবলভাবে চালু হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলে ক্যাডারদের গুরুত্বও বেড়ে গিয়েছিল। বাম দলগুলোতে সাথী হিসেবে বোঝানোর চেয়ে ক্যাডার হিসেবে দলের প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীকেই বোঝানো হতো। বাম দলগুলোর, বিশেষ করে সিপিআইএম’র মধ্যে এই ক্যাডার বাহিনীই প্রকৃত শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। তবে একসময় এই ক্যাডারবাহিনী বাম সরকারের শেষদিকে সাথীত্ব ত্যাগ করে হয়ে উঠেছিল উৎপীড়ক বাহিনী হিসেবে। তাই ক্যাডার শব্দটি নিয়ে দক্ষিণপন্থি দলগুলোর মধ্যে কোনো আগ্রহ ছিল না। বরং বাম বিরোধী দলগুলো এই শব্দটিকে সযত্নে পরিহার করেছে। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসে ক্যাডার শব্দটি অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে।
দলের নেতা-কর্মীরা এই শব্দটি নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও বর্তমানে দলের পরিত্রাতা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ হলো দলের কর্মীদের কমরেড হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। আসলে দলে অনেক সাংগঠনিক পরিবর্তনের পাশাপাশি কমরেড শব্দটিকে চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের টিম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের কাছে কমরেডদের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রথমে ভিরমি খেলেও পরে সকলে বুঝেছেন, এই ক্যাডার হলো দলের নিচুতলার নিবেদিত কর্মীবাহিনী। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, ব্যাপারটি আলাদা কিছু নয়। তবে আমরা কখনো দলীয় কর্মীদের ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করি না। তাছাড়া দল হিসেবেও আমরা কমিউনিষ্ট পার্টির ঘরানার নই। তবে প্রশান্ত কিশোর এখন নিচুতলার কর্মীবাহিনীকেই ক্যাডার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছেন। একসময় বাম দলের মতোই এই ক্যাডাররাই যে দলের শক্তিশালী অংশ হয়ে উঠবে তার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করছেন অনেক নেতাই।
স্ট্রিট ফুডের ঐতিহ্যের স্বীকৃতি
কলকাতার রাস্তার ধারের ফুটপাতের খাবারের আকর্ষণে বহু সেলিব্রেটিকেও দেখা গেছে দামি রেস্টুরেন্ট ছেড়ে পথের খাবারের স্বাদ নিতে। আসলে কলকাতার স্ট্রিট ফুড বলতে বোঝায় নানা ধরনের খাবার। বিরিয়ানি থেকে ভাত মাছের ঝোল বা কাটলেট থেকে রোল, এমন নানা খাবার পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যের এক সুবিশাল উপস্থিতির টানে সকলেই ছুটে আসেন এই পথের খাবারের দোকানে। বিশেষ করে অফিসপাড়া বলে পরিচিত এলাকাতে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। জেলার বিখ্যাত সব মিষ্টিও পাওয়া যায় এই স্ট্রিট ফুডের দোকানে। এমনকি সল্টলেকের আইটি এলাকাতেও এই স্ট্রিট ফুডের চাহিদা প্রবল। একদিকে দামে যেমন সস্তা তেমনি খাদ্যের গুণগত মানও বেশ ভালো। অবশ্য কলকাতায় এই স্ট্রিট ফুডের প্রচলন নতুন নয়। বিশিষ্ট কলকাতা বিশেষজ্ঞ হরিপদ ভৌমিকের মতে, কলকাতার ফুটপাথের খাবারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতে বাড়ির বাইরে থাকা পড়ুয়াদের বড় অংশই মেসে থাকতেন। সেই মেসের বাসিন্দারা মেসের খাবারে অরুচি হওয়ায় স্বাদ বদল করতে খাবারের খোঁজ করতেন। এইভাবেই কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতে তৈরি হয়েছে খাবারের দোকান। আবার উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে রেল স্টেশনগুলোতে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার ফুটপাথে খাবারের দোকান চালু হয়েছিল। পরে তা শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শহরতলীতেও ফুটপাথে রয়েছে খাবারের দোকান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই স্ট্রিট ফুডের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যকেই স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। যদিও হেরিটেজ আইনে ঐতিহাসিক স্থাপত্যকেই মর্যাদা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে স্থাপত্য নির্ভর ঐতিহ্যের বাইরে অন্য যে সব সংস্কৃতি রয়েছে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দোল, দুর্গাপুজো, মহরম, পয়লা বৈশাখের মতো উৎসবকেও। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ঐতিহ্য হিসেবে ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যে সব সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাকে এই প্রথম একত্রিত করে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই কলকাতার স্ট্রিট ফুডের পাশাপাশি কলকাতা বইমেলাও এই স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, ফুটপাথের খাবার বা বইমেলার যে জনপ্রিয়তা তাকে বাদ দিলে কলকাতা আর কলকাতা থাকে না।
মৈত্রীর বন্ধনে দুই বাংলার সংগীত
দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধনে সংস্কৃতির যে ভূমিকা রয়েছে তা বারে বারে দেখা গেছে। আর এই মৈত্রীর বন্ধনকে জোরদার করতেই দুই বাংলার শিল্পীরা নানা প্রয়াসে শামিল হয়ে চলেছেন। এবারও দুই বাংলার দুই প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী মৈত্রীর বন্ধনকে নতুন মাত্রা দিতে একসঙ্গে প্রকাশ করেছেন রবীন্দ্রসংগীতের দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া একটি অ্যালবাম। কলকাতায় এই অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আমার নিবিড় সম্পর্ক। ভালোবাসার টান। তাই তো বাংলাদেশের শিল্পী অরূপ রতনের সঙ্গে গান গাইতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে আমরা আবার একসঙ্গে গান গাইবো, সেই প্রত্যাশা রইল আমার। অ্যালবামের অপর শিল্পী ড. অরূপ রতন চৌধুরীও মৈত্রীর বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, দুই বাংলার সংস্কৃতির সেতুবন্ধনকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রথম হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে একটি রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম। অরূপ রতনের কথায়, আমি চাই, আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার সংস্কৃতির আরও বেশি আদান-প্রদান হোক। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতির নৈকট্য বাড়ুক। দৃঢ় হোক ভালোবাসা আর সংস্কৃতির বন্ধন। আমাদের মৈত্রীর বন্ধন চির অটুট থাকুক। গত মঙ্গলবার বিকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’- শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনে ছিলেন শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা ও অরূপ রতন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার।
‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’ অ্যালবামে স্থান পেয়েছে পাঁচটি জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। গানগুলো হচ্ছে- ‘সেদিন দু’জনে দুলেছিনু বনে’, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে’, ‘তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি’ এবং ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’। অ্যালবামটিতে ধারাভাষ্য দিয়েছেন অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের সাউন্ডটেক ইলেকট্রনিক্স এই অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে।
No comments