শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মুহিবুর ফাউন্ডেশন
‘তুমি
পারবে না’ কিংবা ‘তোমাকে দিয়ে হবে না’—এমন নেতিবাচক কথা নয়, বরং ‘তুমিই
যোগ্য, তুমিই সেরা’ স্লোগান নিয়ে সিলেটে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মুহিবুর রহমান
ফাউন্ডেশন পরিচালিত চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাবলিক
পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করার কৃতিত্ব
দেখিয়ে সমীহ আদায় করে নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিলেট কমার্স কলেজ,
সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, ইডেন গার্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং
মুহিবুর রহমান একাডেমি।
সিলেট কমার্স কলেজ
‘প্রাইভেট পড়াকে না বলুন’ স্লোগান নিয়ে ২০০৫ সালে নগরের মিরের ময়দান এলাকায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কলেজটি। বর্তমানে ৭০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০০৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটি ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন শিক্ষার্থী কোনো এক দিন ক্লাস ফাঁকি দিলে, তাৎক্ষণিকভাবে সেটি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। এর ফলে অভিভাবকেরা ওই শিক্ষার্থীর গতিবিধির ওপর নজর রাখেন। কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে কোনো বিষয় না বুঝলে, ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত সময় নিয়ে তাকে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আবু ইফতেখার বলে, ‘শহরের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য এই কলেজটিই সবচেয়ে ভালো।’
সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ
বিজ্ঞান শাখার জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজটি পরিচিতি পেয়েছে। নগরের মিরের ময়দান এলাকায় ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ৩৭৫ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে এখানকার শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে আসছেন।
মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে এ কলেজে ভর্তি হয়েছে রিজওয়ানা ইসলাম। সে বলে, ‘এখানে পড়াশোনার পরিবেশ খুবই ভালো। মানসম্মত পড়ালেখার দিক দিয়েও এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে।’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে যেমন মুখস্থ করতে দেওয়া হয় না, তেমনি প্রাইভেটকেও ‘না’ জানানো হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মু. ম রহমান বুলবুল বলেন, ‘আমাদের এখানে একেকটি ক্লাস হয় ৭৫ মিনিটের। প্রতিদিন ল্যাব ক্লাস হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা তৈরিতে শিক্ষকেরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।’
ইডেন গার্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
এ কলেজটির অবস্থান নগরের রায়নগর দর্জিপাড়া এলাকায়। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ২৫০ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ কলেজের শিক্ষার্থীরাও শতভাগ পাস করে আসছে।
মুহিবুর রহমান একাডেমি
নগরের দরগামহল্লা এলাকায় ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু রয়েছে। বর্তমানে ৮৬০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রধান শিক্ষক মো. শামস উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরেও বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয়। এতে ইতিবাচক ফল আসছে। ভালো পাঠদানের পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষকদেরও নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য
মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের শতভাগ ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের গৃহশিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হয় না। সিসিটিভির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক ক্লাস ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে অভিভাবকদের রেকর্ড প্রদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা আছে।’ মুহিবুর রহমান আরও বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর ভর্তি পরীক্ষাসহ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনের যেকোনো প্রকার প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিয়মিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রয়েছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনসুবিধাও। এর বাইরে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমও নিয়মিত চারটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হয়।’
সিলেট কমার্স কলেজ
‘প্রাইভেট পড়াকে না বলুন’ স্লোগান নিয়ে ২০০৫ সালে নগরের মিরের ময়দান এলাকায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কলেজটি। বর্তমানে ৭০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০০৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটি ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন শিক্ষার্থী কোনো এক দিন ক্লাস ফাঁকি দিলে, তাৎক্ষণিকভাবে সেটি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। এর ফলে অভিভাবকেরা ওই শিক্ষার্থীর গতিবিধির ওপর নজর রাখেন। কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে কোনো বিষয় না বুঝলে, ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত সময় নিয়ে তাকে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আবু ইফতেখার বলে, ‘শহরের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য এই কলেজটিই সবচেয়ে ভালো।’
সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ
বিজ্ঞান শাখার জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজটি পরিচিতি পেয়েছে। নগরের মিরের ময়দান এলাকায় ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ৩৭৫ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে এখানকার শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে আসছেন।
মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে এ কলেজে ভর্তি হয়েছে রিজওয়ানা ইসলাম। সে বলে, ‘এখানে পড়াশোনার পরিবেশ খুবই ভালো। মানসম্মত পড়ালেখার দিক দিয়েও এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে।’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে যেমন মুখস্থ করতে দেওয়া হয় না, তেমনি প্রাইভেটকেও ‘না’ জানানো হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মু. ম রহমান বুলবুল বলেন, ‘আমাদের এখানে একেকটি ক্লাস হয় ৭৫ মিনিটের। প্রতিদিন ল্যাব ক্লাস হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা তৈরিতে শিক্ষকেরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।’
ইডেন গার্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
এ কলেজটির অবস্থান নগরের রায়নগর দর্জিপাড়া এলাকায়। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ২৫০ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ কলেজের শিক্ষার্থীরাও শতভাগ পাস করে আসছে।
মুহিবুর রহমান একাডেমি
নগরের দরগামহল্লা এলাকায় ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু রয়েছে। বর্তমানে ৮৬০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রধান শিক্ষক মো. শামস উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরেও বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয়। এতে ইতিবাচক ফল আসছে। ভালো পাঠদানের পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষকদেরও নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য
মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের শতভাগ ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের গৃহশিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হয় না। সিসিটিভির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক ক্লাস ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে অভিভাবকদের রেকর্ড প্রদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা আছে।’ মুহিবুর রহমান আরও বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর ভর্তি পরীক্ষাসহ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনের যেকোনো প্রকার প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিয়মিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রয়েছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনসুবিধাও। এর বাইরে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমও নিয়মিত চারটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হয়।’
সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষক। ছবি: প্রথম আলো |
No comments