কাশ্মীরে গণভোটের আয়োজন করে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করুন: মোদিকে কোরেশির চ্যালেঞ্জ
জাতিসংঘকে
দেয়া অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থতার জন্য নয়া দিল্লির সমালোচনা করে পাকিস্তানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কাশ্মীরে গণভোটের আয়োজন করে জনপ্রিয়তা প্রমাণ
করতে বলেছেন। এতে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যদা বাতিল কাশ্মীরবাসী মেনে
নিয়েছে কিনা তারও প্রমাণ হবে।
গত রোববার মুলতানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কোরেশি বলেন, আমি মোদিকে কার্ফু তুলে নিয়ে গণভোট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। কাশ্মীরের সব নেতাকে ডেকে জিজ্ঞেস করুন।
মোদিকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত জাতিসংঘকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আপনি যদি কাশ্মীর সিদ্ধান্তের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে জনগণের মতামত জানতে চান তাহলে গণভোট দিন, তাহলেই দেখতে পাবেন।
সংলাপের বিরুদ্ধে নয় পাকিস্তান
কোরেশি বলেন এই অঞ্চলটি যে বিরোধপূর্ণ সে কথা জাতিসংঘ মহাসচিবও স্বীকার করেছেন এবং এই বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড সম্পর্কিত জাতিসংঘ প্রস্তাব, জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা পাকিস্তানের জন্য বড় কূটনৈতিক বিজয় বলে কোরেশি উল্লেখ করেন।
তবে বিশ্ব সম্প্রদায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ আয়োজনের উপর কতটা জোর দিচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে পাকিস্তান কখনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংলাপের বিরোধিতা করেনি।
কাশ্মীর বিরোধের গতিশীলতা ব্যাখ্যা করে কোরেশি বলেন যে এই ইস্যুর পক্ষ তিনটি: পাকিস্তান, ভারত ও কাশ্মীর। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে দুটি পক্ষের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আর তৃতীয় পক্ষ কাশ্মীরী জনগণ রয়েছে কঠোর কার্ফুর আওতায়, বর্বর সামরিক শক্তি দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছে।
আক্ষেপ করে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব বিধিনিষেধের বেড়াজালে কাশ্মীরী জনগণের দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাদের ওষুধপত্র বা খাবার কিনতে দেয়া হচ্ছে কিনা সেটাও আমরা জানি না। এ অবস্থায় কোন ধরনের আলোচনা চালানো যায়?
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানকে সংলাপে বসতে বলার আগে নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই ভারতীয় সরকারের নৃশংসতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে বলে কোরেশি উল্লেখ করেন।
কাশ্মীরের পাশে আমরা আছি
কোরেশি আরো বলেন, কাশ্মীরীরা জন্য অবর্ণনীয় দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপর থেকে অব্যাহত গোলা বর্ষণে আমাদের জওয়ান ও নিরপরাধ বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে। পাকিস্তান ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তবে পাকিস্তান তার অভিপ্রায় ও দৃঢ় ইচ্ছার কথাও জানিয়েছে। আমরা সবসময় কাশ্মীরীদের পাশে রয়েছি।
কাশ্মীর ইস্যুটিকে তুলে ধরায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রশংসা করেন কোরেশি।
কাশ্মীরের ব্যাপারে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর বিরোধে পাকিস্তানের অবস্থান জাতিসংঘ সনদের নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন ভিত্তিক এবং এটা অপরিবর্তিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও কাশ্মীরী জনগেণের ইচ্ছা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর বিরোধের নিষ্পত্তি হতে হবে।
গত রোববার মুলতানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কোরেশি বলেন, আমি মোদিকে কার্ফু তুলে নিয়ে গণভোট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। কাশ্মীরের সব নেতাকে ডেকে জিজ্ঞেস করুন।
মোদিকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত জাতিসংঘকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আপনি যদি কাশ্মীর সিদ্ধান্তের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে জনগণের মতামত জানতে চান তাহলে গণভোট দিন, তাহলেই দেখতে পাবেন।
সংলাপের বিরুদ্ধে নয় পাকিস্তান
কোরেশি বলেন এই অঞ্চলটি যে বিরোধপূর্ণ সে কথা জাতিসংঘ মহাসচিবও স্বীকার করেছেন এবং এই বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড সম্পর্কিত জাতিসংঘ প্রস্তাব, জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা পাকিস্তানের জন্য বড় কূটনৈতিক বিজয় বলে কোরেশি উল্লেখ করেন।
তবে বিশ্ব সম্প্রদায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ আয়োজনের উপর কতটা জোর দিচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে পাকিস্তান কখনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংলাপের বিরোধিতা করেনি।
কাশ্মীর বিরোধের গতিশীলতা ব্যাখ্যা করে কোরেশি বলেন যে এই ইস্যুর পক্ষ তিনটি: পাকিস্তান, ভারত ও কাশ্মীর। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে দুটি পক্ষের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আর তৃতীয় পক্ষ কাশ্মীরী জনগণ রয়েছে কঠোর কার্ফুর আওতায়, বর্বর সামরিক শক্তি দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছে।
আক্ষেপ করে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব বিধিনিষেধের বেড়াজালে কাশ্মীরী জনগণের দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাদের ওষুধপত্র বা খাবার কিনতে দেয়া হচ্ছে কিনা সেটাও আমরা জানি না। এ অবস্থায় কোন ধরনের আলোচনা চালানো যায়?
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানকে সংলাপে বসতে বলার আগে নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই ভারতীয় সরকারের নৃশংসতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে বলে কোরেশি উল্লেখ করেন।
কাশ্মীরের পাশে আমরা আছি
কোরেশি আরো বলেন, কাশ্মীরীরা জন্য অবর্ণনীয় দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপর থেকে অব্যাহত গোলা বর্ষণে আমাদের জওয়ান ও নিরপরাধ বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে। পাকিস্তান ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তবে পাকিস্তান তার অভিপ্রায় ও দৃঢ় ইচ্ছার কথাও জানিয়েছে। আমরা সবসময় কাশ্মীরীদের পাশে রয়েছি।
কাশ্মীর ইস্যুটিকে তুলে ধরায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রশংসা করেন কোরেশি।
কাশ্মীরের ব্যাপারে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর বিরোধে পাকিস্তানের অবস্থান জাতিসংঘ সনদের নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন ভিত্তিক এবং এটা অপরিবর্তিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও কাশ্মীরী জনগেণের ইচ্ছা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর বিরোধের নিষ্পত্তি হতে হবে।
No comments