জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সংহিত জানাতে এক মঞ্চে ভারতের বিরোধী দলগুলো
ভারত
নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সরকারের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ
জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। তারা অবিলম্বে হিমালয়ান অঞ্চলটির
রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
৫ আগস্ট হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার মুসলিম সংখ্যাগুরু কাশ্মীর রাজ্যের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলো বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন কর। কাশ্মীরে সরকার ব্যাপক দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মর্যাদা বাতিলের পর থেকে রাজ্যটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
কাশ্মীরকে সীমিত স্বায়ত্তশাসন দিয়ে সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা বাতিলের আগে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। কার্ফু জারি, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়।
তামিল নাড়ু রাজ্যের আঞ্চলিক দল দ্রাভিদা মুনেত্রা কাজাঘাম আয়োজিত দিল্লির প্রতিবাদ সভায় বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তার আদর্শিক গুরু আরএসএ যখন ৩৭০ বাতিল উযযাপন করছে তখনো বেশিরভাগ মানুষ জানে না এই ধারায় কি বলা হয়েছে।
হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী সংগঠন আরএএস চায় ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরএসএসের আজীবন সদস্য।
পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের সদস্য আজাদ বলেন, কয়েকটি টেলিফোন লাইনে সংযোগ দিয়ে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে বলছে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের ল্যান্ড ফোন রয়েছে। শুধু কর্মকর্তারাই কি এই ফোন ব্যবহার করে? কাশ্মীর পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
অঘোষিত জরুরি অবস্থা
সমাবেশে উপস্থিত প্রতিবাদকারীরা জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেয়। এবং বলে ‘জোরসে বলো, আমরা সবাই এক’।
বিরোধী দলগুলো কাশ্মীরে অঘোষিত জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে মূল ধারার সকল রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিক অধিকার কর্মীদের মুক্তি দাবি করে।
গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভার সদস্য ফারুক আব্দুল্লাহ, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি এবং আমলা থেকে রাজনীতিকে পরিনত হওয়া শাহ ফয়সাল। এছাড়া আরো হাজার হাজার কাশ্মীরীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, বৃহস্পতিবারের আয়োজনের এজেন্ডা হলো রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও রাজ্যটিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা কি করেছে যে তাদেরকে জেলখানায় রাখতে হবে? এই প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের রয়েছে। তারা কোন অপরাধ করলে আইন মতো শাস্তি দিন। অন্তত তাদের অপরাধগুলো আমাদের জানান।
অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক উইমেন্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লাও একই কথা বলেন। নেতারা কেন জেলাখানায় – এটা আমাদের সবার প্রশ্ন। সরকারের কাছে এর কোন জবাব না থাকলে তার মানে সেখানে সন্দেহ করার কিছু রয়েছে।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন
সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডি রাজা বলেন, মোদি আরএসএসের এজেন্ডা ফলো করে দেশের ক্ষতি করছেন। আমরা জম্মু-কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছি, তাদেরকে খাঁচায় পুরে তাদের নেতাদের আটকে রেখেছি। রাজ্যের সাবেক মূখ্যমন্ত্রীদেরই যদি সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে সেখানকার সাধারণ মানুষের কি অবস্থা তা সহজেই বুঝা যায়।
বিজেপি অবশ্য বলছে যে কাশ্মীরের জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেই নেতাদের আটকে রাখা হয়েছে।
দিল্লির সমাবেশে প্রচুর কাশ্মীরী ছাত্র-ছাত্রী যোগ দেয়। তারা তাদের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সমাবেশে শুধু আটক নেতাদের উপর জোর দেয়াতেও বিরক্তি প্রকাশ করে তারা।
৫ আগস্ট হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার মুসলিম সংখ্যাগুরু কাশ্মীর রাজ্যের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলো বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন কর। কাশ্মীরে সরকার ব্যাপক দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মর্যাদা বাতিলের পর থেকে রাজ্যটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
কাশ্মীরকে সীমিত স্বায়ত্তশাসন দিয়ে সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা বাতিলের আগে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। কার্ফু জারি, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়।
তামিল নাড়ু রাজ্যের আঞ্চলিক দল দ্রাভিদা মুনেত্রা কাজাঘাম আয়োজিত দিল্লির প্রতিবাদ সভায় বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তার আদর্শিক গুরু আরএসএ যখন ৩৭০ বাতিল উযযাপন করছে তখনো বেশিরভাগ মানুষ জানে না এই ধারায় কি বলা হয়েছে।
হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী সংগঠন আরএএস চায় ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরএসএসের আজীবন সদস্য।
পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের সদস্য আজাদ বলেন, কয়েকটি টেলিফোন লাইনে সংযোগ দিয়ে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে বলছে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের ল্যান্ড ফোন রয়েছে। শুধু কর্মকর্তারাই কি এই ফোন ব্যবহার করে? কাশ্মীর পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
অঘোষিত জরুরি অবস্থা
সমাবেশে উপস্থিত প্রতিবাদকারীরা জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেয়। এবং বলে ‘জোরসে বলো, আমরা সবাই এক’।
বিরোধী দলগুলো কাশ্মীরে অঘোষিত জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে মূল ধারার সকল রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিক অধিকার কর্মীদের মুক্তি দাবি করে।
গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভার সদস্য ফারুক আব্দুল্লাহ, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি এবং আমলা থেকে রাজনীতিকে পরিনত হওয়া শাহ ফয়সাল। এছাড়া আরো হাজার হাজার কাশ্মীরীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, বৃহস্পতিবারের আয়োজনের এজেন্ডা হলো রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও রাজ্যটিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা কি করেছে যে তাদেরকে জেলখানায় রাখতে হবে? এই প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের রয়েছে। তারা কোন অপরাধ করলে আইন মতো শাস্তি দিন। অন্তত তাদের অপরাধগুলো আমাদের জানান।
অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক উইমেন্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লাও একই কথা বলেন। নেতারা কেন জেলাখানায় – এটা আমাদের সবার প্রশ্ন। সরকারের কাছে এর কোন জবাব না থাকলে তার মানে সেখানে সন্দেহ করার কিছু রয়েছে।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন
সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডি রাজা বলেন, মোদি আরএসএসের এজেন্ডা ফলো করে দেশের ক্ষতি করছেন। আমরা জম্মু-কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছি, তাদেরকে খাঁচায় পুরে তাদের নেতাদের আটকে রেখেছি। রাজ্যের সাবেক মূখ্যমন্ত্রীদেরই যদি সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে সেখানকার সাধারণ মানুষের কি অবস্থা তা সহজেই বুঝা যায়।
বিজেপি অবশ্য বলছে যে কাশ্মীরের জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেই নেতাদের আটকে রাখা হয়েছে।
দিল্লির সমাবেশে প্রচুর কাশ্মীরী ছাত্র-ছাত্রী যোগ দেয়। তারা তাদের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সমাবেশে শুধু আটক নেতাদের উপর জোর দেয়াতেও বিরক্তি প্রকাশ করে তারা।
কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে ভারতের বিরোধী দলগুলো |
>>>হান্নান জাফর ও বারবারা নাইকো
No comments